
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বরিশাল-১ (গৌরনদী-আগৈলঝাড়া) আসনের বিএনপিদলীয় চার মনোনয়নপ্রত্যাশীকে ডেকেছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আগামীকাল (সোমবার) বিকেল ৪টায় রাজধানীর গুলশান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হবে এ বৈঠক। বৈঠকে সরাসরি কথা বলবেন তারেক রহমান নিজেই।

দলীয় সূত্র জানায়, এ বৈঠকের পরই দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন আসনে চূড়ান্ত মনোনয়নপ্রাপ্তদের ‘সবুজ সংকেত’ দেওয়া শুরু হতে পারে। চলতি মাসের শেষ দিক থেকে নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
অন্যদিকে বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী) আসন থেকে কাউকে ডাকা হয়নি। মনোনয়ন নিয়ে জটিলতা ও স্থানীয় এক নেতার অনড় অবস্থানের কারণে সেখানকার প্রার্থীরা আপাতত তালিকার বাইরে রয়েছেন। বিষয়টি আলাদাভাবে নিষ্পত্তি করবে দলের হাইকমান্ড।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বরিশালের ২১টি নির্বাচনি এলাকার মধ্যে অধিকাংশ আসনেই বিএনপির প্রার্থী প্রায় চূড়ান্ত। সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি থেকে অক্টোবরের মাঝামাঝি পর্যন্ত চলা সাক্ষাৎকার প্রক্রিয়ার পর মাঠপর্যায়ের রিপোর্ট হাতে পেয়েছেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। এবার সেই রিপোর্ট ও সাংগঠনিক মূল্যায়নের ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন তিনি।
বরিশাল-১ আসনের যাদের বৈঠকে ডাকা হয়েছে তারা হলেন—বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক সংসদ সদস্য এম জহির উদ্দিন স্বপন, কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সোবহান এবং অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল।
কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান বলেন, “এ বৈঠকটি একটি সাংগঠনিক প্রক্রিয়া। বিএনপির মতো বড় দলে প্রতিটি আসনে একাধিক যোগ্য প্রার্থী আছেন। মনোনয়ন চাওয়ার সুযোগ সবার থাকলেও দলের নিজস্ব নীতিমালার ভিত্তিতেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এম জহির উদ্দিন স্বপন বলেন, “দল যে সিদ্ধান্ত নেবে, আমি ও আমার শুভাকাঙ্ক্ষীরা তা মেনে নিয়ে ধানের শীষের বিজয়ের লক্ষ্যে কাজ করব ইনশাআল্লাহ।”
কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সোবহান বলেন, “আমি ব্যক্তিস্বার্থে রাজনীতি করি না। দলের সিদ্ধান্ত মেনেই উন্নয়নমুখী রাজনীতিতে কাজ করে যাব।”
অন্যদিকে কেন্দ্রীয় সদস্য অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল বলেন, “দলের দুঃসময়ে রাজপথে ছিলাম, ভবিষ্যতেও সংগঠনের সিদ্ধান্ত মেনে দলের কর্মী হিসেবে জনগণের পাশে থাকব ইনশাআল্লাহ।”