অরবিন্দ রায়, স্টাফ রিপোর্টারঃ নরসিংদীর মনোহরদীতে মাদ্রাসা শিক্ষক হাফেজ আবুল কালামকে (৩২) হত্যার ঘটনায় জড়িতদের বিচারের দাবিতে মরদেহ নিয়ে এলাকাবাসী থানা ঘেরাও বিক্ষোভ মিছিল করেছে । সোমবার নিহতের বাড়ি হাফিজপুর থেকে এলাকাবাসী মিছিল নিয়ে মনোহরদী থানায় আসেন। পরে বিক্ষোভকারীরা থানার সামনে অবস্থান নেয়। নিহত আবুল কালাম মনোহরদী উপজেলা চালাকচর ইউনিয়নের হাফিজপুর এলাকার আব্দুল আওয়ালের ছেলে। তিন মেয়ে সন্তানের পিতা আবুল কালাম পেশায় স্থানীয় একটি মাদ্রাসার শিক্ষক ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, দীর্ঘদিন ধরে আবুল কালামের পিতা আব্দুল আওয়ালের সঙ্গে প্রতিবেশী শহীদ উল্লাহর জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। শুক্রবার (১৬ মে) দুপুরে গাছ থেকে আম সংগ্রহ করতে গিয়ে দুই পক্ষের মাঝে ঝগড়া হয়। ঝগড়ার এক পর্যায়ে শহিদুল্লাহ তার পরিবারের লোকজন নিয়ে দেশিয় অস্ত্র দিয়ে প্রতিপক্ষের উপর হামলা চালায়।
হামলায় আউয়াল (৬৫), আউয়ালের বড় ছেলে আবু বাক্কার (৪০) মেজো ছেলে আবুল কালাম (৩২) এবং আওয়ালের পুত্রবধূ হাবিবা(২৮) সহ পাঁচ জন গুরুতর আহত হয়। এসময় স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে রবিবার (১৮ মে) আবুল কালামের মৃত্যু হয়।
সোমবার সকালে ঢাকা থেকে মরদেহ আসলে লাশবাহী এম্বুলেন্সসহ এলাকাবাসী বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে থানার সামনে অবস্থান নেয় । এ সময় বিক্ষোভকারীরা হত্যাকারীদের ২৪ ঘন্টার ভিতরে গ্রেপ্তারের দাবি জানান । পুলিশ আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিলে বিক্ষোভকারীরা অবরোধ সরিয়ে নেয়।
মনোহরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল জব্বার জানান, মারামারির ঘটনার দিনই থানায় মামলা হয়েছে। মামলাটি এখন হত্যা মামলা হিসেবে বিবেচিত হবে। মরদেহ নিয়ে এলাকাবাসী থানার সামনে অবস্থান নিয়েছিলো। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।