বেনাপোল প্রতিনিধি : বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশের বোনা কাপড়, পাট ও সুতার পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। ফলে বেনাপোল স্হল বন্দর দিয়ে বন্ধ হয়ে গেছে পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি। এতে ভারতে রপ্তানির অপেক্ষায় থাকা অনেক পাটবোঝাই ট্রাক ফিরে গেছে নিজ গন্তব্যে।
এই নিষেধাজ্ঞা ভারত হয়ে নেপাল ও ভুটানে যাওয়া বাংলাদেশি পণ্যের ওপর প্রযোজ্য হবে না। তবে, নেপাল ও ভুটান হয়ে বাংলাদেশের এসব পণ্যের পুনরায় ভারতে রপ্তানি অনুমোদিত হবে না। এর আগে গত মে মাসে নিজেদের স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল ভারত।
গতকাল শুক্রবার ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভারত-বাংলাদেশ স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে কোনো পণ্য আমদানি হবে না। শুধুমাত্র সরকার শুধু মুম্বাইয়ের নহাভা শেভা বন্দর দিয়ে প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে। নাহভা শেভা সমুদ্র বন্দর দিয়ে নির্দিষ্ট এসব পণ্য আমদানি করা যাবে। যার মধ্যে রয়েছে পাটজাত পণ্য, একাধিক ভাঁজের বোনা কাপড়, একক শণ সুতা, পাটের একক সুতা, ব্লিচ না করা পাটের বোনা কাপড়।
এর আগে চলতি বছরের মে মাসে নিজেদের স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল ভারত। ওই সময় এই পণ্য শুধু মহারাষ্ট্রের নহভা শেভা ও কলকাতা বন্দর দিয়ে আমদানির সুযোগ রেখেছিল দেশটি।
বন্দর কর্তৃপক্ষ বলেন, বিষয়টি দুই দেশের সরকারের। তবে তারা ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে বিষয়টি জেনেছেন।
ভারতের পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্ট স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী জানান, পণ্য আমদানি-রপ্তানিতে একের পর এক নতুন সিদ্ধান্ত নেওয়ায় হতাশায় ভুগছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। গতকাল শুক্রবার ২৭জুন ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব অজয় ভাদু স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বাংলাদেশ থেকে পাট ও পাটজাত দ্রব্য স্থলবন্দর দিয়ে আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন।
তিনি বলেন, ভারতের অনেক ছোট ছোট আমদানিকারকরা বাংলাদেশ থেকে পাট ও পাটজাত দ্রব্য আমদানি করতো। এসব ছোট আমদানিকারকরা সমুদ্রপথে এই পণ্য আমদানিতে নিরুৎসাহিত হবেন।
বেনাপোল সি এন্ড এফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাজেদুর রহমান জানান, বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিদিন অনেক পাট ও পাটজাত দ্রব্য ভারতে রপ্তানি হয়। ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় হঠাৎ করে বেনপোল স্থলপথে পাট ও পাটজাত পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করায় অনেক ব্যবসায়ী গন ও কর্মচারীরা কাজ হারিয়ে বেকার হয়ে পড়বেন বলে জানান।