
আগৈলঝাড়া (বরিশাল) প্রতিনিধিঃ বরিশালের আগৈলঝাড়ায় ০৫ নং রত্নপুর ইউনিয়ন কাজীরহাট বাজার সন্ত্রাসী, মাদক সেবনকারী এবং চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী সাইফুল সেপাইর হামলায় নাঈম ভূঁইয়া (২৮) আহত হয়েছেন।

সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা অনুমান ০৬.৩০ মিনিটের সময় আগৈলঝাড়া থানাধীন ০৫ নং রত্নপুর ইউনিয়নের কাজীরহাট বাজার এ ঘটনা ঘটে।
আহত নাঈম ভূঁইয়া বলেন আমি ৫ নং রত্নপুর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডে গ্রাম পুলিশ হিসেবে সততার সাথে দায়িত্ব পালন করিয়া আসিতেছে। মাদক ব্যবসায়ীর সাইফুল সেপাই আমার এলাকার সহ আশেপাশের এলাকার মাদক বিক্রি করে যুব সমাজকে নষ্ট করে ফেলছে এবং যাকে তাকে মারধর করে বেড়ায় দেখিয়া আমি অনেকবার সু-পথে আসার কথা বল্লে তারা আমার কথার কোন কর্ণপাত না করিয়া উল্টো আমাকে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি প্রদর্শন করিয়া আসছিলো।
মাদক ব্যবসায়ীর সাইফুল সেপাই আমাকে রাস্তা ঘাটে এমনকি আমার বসত বাড়িতে যাইয়া আমাকে সহ আমার পরিবারের বাকি সদস্যদের বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি প্রদর্শন করিয়া আসিতেছিল। পূর্বের বিরোধীতার জের ধরে সোমবার সন্ধ্যায় আগৈলঝাড়া থানাধীন ০৫ নং রত্নপুর ইউনিয়ন কাজীরহাট বাজার গেলে সাইফুল সেপাই (৩০), সাব্বির সিকদার (২০), রবিউল ভুইয়া (২৩), ইমন ভুইয়া (১৯) সহ তাহাদের সাতে থাকা আরো অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জন সন্ত্রাসী আমাকে চারপাশ থেকে ঘিরিয়া রাখে।
আমি তাহাদেরকে আমার পথ ছাড়িয়া দিতে বলিলে উপরোক্ত সকল বিবাদীরা আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। আমি তাহাদের গালিগালাজ করিতে নিষেধ করিলে সাব্বির সিকদার, রবিউল ভুইয়া ও ইমন ভুইয়া তাদের হাতে থাকা জিআইপ পাইপ এবং হকস্টিক দিয়া আমাকে এলোপাথারী পিটাইয়া আমার শরীরের বিভিন্নস্থানে নীলা-ফোলা ও বেদনাদায়ক জখম করিয়া রাস্তায় উপর ফেলাইয়া দেয় আমি তখন তাহাদের হাত থেকে আমার জীবন রক্ষার্থে ডাক চিৎকার করিলে ন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ীর সাইফুল সেপাই ক্ষিপ্ত হইয়া আমাকে খুন করার উদ্দেশ্যে তাহার হাতে চাইনিজ কুঠার (কুড়াল) দিয়া আমার মাথার উপর কোপ মারে যাতে আমি রক্তাক্ত হইয়া রাস্তার পরিয়া যাই। আমার ডাক চিৎকার শুনিয়া উপরোক্ত স্বাক্ষীরা এবং বাজারের উপস্থিত আশেপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে আসিয়া পরিলে সাইফুল সেপাই তাহাদের উপস্থিতি টের পাইয়া আমাকে বলে যে, এই বিষয়ে নিয়া আমি যদি কারো কাছে মুখ খুলি কিংবা আইনের আশ্রয় নেই তাহলে পরবর্তীতে আমাকে সহ আমার পরিবারের বাকি সদস্যদের খুন জখম করিবে বলিয়া হুমকী প্রদান করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
আমার ডাক চিৎকার শুনে রাসেল ভুইয়া, সিদ্দিক ভুইয়া, রিফাত কাজী ও সিরাজ ভুইয়া আমাকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখিতে পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে আগৈলঝাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
এব্যাপারে আগৈলঝাড়া থানার এস আই মোঃ তরিকুল ইসলাম বলেন হামলার ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে এবিষয়ে খোজ খবর নিয়েছি এবং নাঈমের সাথে কথা হয়েছে তারা থানায় এসে মামলা দায়ের করিরে আমরা মামলা নিবো এবং তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।