
অরবিন্দ রায়, স্টাফ রিপোর্টারঃ সারাদেশে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম উৎসব কালী পুজা ও দীপাবলি উদযাপন করা হয়েছে।

এ বছর কালী পুজা ও দীপাবলি এক দিনেই পড়েছে। মন্দিরে গভীর রাত পর্যন্ত মা কালীর আরাধনা চলে।
সোমবার সন্ধ্যার সময় সনাতন ধর্মাবলম্বী মানুষ বাড়িতে, উঠানে, বারান্দা সহ সারা বাড়িতে মাটির প্রদীপ, মোমবাতির জ্বালিয়ে দেবতা কে ঘরে বরন করে নেয়। প্রতিবছর কার্তিক মাসের অমাবস্যা তিথিতে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা কালী পূজার করে থাকেন। কালী পূজা উপলক্ষে ভক্তরা সারাদিন উপোস থাকার পর রাতে কালী পূজা করে থাকে । দেবী কালী পূজার নানা রকম রীতি প্রচারিত রয়েছে। কালী পূজায় দীর্ঘ সময় ধরে করা হয় ।
কালী পূজায় বিভিন্ন স্থানে বলিদান এর রীতি ও প্রচলিত আছে। মন্দিরে মন্দিরে, বাড়িতে বাড়িতে হিন্দু ধর্মের মানুষ কালী পূজা করে।
পৃথিবীতে দুষ্টের দমন আর শিষ্টের পালনের জন্য কালী পূজা করা হয়। দেবী কালীর অসংখ্য নামের মধ্যে দক্ষিণ, সিদ্ধ, গুণ্য, ভদ্র, শ্মশান, রক্ষা ও মহাকালী। দেবী কালীর আবির্ভাব হয়েছে অসুরদের যুদ্ধে পরাজিত করার জন্য। দেবতাদের প্রার্থনায় আদ্যাশক্তি ভগবতি পার্বতীর দেহ কোষ দেবী কৌশিকী আর্বির্ভূত হয়। তখন ভগবতী দেবী কৃষ্ণ বর্ণ ধারন করে বলে তার নাম কালী রাখা হয়।
দেবতাদের স্বর্গরাজ্য দখলের উদ্দেশ্যে অসুরেরা যখন তান্ডব চালায় ঠিক তখনই সৃষ্টি হয় দেবী দুর্গার। অসুরের প্রধান রক্ত বীজ ছিল ব্রক্ষার বরপ্রাপ্ত। অসুরের এক ফোটা রক্ত মাটিতে পড়লে সেই রক্ত থেকে জন্ম নেয় একাধিক অসুর। সেই ভয়ংকর পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে মা দুর্গার ভ্রু যুগলের মধ্য থেকে জন্ম দেন মা কালী ।
হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা বিশ্বাস করেন, মানুষের মনের মধ্যে সকল অন্ধকার দূর করে, সমাজের অন্ধকার দূর করতে মা কালী সচেষ্ট হতে পারে। শক্তির আরাধনা করতে হবে। একমাএ শক্তিবান মানুষ ই পারে সকল বিপদ থেকে নিজেকে ও পরিবার উদ্ধার করতে। সমাজের সকল খারাপ, অসৎ ও অসামাজিক কাজ কর্ম দূর করার জন্য হিন্দুরা দেবী কালীর আরাধনা করে থাকে। দেবী কালীর পুজা ভক্তি সহকারে ও শ্রদ্ধা সহ সনাতন ধর্মাবলম্বীরা পালন করে থাকেন। কালীপুজা ও দীপাবলি বিশ্বের সব মানুষের মনকে আলোকিত করুন। শুভ দীপাবলি বিশ্বের সকল মানুষের জন্য সুখ আর শান্তি নিয়ে আসুক – এ প্রত্যাশা করি।