
আশুলিয়া (ঢাকা) প্রতিনিধি : আশুলিয়ার ইপিজেড এলাকায় স্থানীয় যাত্রীদের দীর্ঘদিনের ভোগান্তি লাঘবে একটি যাত্রী ছাউনি নির্মাণ কাজ শুরু হলে তাতে বাধা দেন আশুলিয়া থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব আব্দুল গফুর মিয়া—এমন অভিযোগ উঠেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এলাকার হাজারো মানুষের প্রতিদিনের চলাচলের সুবিধার্থে দীর্ঘদিন ধরেই একটি স্থায়ী যাত্রী ছাউনির দাবি জানিয়ে আসছিলেন স্থানীয়রা। সম্প্রতি নির্মাণকাজ শুরু হলে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ব্যক্তিগত স্বার্থের কারণে আলহাজ্ব আবদুল গফুর মিয়া কাজটি বন্ধ করে দেন বলে অভিযোগ তুলেছেন এলাকাবাসী।
এ ঘটনায় যাত্রী ও সাধারণ মানুষের মাঝে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। তারা দাবি জানিয়েছেন—অবিলম্বে বাধা অপসারণ করে যাত্রী ছাউনি নির্মাণ কাজ সম্পন্নের মাধ্যমে ভোগান্তি দূর করতে হবে। স্থানীয় প্রশাসন পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে বলেও জানা গেছে।
যাত্রী ছাউনি নির্মাণের এই উদ্যোগ নিয়েছেন স্থানীয় সমাজসেবক হাজী মো. ইসরাফিল হোসেন। উদ্যোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “প্রতিদিন হাজারো মানুষের চলাচলের এই গুরুত্বপূর্ণ সড়কে যাত্রী ছাউনি না থাকায় সাধারণ মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েন। তাই মানবিক দিক বিবেচনায় আমি নিজ উদ্যোগে কাজটি শুরু করেছি। এটি হলে মানুষ কিছুটা হলেও স্বস্তি পাবে।”
কিন্তু মানবিক এই উদ্যোগে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে আশুলিয়া থানা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব আবদুল গফুর মিয়ার নেতাকর্মীদের একটি চক্র— যারা আগে এই সড়কে প্রায় পাঁচশ অটোরিকশা থেকে মাসিক তিন হাজার টাকা করে চাঁদা আদায় করত। ফুটপাতেও ছিল তাদের দখলদারি—দোকান বসিয়ে চলত নিয়মিত চাঁদা তোলা। ফলে অটোরিকশার এলোমেলো চলাচল আর অসহনীয় যানজট ছিল প্রতিদিনের যন্ত্রণা।
এর আগেও আশুলিয়ার ডিইপিজেড–ভাদাইল সড়কে দীর্ঘদিনের যানজট, ফুটপাত দখল, অব্যবস্থাপনা দূরীকরণ এবং নানা মানবিক উদ্যোগে কাজ করে স্থানীয়দের প্রশংসা কুড়িয়েছেন সমাজসেবক হাজী মো. ইসরাফিল হোসেন।