সম্রাট আলাউদ্দিন, ধামরাই (ঢাকা) : টাইফয়েড জ্বরের ভয়াবহতা থেকে শিশুদের সুরক্ষায় সারাদেশের মতো ঢাকার ধামরাইয়েও শুরু হয়েছে জাতীয় টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচি।
রোববার (১২ অক্টোবর) সকালে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মঞ্জুর আল মোর্শেদ।উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, আগামী কয়েক সপ্তাহ ধরে ধামরাই উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন ও পৌর এলাকার স্কুল, মাদ্রাসা ও অস্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রে এই কার্যক্রম চলবে।
৯ মাস থেকে ১৫ বছর বয়সী প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার শিশু-কিশোর এই কর্মসূচির আওতায় টিকা পাবে। টিকাদান কার্যক্রমে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন অভিভাবকেরা,স্থানীয় অভিভাবক মীর আকিব আলী বলেন, সরকার বিনামূল্যে এমন টিকা দিচ্ছে এটা প্রশংসনীয় উদ্যোগ। এখন আমাদের সন্তানরা টাইফয়েড থেকে অনেকটা নিরাপদ থাকবে।আরেকজন অভিভাবক সাফায়েত খান ওপেল বলেন,আমাদের এলাকায় আগে টাইফয়েডে অনেক শিশু অসুস্থ হতো। এখন আশা করি এ রোগের প্রকোপ কমে যাবে।দেশব্যাপী টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচি সরকারের এক ঐতিহাসিক জনস্বাস্থ্য উদ্যোগ বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, এই কার্যক্রম শিশুদের দীর্ঘমেয়াদি সুরক্ষা দেবে এবং ভবিষ্যতে রোগপ্রবণতা কমিয়ে আনবে। সব মিলিয়ে ধামরাইয়ে টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচি সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে।
এতে দেশের শিশুস্বাস্থ্য উন্নয়ন ও জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মঞ্জুর আল মোর্শেদ বলেন,টাইফয়েড একটি মারাত্মক ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ। সময়মতো টিকা নিলে এটি পুরোপুরি প্রতিরোধ করা সম্ভব। এই টিকা সম্পূর্ণ নিরাপদ এবং কার্যকর।যে রেজিস্ট্রেশন করেছি তাতে আমরা আশাবাদী উপজেলার সকল নয় থেকে ১৫ মাস বয়সী সকল শিশুকে এই ভ্যাকসিনেশন কর্মসূচির আওতায় আনতে পারব।তিনি আরোও বলেন, ‘আমাদের এখানে স্বাস্থ্য বিভাগ কাজ করছে, উপজেলা প্রশাসন কাজ করছে, পুলিশ প্রশাসন কাজ করছে। সকলের সহযোগিতায় আমরা চাই যে আমাদের একটি শিশুও যেন এই ভ্যাকসিনেশন থেকে বাদ না পড়ে।টিকাটি শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে এবং এর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।