
স্টাফ রিপোর্টার, কুড়িগ্রাম :
আজ মঙ্গলবার ২১মে ২৪ কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আর মাত্র কয়েক ঘন্টা পর জানা যাবে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদের ২য় দফা নির্বাচনে কে হচ্ছেন উপজেলা চেয়ারম্যান। জেলার কুড়িগ্রাম সদর, রাজারহাট এবং উলিপুর ৩ উপজেলায় ২য় দফা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তবে সদর উপজেলা নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনী প্রচারনায় প্রার্থীরা একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ করছেন, কোনো কোনো প্রার্থী ব্যক্তিগত ভাবমূর্তিকে এমনভাবে মাটির সাথে মিশিয়ে দিয়ে ১৯ মে প্রচারণার শেষ দিনে নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা শেষ করেছেন।
এখন দেখার পালা কে হচ্ছেন কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। গুরুত্ব বিবেচনায় কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার নির্বাচনের দিকে দৃষ্টি সবার। এবারের কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোট ১১ প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। প্রতীক পাওয়ার পরপরেই প্রার্থীরা নিজেদের একজন ভালো মানুষ, সৎ মানুষ, দূর্নীতিমুক্ত মানুষরূপে নিজেদের হাজির করে ভোট প্রার্থনা করে ভোটারদের দ্বারে- দ্বারে ঘুরেছেন। কোনো কোনো প্রার্থী রাস্তায় জীর্ণশীর্ণ ভোটারকে বুকে টেনে নিয়ে ভোট চাইছেন। বহুবিধ উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ছুটেছেন প্রার্থীরা। হোটেল রেস্তোরাঁয় মুখরোচরক আলাপচারিতায় কে কোন্ প্রার্থীকে ভোট দিবেন সে বিষয় নিয়ে সর্বত্র চলেছে তুমুল বাকযুদ্ধ।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ৮ টি ইউনিয়ন এবং ১ টি পৌরসভার জনসমাগম এলাকায় প্রতিদিন কোন না কোন প্রার্থীর আয়োজনে পৃথক পৃথক পথসভা হয়েছে, গুরুত্বপূর্ণ সড়ক, মহাসড়ক গুলোতে দেখা গেছে প্রার্থী ও সমর্থকদের মোটরবাইকের জৌলুসময় শোডাউন। মাইকিং ,দেয়ালে দেয়ালে সাটানো হয়েছে রঙিন পোস্টার।
প্রচরণার শেষ মুহুর্তে অনাকাঙ্খিত তিন-চারটি জায়গায় বিচ্ছিন্ন সংঘর্ষের ঘটনা ব্যাতিত অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। প্রশাসনের পক্ষ থেকেও নেয়া হয়েছে সর্বোচ্চ সতর্কতা।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এবারে চেয়ারম্যান পদে ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে জেলা আওয়ামিলীগের সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমান উদ্দিন আহমেদ মন্জু (মোটরসাইকেল)
জেলা আওয়ামিলীগের সভাপতি ও সাবেক এমপি মো. জাফর আলীর পুত্র ও জেলা আওয়ামীলীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক মো. মনজুরুল ইসলাম রতন (আনারস) এবং জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন নয়ন (ঘোড়া) এবং অপর দুই প্রার্থীর মধ্যে মো. আব্দুল্লাহ মিয়া বাবলু (কাপপিরিচ)মো. সাইদুল হাসান দুলাল (দোয়াত কলম) প্রতীক নিয়ে একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী হিসেবে অবতীর্ণ হয়েছেন। তবে নির্বাচনী মাঠে সরব আনারস, মটরসাইকেল এবং ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থীগণ। কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এই তিন প্রার্থীর মধ্যে এিমুখী নির্বাচনী লড়াইয়ের সম্ভাবনাই বেশি।
রাজনৈতিক বিবেচনায় কুড়িগ্রামের মানুষ আওয়ামিলীগ, বিএপি, জাতীয় পার্টি,জামায়াতে ইসলামি, এবং ইসলামি আন্দোলন এই ৫ দলে বিভক্ত। বিএনপি জাতীয় পার্টি,জামায়াত,ও ইসলামি আন্দোলন থেকে কেউ প্রার্থী হননি। এসব দলথেকে সতন্ত্র নামে কোন প্রার্থী এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে না। সেই হিসেবে আওয়ামিলীগের দখলেই নির্বাচনী মাঠ। কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার এই নির্বাচনী মাঠে জেলা আওয়ামিলীগের সাধারণ সম্পাদক, সভাপতির পুত্র এবং ছাত্রলীগ তথা আওয়ামিলীগের প্রার্থীগনই তাদের নিজ নিজ সমর্থকদের সাথে নিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার হচ্ছে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর একে অপরের কেচ্চা কাহিনী।
সাধারণ ভোটাররা চুপচাপ, বিরোধী রাজনৈতিক দল নির্বাচনে না থাকায় সাধারণ ভোটারদের মধ্যে তেমন আগ্রহ নেই। কেউ কাউকে বলছেনা কে কোন প্রার্থীকে ভোট দিবেন। সাধারণ ভোটারদের মাঝে নিরবতা থাকলেও আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত নেতাকর্মী ও সমর্থকরা হাজারো অভিযোগ করছেন একে অপরের বিরুদ্ধে। সাধারণ ভোটারদের সাফ কথা বিরোধী দলের কোনো প্রার্থী না থাকা এবং প্রায় সকল প্রার্থী সরকার সমর্থক তাই যোগ্য প্রার্থীকেই ভোট দেব।
সম্পাদক ও প্রকাশক : খোকন হাওলাদার, যোগাযোগ : আমির উদ্দিন সুপার মার্কেট (২য় তলা), নিশ্চিন্তপুর (দেওয়ান পাম্প সংলগ্ন), আশুলিয়া, ঢাকা- ১৩৪৯, বার্তা কক্ষ: ০৯৬৯৬৮২০৬৮১, ইমেইল : ajkerpratidin@gmail.com।
Ajker Pratidin গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠান © 2018-2024 ajkerpratidin.com সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।