
চটগ্রাম প্রতিনিধি : দেশের রাজনীতিতে বইতে শুরু করেছে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হওয়া। জামায়াতে ইসলামী, গণঅধিকার পরিষদ,বাংলাদেশখেলাফত মজলিসসহ বিভিন্ন দল আসন ভিত্তিক প্রার্থী বাছাই ও ঘোষণা দিচ্ছে বেশ আগে থেকে। অবশ্য এই মুহূর্তে দেশেরসবচেয়ে বড় দল বিএনপি । ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সারাদেশের ২৩৭ আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছেবাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থীদের নামঘোষণা করেন।

চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা-কর্ণফুলী) আসনে ক্লিন ইমেজ বিএনপির প্রার্থী হিসেবে ওয়ান-ইলেভেনের পরীক্ষিত নেতা সরওয়ারজামাল নিজাম মনোনয়ন পাওয়ায় স্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে স্বস্তির বাতাস বইছে। প্রতিবারের মতোই দলের পরীক্ষিত ও ত্যাগীএই নেতাকে প্রার্থী করায় তৃণমূল পর্যায়ে নতুন উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে।
সরোয়ার জামাল নিজাম ১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১৩ আসন থেকে বিএনপিরমনোনীত প্রার্থী হিসেবে বিপুল ভোটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি আনোয়ারা ও কর্ণফুলী অঞ্চলেবিএনপির রাজনীতিকে তৃণমূল পর্যায়ে সংগঠিত করেছেন।
স্থানীয় নেতাকর্মীরা বলছেন, ওয়ান-ইলেভেনের সময় দক্ষিণ চট্টগ্রামের বিএনপির কোনো নেতাকে জেলে যেতে হয়নি, কিন্তুসরওয়ার জামাল নিজাম তখন দীর্ঘ সময় কারাভোগ করেছে। কারণ, দেশের অন্যতম ফ্যাসিস্ট ও স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগেরঅর্থ জোগানদাতা আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু পরিবার এলাকায় ছিলেন। তারা নিজাম পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করে দিতেচেয়েছিল কিন্তু পারেনি। দল নিজাম এর সেই ত্যাগ ও অবস্থান বিবেচনা করেই মনোনয়ন দিয়েছে।সরওয়ার জামাল নিজামদলের দুঃসময়ে পাশে ছিলেন এবং দলের জন্য মাঠে কাজ করেছেন। তার মনোনয়নে বিএনপির অভ্যন্তরীণ বিভাজন কমবে বলেআশা করা হচ্ছে।
পাশাপাশি এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে চলা চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি ও প্রভাব খাটানো রাজনীতি বন্ধ হবে এমন প্রত্যাশা করছেনসাধারণ মানুষও।
আনোয়ারা উপজেলা বিএনপির নেতা আবছার বলেন, আনোয়ারা-কর্ণফুলী শান্তিপূর্ণ এলাকা,তাই এই এলাকার প্রতিনিধিত্বকরার জন্য নিজাম ভাইয়ের মতো সৎ, পরিশ্রমী ও শান্তিপ্রিয় নেতার প্রয়োজন। প্রতিবারই তিনি তার রাজনৈতিক প্রজ্ঞার মাধ্যমেআনোয়ারা-কর্ণফুলীতে শান্তি বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছেন। সৎ, যোগ্য ও ক্লিন ইমেজের নেতাদের মনোনয়ন দেবে বিএনপি।কোনো চাঁদাবাজ, ঋণ খেলাপী, ভূমি দখলকারী বিতর্কিত ব্যক্তিকে মনোনয়ন দেয়ার সুযোগ নেই।
উপজেলা বিএনপির নেতা শহিদুল আলম বলেন, অত্যন্ত সৎ, ভদ্র, প্রাজ্ঞ ও অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ ও তিনবারের সাবেক সংসদসদস্য সরওয়ার জামাল নিজাম কে অনেক যাচাই-বাছাই ও হিসাব নিকাশ করে সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী হিসেবে মনোনয়নদিয়েছেন জিয়া পরিবার ও বিএনপির হাইকমান্ড। তিনি ওয়ান-ইলেভেনের কারা নির্যাতিত নেতা পরীক্ষিত রাজনীতিবিদ।২০১৮সালে নির্বাচন করতে এসে হামলার শিকার হয়। বটতলীতে বিশাল শোডাউন দেন।২০২২ সালের ৫ই অক্টোবর তারুণ্যেরসমাবেশে বিশাল মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন।২০২৩ সালে ঢাকার যুব সমাবেশে সংহতি প্রকাশ করতে গিয়েছিলেন।দেশের বাইরেথাকার পর ও ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবরের সমাবেশে সরওয়ার জামাল নিজাম নির্দেশে উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সিনিয়রযুগ্ন আহবায়ক এম মঞ্জুর উদ্দিন চৌধুরী ও ইউনুস চৌধুরী নেতৃত্বে ব্যানার নিয়ে নেতাকর্মীরা ঢাকার রাজপথে সমাবেশে যোগদানকরেন।অপপ্রচার চালিয়ে উনার অগ্রযাত্রাকে রোধ করা যাবে না।
আনোয়ারা উপজেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক মোশাররফ হোসেন বলেন, আনোয়ারা-কর্ণফুলীর উন্নয়নের জন্য সরওয়ারজামাল নিজামের বিকল্প নেই। কারা সুশিক্ষিত, ভদ্র, মার্জিত ও ক্লিন ইমেজের, কাদের নামে সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও চাঁদাবাজিরঅভিযোগ নেই, বিশেষ করে ৫ আগস্টের পর কারা দখল-দুর্নীতিতে জড়িত হননি। সেই সঙ্গে এলাকায় জনপ্রিয়তার বিষয়টিওপ্রাধান্য দেওয়া হইছে। সবকিছু মিলিয়ে সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য প্রার্থীকেই মনোনয়ন দেওয়া হইছে।এখনো অতীতের উন্নয়ন দৃশ্যমান।দেশের মানুষ শান্তি চায়। তিনি ক্লিন ইমেজের একজন নেতা এবং দলের দুঃসময়ে নেতাকর্মীদের পাশে ছিলেন। আনোয়ারাউপজেলা এখন একটি শিল্প নগরী এই শিল্প নগরীতে সিন্ডিকেট ও দখলবাজদের তিনি কখনো আশ্রয় দেননি।