সম্রাট আলাউদ্দিন, ধামরাই (ঢাকা) প্রতিনিধিঃ ধামরাই উপজেলার সোমভাগ ইউনিয়নের সোমভাগ কাটাখালী এলাকায় কেলিয়ার উত্তরপাশে বংশী নদী ভরাট চলছে ধানের চাতালের ছাই দিয়ে। ভরাটের ফলে নদীর গতিপথে বাঁধা সৃষ্টি হচ্ছে। দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। প্রশাসনের নাকের ডগায় চলছে ছাই দিয়ে ভরাটের কর্মযজ্ঞ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার কুল্লা ইউনিয়নের কেলিয়া এলাকায় কে এন্ড কে অটোরাইস মিল, কাদের আটো রাইস মিল,সৌদিয়া অটো রাইস মিল,সুষমা অটো রাইস মিল মালিকরা নদী ভরাট করে পানি চলাচলের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে।ছাইয়ের কারণে রাস্তা দিয়ে মানুষের চলাচল করতে অসুবিধা হচ্ছে। একটু বাতাসেই ছাই উড়ে মানুষের চোখ-মুখ ভরে যায়। আশে পাশের বাড়িঘর গাছপালা ফসলের ক্ষেতে ছাইয়ের স্তর পড়েছে। ছাই নদীর পানিতে ভেসে যাওয়ার কারণে ওই পানি দিয়ে কোনো ধরনের কাজ করতে পারছেন না স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে স্থানীয়রা বলেন,প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে নয়, উপজেলা ও পৌরসভা থেকে মাত্র এক কিলোমিটার পশ্চিমে ধামরাই থেকে কালামপুর সড়কের পাশেই চলছে ভরাটের কাজ। প্রতিদিন প্রশাসনের কোনো না কোনো কর্তা এ রাস্তা দিয়েই যাতায়াত করছেন। কিন্তু ভরাটরোধে কেউ পদক্ষেপ নিচ্ছেন না। সুষমা রাইস মিলের শ্রমিক ছাই ফেলতে আসা ভ্যানচালক আজগর আলী বলেন, আমি কাম করি সুষম রাইস মিলে, কর্তৃপক্ষ আমারে এইহানে ফালাইতে কয় তাই আমি এইনে ছাই ফালাই। এইডা আমাগো মালিকের জায়গা।
এ বিষয়ে সৌদিয়া রাইস মিল কর্তৃপক্ষ বলেন, আমরা ছাই বিক্রি করি, নদী সংলগ্ন আমাদের জায়গায় কে বা কাহারা ছাই ফেলে তা আমাদের জানা নেই আমরা গতকাল টিন দিয়ে বেষ্টিনী দিয়েছি যাতে অন্য কেউ ওখানে ছাই না ফেলতে পারে।কে এন্ড কে এবং কাদের অটো রাইস মিলের কেউ সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে রাজি হয়নি।স্থানীয় সুমন বলেন, মিলের মালিকরা প্রভাবশালী হওয়াতে প্রশাসনের চোখে এসব ধরা পড়ে না। ভরাট করেই বিক্রি করছে প্রভাবশালীরা।কেলিয়া গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা জহিরুল ইসলাম জুয়েল বলেন, একদিকে সরকার নদী খননে কোটি কোটি টাকা খরচ করছে অপরদিকে ধামরাইয়ে নদী ভরাট করে দখল চলছে। প্রশাসনের সংশ্লিষ্টদের কাছে অনুরোধ করবো এব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে।
এব্যাপারে ধামরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ বলেন, এ বিষয়টা আমার জানা নেই, এলাকাবাসী লিখিত অভিযোগ দিলে আমি ব্যবস্থা নেবো।