1. admin@ajkerpratidin.com : admin : Khokon Howlader
  2. ajkerpratidin@gmail.com : Masum Sarder : Masum Sarder
  3. emranniloy53@gmail.com : Emran Hasan Neloy : Emran Hasan Neloy
  4. info.popularhostbd@gmail.com : PopularHostBD :
  5. rashedapple7@gmail.com : Rashed Ahmed : Rashed Ahmed
রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ১০:৪৭ অপরাহ্ন

আশুলিয়ায় বিয়ের প্রলোভনে জোরপূর্বক ধর্ষণ ও নির্যাতন, ভুক্তভোগীর আদালতে মামলা

Reporter Name
  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ১১ জুন, ২০২৫
  • ৩৭৯ বার পড়া হয়েছে

মোঃ হাফিজ উদ্দিন, বিশেষ প্রতিবেদক ।। ঢাকার আশুলিয়ায বিয়ের  প্রলোভন  দেখিয়ে জোর করে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে শাহরিয়ার গার্মেন্টসের স্টোর কো-অর্ডিনেটর রিপন ফকির (৪৫)এর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় আশুলিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী নারী। ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটেছে আশুলিয়ার গাজির চট এলাকার সোনিয়া মার্কেট সংলগ্ন একটি বহুতল ভবনে নারীর বাসায়। জানাযায় সেখানে ওই নারী দীর্ঘদিন তাঁর মামা মামির সাথে ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছিল।

পরবর্তীতে ওই ভুক্তভোগী নারী এ ঘটনায় বিভিন্ন পরিস্থিতিতে এর সংক্রান্ত কয়েকটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন আশুলিয়া থানায় এবং থানায় কোন বিচার না পেয়ে  নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-৯, ঢাকা এর আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।

থানায় অভিযোগ ও আদালতে মামলার সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী নারী রিজিয়া ইয়াসমিন ও অভিযুক্ত বিবাদী রিপন ফকির একই অফিসে চাকরির সূত্রের পূর্ব পরিচিত। রিপন ফকির স্টোর কো-অর্ডিনেটর এবং রিজিয়া ইয়াসমিন সুইং মেশিন অপারেটর হিসেবে জামগড়া শিমুলতলাস্থ জে এ বি লিমিটেড (শাহরিয়ার গার্মেন্টস)  নোভাস শাখায় চাকুরী করে আসছিলেন। পরিচয়ের সূত্র ধরে বিবাদী রিপন ফকির ভুক্তভোগী নারীর ফ্লাটের পাশের বাসা ভাড়া নিয়ে তার স্ত্রী এবং এক ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে বসবাস শুরু করেন।

একই অফিসে চাকুরী ও পাশাপাশি ফ্ল্যাটে বসবাস করার সুবাদে উভয় পরিবারের মাঝে একটি সুসম্পর্ক তৈরি হয়।  পর্যায়ে বিবাদী রিপন ফকিরের স্ত্রী রুপা ইসলাম ভুক্তভোগীর  মাকে ধর্মের মা বলে ডেকে সম্পর্ক আরো গভীর করে। এবং বিবাদীর স্ত্রী রূপা ইসলাম ভুক্তভোগীকে জানায় এখন থেকে তুমি আমার ছোট বোন। এরপর থেকে ভুক্তভোগী নারী  বিবাদী রিপন ফকিরকে দুলাভাই বলে সম্বোধন করে কথা বলতো। তারপর থেকে পাশাপাশি বাসা একই কর্মস্থল এবং পারিবারিক সম্পর্ক থাকার সুবাদে একসাথেই অফিসে আসা যাওয়া করত। এই আসা-যাওয়ার মাঝে বিবাদী রিপন ফকির বিভিন্ন সময় প্রেম নিবেদনসহ কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। পর থেকে ভুক্তভোগী নারী তাকে এড়িয়ে চলতে থাকে। এর মধ্যে একদিন বিবাদী রিপন ফকির ফ্যাক্টরিতে ভুক্তভোগী নারীর সাথে অনাকাঙ্খিত পরিবেশ এবং কোম্পানির শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজ করায় সাসপেন্ড করা হয়। এতে সে ক্ষিপ্ত হয়ে এই সাসপেন্ডের সাথে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়ার জন্য ভুক্তভোগী ওই নারীকে  চাপ প্রয়োগ করে। এতে সে রাজি না হওয়ায় কে বা কাহারা ভুক্তভোগী নারীর নামে ফেক ফেসবুক আইডি খুলে সামাজিকভাবে সম্মানহানি ও হয়রানি করতে থাকে। এরপর বিবাদী ভুক্তভোগী নারীকে বোঝাতে চেষ্টা করে অফিসের কিছু কর্মকর্তা তার ন্যমে ফেক ফেসবুক আইডি খুলে এই কাজ করতেছে এবং তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়ার জন্য আবারও চাপ প্রয়োগ করে। এতেও সে রাজি না হওয়ায় তাকে ও তার পরিবারকে আরো বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি করবে বলে হুমকি প্রদান করে।

অভিযোগ ও মামলার সূত্রে আরও জানা যায়, বিবাদি রিপন ফকির ও তার স্ত্রী সন্তান নিয়ে প্রায়  দুই বছর ভুক্তভোগীর পাশের ফ্ল্যাটে বসবাস করে আসছে। কিন্তু বিগত চার মাস যাবত বিবাদী রিপন ফকির ভুক্তভোগির সাথে বিভিন্ন সম্মানহানিকর ও হয়রানি মূলক আচরণ করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় চলতি বছরের মে মাসের ৫ তারিখে রাত আনুমানিক দশটার দিকে বিবাদী রিপন ফকির প্রয়োজনীয় কথা আছে বলে ভুক্তভোগী নারীর বাসায় প্রবেশ করে।এ সময় বাসায় কেউ না থাকায় বিবাদী রিপন ফকির দরজা বন্ধ করে অনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের অভিপ্রায়ে প্রায় দেড় ঘন্টা ধরে বিয়ের প্রলোভনসহ বিভিন্ন লোভ দিয়ে ভুক্তভোগী নারীকে প্রায় দেড় ঘন্টা ধরে বোঝাতে থাকে। সবকিছুতে ব্যর্থ হয়ে আনুমানিক রাত সাড়ে এগারোটার দিকে বিবাদী রিপন ফকির প্রচন্ড ভয়-ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক ইচ্ছার বিরুদ্ধে রিজিয়া ইয়াসমিনকে ধর্ষণ করে। যাওয়ার সময় বিবাদী রিপন ফকির এই ঘটনা বাহিরে প্রকাশ করলে তাকে ও তার পরিবারকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে যায়। এই ঘটনার পর ভুক্তভোগী নারী তার প্রাণের ভয়ে কাউকে কিছু না বলে নিজ কর্মস্থলে যাওয়া বন্ধ করে দেয়।

তারপরও বিবাদী রিপন মিয়া ভুক্তভোগী নারীর ক্ষতি সাধন করার লক্ষ্যে বিভিন্ন সময়ে সুযোগ খুঁজতে থাকে। এরই প্রেক্ষিতে আবারো চলতি বছরের মে মাসের ১৬ তারিখে বিবাদী রিপন ফকির ভুক্তভোগী নারীর বাসায় জোর করে প্রবেশ করে এবং শারীরিকভাবে বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে নির্যাতন করাসহ সাথে থাকা চাকু দিয়ে ভুক্তভোগী নারীর মাথার চুল কেটে বিকৃত করে দেয়। সময় ভুক্তভোগীর মামি বাধা প্রদান করতে গেল তাকেও ভয় দেখিয়ে চুপ থাকতে বাধ্য করে।

এই ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী আশুলিয়া থানায় অভিযোগ করে কয়েকদিন পার করলেও কোন আইনি সহায়তা পান নাই। পরবর্তীতে ভুক্তভোগী নারী বাধ্য হয়ে বিচারের আশায় ২৯ শে মে ২০২৫ তারিখে বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-৯, ঢাকা’তে উপস্থিত হয়ে বিবাদী রিপন মিয়া (ওরফে রিপন ফকির) এর বিরুদ্ধে ৯(১) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন -২০০০ (সং ২০০৩) ধারায় একটি পিটিশন মামলা দায়ের করেন। যাহার মামলা নং – ২৪১/২০২৫।

এই ঘটনার বিষয়ে অনুসন্ধান করে আরো যা জানা যায়,  (এ বিষয়ে অনুসন্ধান না করার জন্য বিবাদী এই প্রতিবেদককে হুমকি প্রদান করে)

ঘটনা শুরু : একই অফিসে চাকরি করার সুবাদে রিপন ফকির অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে ভুক্তভোগী নারী ইয়াসমিনের সাথে পরিচিত হয়। আলাপচারিতার মধ্যে কিছুদিনের মধ্যে একটা সুসম্পর্ক হয়। এই সম্পর্কের সূত্র ধরে তার অসৎ উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য কিছুদিনের মধ্যে ভুক্তভোগীর পাশের ফ্লাটে ভাড়াটিয়া হিসেবে বিবাদী রিপন স্ত্রী-সন্তানসহ বসবাস শুরু করে।

এদিকে বিবাদী রিপন মিয়ার স্ত্রী রুপা ইসলামের সাথে ভুক্তভোগী রিজিয়া ইয়াসমিনের পরিবারের একটা সুসম্পর্ক তৈরি হয়। এরই একপর্যায়ে রুপা ইসলাম ইয়াসমিনের মাতাকে ধর্মের মা ডেকে পারিবারিক সম্পর্কটা আরও গভীর করেন। এই সম্পর্কের সুবাদে ভুক্তভোগী ইয়াসমিন বিবাদী রিপন ফকিরকে দুলাভাই বলে সম্বোধন করতেন। এরপরই বিবাদী রিপন ফকির তার পূর্বপরিকল্পনার অংশ হিসাবে ইয়াসমিনের উপর প্রভাব বিস্তার শুরু করে। বিবাদী রিপন ফকির তার স্ত্রী রুপা ইসলামকে বোঝাতে সক্ষম হন যে, কোথাও বেড়াতে গেলে বাচ্চাদের খেয়াল রাখার স্বার্থে রিজিয়া ইয়াসমিনকে আমাদের সাথে বেড়াতে নেওয়া যেতে পারে। এরপর থেকে রিপন ফকির পরিবার নিয়ে কোথাও বেড়াতে গেলে প্রায়  রিজিয়া ইয়াসমিনকে সাথে করে নিয়ে যেতেন। বিভিন্ন সময় ঘোরাঘুরির পারিবারিক ছবি তোলার ফাঁকে চালাকি করে রিপন ফকির তার ও রিজিয়া ইয়াসমিনের একত্রে কিছু তুলে রাখতেন। রিজিয়া ইয়াসমিনসহ সবাই এই বিষয়টিকে স্বাভাবিক মনে করতেন।  বিবাদী বুঝতেই দেয়নি এর পিছনে অন্য উদ্দেশ্য আছে।

অনুসন্ধানে আরও জানা যায়, ভুক্তভোগী নারী রিজিয়া ইয়াসমিনের চোখের কিছু অসুবিধা ছিল। তাই সিদ্ধান্ত নেয় ইন্ডিয়ায় গিয়ে চোখের চিকিৎসা করাবে। সেই লক্ষ্যে পাসপোর্ট করার উদ্দেশ্যে গ্রামে যেতে চাইলে রিপন ফকির ঢাকা থেকে পাসপোর্ট করে দিতে পারবে বলে জানায়। শেষে একদিন সরল বিশ্বাসে দুলাভাই রিপন ফকিরের সাথে সব কাগজপত্র নিয়ে পাসপোর্ট অফিসে যায়। কথামতো যেখানে যে স্বাক্ষর দিতে বলে সব জায়গায় স্বাক্ষর দিয়ে কাগজপত্র জমা করে চলে আসে। রিপন  ইয়াসমিনকে আশ্বস্ত করে বলে পাসপোর্ট হয়ে গেলে তুমি পেয়ে যাবে । এরপর দীর্ঘ কয়েক মাস পার হয়ে গেলেও পাসপোর্টের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে রিপন ফকির বিভিন্ন টালবাহানা করতে থাকে  এবং এবিষয়ে কোন সুদত্তর দেয় না। এখন পর্যন্ত রিজিয়া ইয়াসমিন পাসপোর্ট এর বইটা সে দেখেও নাই আর তার হাতে পায় নাই।

পরিকল্পনা বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে কাজ শুরু হয়: অনুসন্ধানে আরও বেরিয়ে আসে, বিবাদী রিপন ফকির একটা একটা করে তার কাজ গুছিয়ে নিয়েছেন। একই অফিস, সে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা,   রিজিয়া ইয়াসমিন সাধারণ মেশিন অপারেটর, পাশাপাশি বাসা, পারিবারিক সম্পর্ক, দুলাভাই সম্পর্ক,  রিজিয়া ইয়াসমিন এর উপর প্রভাব বিস্তার, পাসপোর্ট এর বই নিজের কাছে রাখা, বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যাওয়ার দুজনের একত্রে ছবি, বিয়ের ভুয়া কাবিননামাসহ বিশ্বস্ততা অর্জন সবকিছুই আগে থেকে তিনি সম্পূর্ণ করে রেখেছেন।

এরই মধ্যে প্রতিদিন একসাথে অফিসে আসা-যাওয়ার বিষয়টিতো চলছিলই। এবার সুযোগ বুঝে সে ভুক্তভোগী নারী রিজিয়া ইয়াসমিনকে প্রেম নিবেদনসহ কু-প্রস্তাব দিতে থাকে। এরপর থেকে ভুক্তভোগী বিবাদীর উদ্দেশ্য বুঝতে পেরে তাকে এড়িয়ে চলতে শুরু করে। বিবাদী মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। এতে সে ক্ষিপ্ত হয়ে অফিসে একদিন রিজিয়া ইয়াসমিন কর্মরত থাকা অবস্থায় সেখানে গিয়ে তার অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণ করে। এই ঘটনায় পুরো বিষয়টি বিশ্লেষণ করে ম্যানেজমেন্ট কর্তৃপক্ষ বিবাদী রিপন ফকিরকে একই প্রতিষ্ঠানের বাইপাইল শাখায় পদায়ন করে।

পদায়নের পর রিপন ফকির রিজিয়া ইয়াসমিনের উপর আরো আক্রমনাক্তক হয়ে উঠে। তার পূর্বের ঘটানো  সব কু-কর্ম ফাঁস হয়ে যেতে পারে এবং যেকোনো মুহূর্তে থানায় মামলা মোকদ্দমা হতে পারে এই আশঙ্কায় বিবাদী রিপন ফকির রিজিয়া ইয়াসমিনসহ তার পরিবারকে বিভিন্ন ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে গ্রামের বাড়িতে চলে যেতে বাধ্য করে।

গ্রামের বাড়িতে গিয়ে  তার পরিবার মেয়ের সুখ ও নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে দেখেশুনে একটা ভালো ছেলের সাথে বিয়ে-শাদীর বিষয় চূড়ান্ত করে। এ বিষয়টি রিপন ফকির জানতে পেরে মেয়ের পরিচিত জনের সাথে ফোন করে রিজিয়া ইয়াসমিনকে নিজের দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে দাবী করে। এবং সে গুজব ছড়িয়ে এ বিয়ে ভেঙে দেয়।

এ বিষয়ে অনুসন্ধান করতে গিয়ে রিজিয়া ইয়াসমিনকে নিজের স্ত্রী হিসেবে দাবি করা রিপন ফকিরের নিকট আত্মীয় কয়েকজনের সাথে ফোনে কথা বলে জানতে চাইলে রিপনের মা জানান,  আমার ছেলে একটা বিয়ে একটা বিয়ে করেছে। তার নাম রুপা ইসলাম,  এবং সেই সংসারে তাদের এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।  তার আর কোন সংসার বা বিয়ে নেই। এ বিষয়ে রিপন ফকিরের বোন জানান, তার ভাই দুটি বিয়ে করেছে। কোথায়, কবে, কিভাবে? বিস্তারিত জানতে চাইলে তিনি কথা বলতে অপরগতা প্রকাশ করেন। একাধিক সূত্র থেকে জানা যায়,  রিপন ফকির বিভিন্ন পরিচয় দিয়ে চলাফেরা করেন। কখনো রিপন ফকির, কখনো রিপন মিয়া, আবার কখনো শাহেদ রিপন নাম ধারণ করে সমাজের বিভিন্ন স্তরে বিচরণ করেন।

এবার ভুক্তভোগী নারী রিজিয়া ইয়াসমিন তার সাথে ঘটে যাওয়া সব ঘটনা গুলো অফিসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও প্রতিষ্ঠানের ট্রেড ইউনিয়নকে জানালে তারা পাশে থেকে সহযোগিতার আশ্বাস দিলে সে আবার ঢাকায় আসে। পরে অফিসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও ট্রেড ইউনিয়নের  পরামর্শে অফিসের কয়েকজনকে সাথে নিয়ে মামলা দায়ের এর উদ্দেশ্যে আশুলিয়ায় থানায় যান। এ সময় থানায় বিষয়টিকে মামলা হিসেবে না নিয়ে অভিযোগ হিসেবে গ্রহণ করে। অভিযোগের পর পুরো বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করার দায়িত্ব পড়ে আশুলিয়া থানার এস আই আশরাফের উপর। এস আই আশরাফ অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্তের স্বার্থে  অভিযুক্ত রিপন ফকিরকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় উপস্থিতির ব্যবস্থা করেন। বিবাদী রিপন ফকির থানায় উপস্থিত হয়ে তার আগে থেকে গোছানো সকল কাগজপত্র দেখিয়ে ভুক্তভোগী নারী রিজিয়া ইয়াসমিনকে নিজের স্ত্রী হিসেবে দাবি করেন। স্ত্রী দাবি করে প্রমাণ স্বরূপ যেসব নথি দাখিল করেন, তার মধ্যে ছিল পাসপোর্টের কপি, (যেখানে রিজিয়া ইয়াসমিনের স্বামী হিসাবে কোন মিয়ার নাম লেখা ছিল) ভুয়া কাবিননামার কপি  (যেখানে কাবিননামার হাতের লেখা বিশ্লেষণ করলে সহজেই বোঝা যাচ্ছে কাবিননামায় শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একজনেরই হাতের লেখা, বরের সাক্ষর, কনের সাক্ষর, কাজীর সাক্ষর এবং সাক্ষীর সাক্ষরসহ সম্পুর্ন লেখাটা) এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে ঘুরতে যাওয়া দুজনের একত্রে তোলা ছবি। তৎক্ষণাৎ এবিষয়ে ভুক্তভোগী নারী রিজিয়া ইয়াসমিন এসআই আশরাফকে জানিয়েছে যে, সম্পূর্ণ বিষয়টি ভুয়া এবং ভিত্তিহীন। সেসময় পুরো বিষয়টির সঠিক তদন্ত  দাবি করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেন। কিন্তু এসআই আশরাফ ভুক্তভোগীর কোন কথাই কর্ণপাত না করে উপরন্ত রিপন ফকিরকে তার স্বামীর স্বীকৃতি দিয়ে ভুক্তভোগীর ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও স্বর্ণের গহনা অভিযুক্ত রিপন ফকিরের হাতে তুলে দিয়ে অভিযুক্তকে থানা থেকে চলে যেতে সহায়তা করেন। এবং ভুক্তভোগী রিজিয়া ইয়াসমিনকে ধর্ষণের অভিযোগ তুলে নিয়ে নতুন করে নারী নির্যাতনের অভিযোগ করার পরামর্শ দেন।

অসহায় ভুক্তভোগী এস আই আশরাফের পরামর্শ মোতাবেক নতুন করে থানায় নারী নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করেন। এবার পুরো বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দায়িত্বভার পড়ে এসআই দুলালের উপর। তিনি সবকিছু শুনে বুঝে অভিযোগকারী ভুক্তভোগী নারীকে জানালেন, যেহেতু এর আগে এই বিষয়টি নিয়ে এসআই আশরাফ কাজ করেছেন এবারও এ অভিযোগটি তিনি দেখবেন। অভিযোগের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ইতিমধ্যে কেটে গেছে বেশ কয়েকটি দিন। ভুক্তভোগ নারী কোন ন্যায-বিচারের আশা না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েন। এরপর নিরুপায় হয়ে ভুক্তভোগী সাভার সার্কেল এস পি মহোদয়কে ফোন করেন। খুব দ্রুত সময়ে এসপি মহোদয় আশুলিয়া থানায় উপস্থিত হয়ে এ বিষয়ে প্রয়োজনে ব্যবস্থা নিতে বলেন। তড়িঘড়ি করে এখানেও মামলা না নিয়ে ভুক্তভোগী নারীকে দিয়ে আরেকটি অভিযোগ দায়ের করানো হয়। এস পি মহোদয় বলার পরেও এস আই আশরাফ সেই অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা থেকে বিরত রয়েছেন। এমনকি ভুক্তভোগী নারী বারবার বলার পরেও অভিযোগের কপিটা পর্যন্ত তাকে দেন নাই।

থানায় অভিযোগের পর বেশ কয়েকদিন  এস আই আশরাফ এর নিকট থেকে সম্পূর্ণ অসহযোগিতা পেয়ে ভুক্তভোগী নারী রিজিয়া ইয়াসমিন বাধ্য হয়ে বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করেন।

স্বাভাবিকভাবে ভুক্তভোগী নারী রিজিয়া ইয়াসমিন হতাশা প্রকাশ করে বলেছেন এই মামলার তদন্ত কার্যক্রম  আশুলিয়া থানার এসআই আশরাফের নিকট দায়িত্ব অর্পিত হলে আমি ন্যায় বিচার পাওয়া নিয়ে শঙ্কিত। তাই ন্যায় বিচার পাওয়ার স্বার্থে এই মামলার তদন্ত কার্যক্রম অন্য  যেকোনো এস আই এর উপর দেওয়ার দাবি জানান।

সংবাদ টি শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ

Ajker Pratidin গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠান ©২০১৮-২০২৫ ajkerpratidin.com সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।

Design BY POPULAR HOST BD