তিতাস (কুমিল্লা) প্রতিনিধিঃ
কুমিল্লার হোমনা উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক একেএম ছিদ্দিকুর রহমান আবুলের(মোটরসাইকেল)মার্কার গন জোয়ার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে।
জানা যায়,তিনি প্রতিদিনই হোমনা উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার, গ্রাম গঞ্জ ও পাড়া-মহল্লায় গিয়ে গনসংযোগ ও উঠান বৈঠক এবং নির্বাচনী পথসভা করে জনগণের কাছে মোটরসাইকেল প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করছেন।সাবেক ছাত্রনেতা একে এম ছিদ্দিকুর রহমান আবুলকে (মোটরসাইকেল)মার্কায় উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে পাওয়ার প্রত্যাশা করছেন দলের তৃণমূল নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের বেশিরভাগ জনসাধারণ।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে আগামী ৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে হোমনা উপজেলা পরিষদের নির্বাচন। ওই নির্বাচনে মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে ভোট যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন উপজেলা আ.লীগের বিপ্লবী সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ছাত্রনেতা একেএম ছিদ্দিকুর রহমান আবুল।
তাঁর রাজনৈতিক শিকড় অনেক গভীরে যা পরিমাপ করা অসম্ভব। তাঁর দীর্ঘ রাজনৈতিক কর্মকান্ড গুলো উল্লেখ করা হলো যেমন-তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ বুকে ধারণ করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং টানা চতুর্থবারের মতো নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এমপি’র একজন বিশ্বস্ত ভ্যানগার্ড হিসেবে পরিচিত। ছাত্র রাজনীতি দিয়ে তাঁর রাজনীতিতে হাতেখড়ি।তিনি দক্ষতার সহিত ২০০৪ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত হোমনা উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।ছাত্র রাজনীতি থেকে এখনও পর্যন্ত দলের জন্য নিরলসভাবে মাঠে কাজ করে যাচ্ছেন জনাব ছিদ্দিকুর রহমান আবুল।দলের দুঃসময়ে বিএনপি- জামায়াত ও শিবিরের হামলা-মামলার শিকার হয়ে একাধিকবার কারাবরণ করেছেন হোমনা উপজেলা আ.লীগের বিপ্লবী সাধারণ সম্পাদক ছিদ্দিকুর রহমান আবুল। তিনি কুমিল্লার হোমনা উপজেলার মহিষমারী গ্রামে ১৯৬৯ সালের ১৭ ই সেপ্টেম্বর এক মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন।
বর্তমানে বাস করছেন হোমনা উপজেলার হোমনা পশ্চিম পাড়া গ্রামে।বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ একেএম ছিদ্দিকুর রহমান আবুল-এর পিতার নাম মরহুম নূরুল ইসলাম ভূইয়া ও মাতার নাম মোসামৎ মোমেনা ইসলাম। তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি.এস. এস ডিগ্রী লাভ করেন। পেশায় তিনি একজন সফল ব্যবসায়ী। ব্যবসার পাশাপাশি তিনি আওয়ামী রাজনীতিতে হোমনা উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক, কুমিল্লা উত্তর জেলা শাখার অন্যতম সদস্য । তিনি সফলতার সহিত ১৯৯০ সাল থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত হোমনা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
এছাড়া নিষ্ঠার সঙ্গে তিনি ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত কুমিল্লা উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৯২ ইং সাল থেকে ১৯৯৩ ইং সালের শিক্ষাবর্ষে হোমনা সরকারি কলেজের ছাত্র সংসদের ভিপি নির্বাচিত হয়েছিলেন একেএম ছিদ্দিকুর রহমান আবুল। এরপর তিনি ২০০১ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত হোমনা উপজেলা আ.লীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন।
রাজনৈতিক কারণে তাঁর নিপীড়ন নির্যাতনের বিবরণ নিম্নে তুলে ধরা হলো।১. ১৯৯১ সাল থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত বিএনপি সরকারের আমলের স্থানীয় এমপি ও মন্ত্রী এমকে আনোয়ারের দায়েরকৃত ১২টি মিথ্যা মামলার আসামি হয়ে একাধিকবার কারাবরণ করেন। ২. তাঁর নামে ১২টি মামলা দায়ের করার পরও তাঁকে দলীয় কর্মকান্ড থেকে বিরত রাখতে না পারায় ১৯৯৫ ইং সালে এমকে আনোয়ারের নির্দেশে হ ত্যার উদ্দেশ্যে তাঁকে গু লি করা হয়। গু লিতে আ হত হয়ে দীর্ঘ ৬ মাস ঢাকা পঙ্গু হাসাপাতালে তিনি চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় তাঁকে দেখতে হাসাপাতালে ছুটে গিয়েছিলেন তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। ৩. এছাড়া ২০০১ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত বিএনপি- জামায়াত জোট সরকারের মন্ত্রী এমকে আনোয়ারের আমলে হ ত্যা মামলাসহ তাঁর নামে ১৬টি মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছিল। ৪. বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের মন্ত্রী এমকে আনোয়ারের দায়েরকৃত হয়রানীমূলক লাগাতার মিথ্যা মামলার শিকার হয়ে মুজিব আদর্শের রাজপথের লড়াকু সৈনিক জনাব ছিদ্দিকুর রহমান আবুলকে বহু পুলিশী নির্যাতন সইতে হয়েছিল এবং বহুবার কারাবাস করতে হয়েছিল।জনাব ছিদ্দিকুর রহমান আবুল সদ্য সমাপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী প্রার্থী অধ্যক্ষ আবদুল মজিদ এমপি’র নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ছিলেন। তিনি দলের তৃণমূল নেতাকর্মীদের নিয়ে উক্ত নির্বাচনে অধ্যক্ষ আবদুল মজিদ স্যারের বিপুল ভোটে বিজয় অর্জনে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে হোমনাবাসীর প্রিয় মানুষ জননেতা অধ্যক্ষ আবদুল মজিদ এমপি-র আশীর্বাদপুষ্ট একেএম ছিদ্দিকুর রহমান আবুলকে মোটরসাইকেল প্রতীকে যোগ্য প্রার্থী হিসেবেই হোমনা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে পেতে চায় আগ্রহী দলের তৃণমূল নেতাকর্মীসহ স্থানীয় জনগণ।তাঁর পক্ষে কমর বেঁধ মাঠে নেমেছেন দলীয় নেতাকর্মীরাসহ এলাকার নারী-পুরুষ ও আবালবৃদ্ধারা।তাঁরা প্রতিদিনই উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার, গ্রাম-গঞ্জ ও পাড়া-মহল্লায় গিয়ে ভোটের মাঠ চুষে বেড়াচ্ছেন এবং লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে ভোটারদের কাছে মোটরসাইকেল প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করছেন।