
সম্রাট আলাউদ্দিন, ধামরাই (ঢাকা) : ঢাকার ধামরাইয়ে এক গার্মেন্টস কর্মীকে উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় কলেজ শিক্ষককে পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) সন্ধ্যায় উপজেলার নান্নার ইউনিয়নের কালিদাসপট্টি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।আহতরা হলেন, ডা. আমিনুর রহমান বিএম কলেজের প্রিন্সিপাল শিক্ষক নজরুল ইসলাম (৫০), হযরত আলী (২৫), সিফাত (১৮), তোফাজ্জল (৩০), আছিয়া বেগম (৬০)। এরা সকলেই নান্নার ইউনিয়নের কালিদাসপট্টি গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা।আহত শিক্ষক নজরুল ইসলাম জানায়, গত ২৫ মার্চ বিকেলে এক নারী গার্মেন্টস কর্মীকে উত্ত্যক্ত করেন খোরশেদ নামের একজন ভ্যানচালক।
ঘটনার এক পর্যায়ে সে ওই ভুক্তভোগী নারীর হাত ধরে টানাটানি করলে আমার ভাই হযরত প্রতিবাদ করে। এতে খোরশেদ ও আলিমুদ্দিন একত্র হয়ে কয়েকজনে হযরতকে মারধর করে। পরে সন্ধ্যায় আমি হযরতকে নিয়ে এলাকার জাহাঙ্গীর মার্কেটের সামনে যায় আমার ভাইকে কেন মারধর করা হয়েছে বিষয়টি জানতে। ঘটনাস্থলে পৌছানো মাত্রই আগে থেকে প্রতুতি নেয়া ২০/২৫ জন আমাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়।
এসময় আলিমুদ্দির ছেলে পুলিশ কনস্টেবল পুলিশের পোশাক পরিহিত অবস্থায় আমাদের উপর হামলা চালায়। এতে মারাত্মক ভাবে জখম হয়ে আমার ছোট ভাই হযরত দুইদিন এনাম মেডিকেল কলেজের আইসিইউতে ভর্তি ছিলেন, এছাড়া আমি সহ আমার চাচা ও চাচাত ভাইয়েরা ৫ জন চিকিৎসাধীন রয়েছি। আমার মাথার পেছনে আঘাত লেগে মাথা ফেটে গেছে।
ভুক্তভোগী ওই নারী জানান, খোরশেদ নামের অটোরিক্সা চালক আমাকে তার রিক্সায় জোড়পূর্বক উঠাতে চায়, না উঠলে সে আমার হাত ধরে টানাটানি করে এবং তার অটোতে টান দিয়ে উঠায় কিন্তু আমি নেমে যাই। বাড়ি এসে আমার স্বামীর কাছে এই ঘটনা জানাই।
প্রত্যক্ষদর্শী আমির হোসেন জানান, ২৫ তারিখ সন্ধ্যা সাতটার দিকে জাহাঙ্গীর মার্কেটের সামনে আলিমুদ্দি চাচা ও হযরতের মধ্যে ঝগড়া হয়। এঝগড়ার এক পর্যায়ে আলিমুদ্দির ছেলে পুলিশ কনস্টেবল জোবায়ের পুলিশের পোশাক পরিহিত অবস্থায় হকি নিয়ে এসে মাথায় আঘাত করে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য জোবায়ের আলমের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এবিষয়ে ধামরাই থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) সিরাজুল ইসলাম শেখ বলেন, এঘটনায় দুই পক্ষই অভিযোগ করেছেন। তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।