
আশুলিয়া (ঢাকা) প্রতিনিধি : আমাজান নদীর ভয়ংকর রাক্ষস মাছ পিরানহা। চাষ ও বিক্রি নিষিদ্ধ থাকলেও আশুলিয়াসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে রূপচাঁদা নামে দেদারছে বিক্রি হচ্ছে এ মাছ। সেই সঙ্গে বাণিজ্যিকভাবে চাষও হচ্ছে।

সরেজমিনে মঙ্গলবার (১১ই নভেম্বর) দুপুরে আশুলিয়া থানার সামনে ১৬০ থেকে ১৮০ কেজি দরে এ মাছ বিক্রি করতে দেখা গেছে।
আমাজান নদীর এ মাছ চাষ ও বিক্রি নিষিদ্ধ। বাজারে রূপচাঁদা মাছের দাম ক্রেতাদের নাগালের বাইরে। আর এ সুযোগটা কাজে লাগিয়ে রূপচাঁদা মাছের নামে মানুষখেকো পিরানহা খাওয়ানোর ফাঁদ পেতেছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। মাছটি বাজারে বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন নামে।
মাছটি কখনো বিদেশি রূপচাঁদা, কখনো হাইব্রিড রূপচাঁদা, কখনো বা চাষের রূপচাঁদা নামে বিক্রি করা হচ্ছে। অসচেতন ও দরিদ্র মানুষ কম দাম পেয়ে নিজের অজান্তেই ভয়ংকর এ মাছটি কিনে খাচ্ছে।
পিরানহা আমাজান নদীর ভয়ংকর মাংসাশী প্রাণী। রক্তের গন্ধ পেলে হিংস্র হয়ে ওঠে এ ভয়ংকর প্রাণীটি। অত্যন্ত মজবুত আর ধারালো দাঁতের অধিকারী এ মাছের খাদ্য তালিকায় রয়েছে মানুষের মাংস, মৃত কুমিরের মাংস, ছোট মাছ, ব্যাঙসহ প্রায় সব ধরনের মাংস।
এদিকে বাজারে পিরানহা মাছের যোগান দিতে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জলাশয়ে এ মাছের চাষ করা হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে এ মাছ মুক্ত জলাশয়ে ছড়িয়ে পড়ছে। ফলে দ্রুত বর্ধনশীল এ মাছ অন্যান্য প্রজাতির মাছের বংশ বিস্তারকে বাধাগ্রস্ত করছে। বিশেষ করে দেশীয় প্রজাতির মাছ বিলুপ্তির দিকে যাচ্ছে।
পিরানহা মাছ বিক্রেতা মোঃ সুমন মিয়া দৈনিক দেশের কন্ঠকে জানান, ‘এ মাছটি ময়মনসিংহ, কুমিল্লা, সাতক্ষীরা, সিলেটসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে আশুলিয়ার বাইপাইল মাছ বাজারে নিয়ে আসা হয়। বাইপাইল বাজার থেকে পাইকারি দরে আমরা খুচরা বিক্রেরা কিনে নিয়ে আসি।’
এ মাছ বেচাকেনা নিষিদ্ধ, বিষয়টি জানেন কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে সুমন মিয়া বলেন, ‘জানি না, কিন্তু এ মাছতো অনেকেই কিনছে।
এছাড়া পিরানহা মাছের মধ্যে যেগুলো বিদেশ থেকে আমদানি করা হয় সেগুলো খেলে ক্ষতি হয়। দেশে চাষ করাগুলো খেলে ক্ষতি হয় না। নেন এক কেজি আপনার কাছ থেকে দাম কম রাখুম।’