দীর্ঘ ১৭ বছর পর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে ঘিরে রাজধানীতে সৃষ্টি হয়েছে উৎসবমুখর পরিবেশ। তার আগমনকে ঐতিহাসিক ও স্মরণীয় করে রাখতে রাজধানীর জুলাই এক্সপ্রেস সড়কে (৩০০ ফুট সড়ক) নির্মাণ করা হয়েছে বিশালাকার সংবর্ধনা মঞ্চ। নেতাকে বরণ করে নিতে দেশজুড়ে দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে বিরাজ করছে উচ্ছ্বাস ও আবেগ।
বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে দেশের মাটিতে পা রাখবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
তাকে স্বাগত জানাতে একদিন আগেই বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) ৩০০ ফুটের সমাবেশস্থলে জড়ো হয়েছেন অগনিত নেতাকর্মী। জাতীয় পতাকা, দলীয় পতাকা, ব্যানার-ফেস্টুন-প্ল্যাকার্ড আর নেতাকর্মীদের পদচারণায় পুরো এলাকা ইতোমধ্যে উৎসবমুখর হয়ে উঠেছে।সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সংবর্ধনা মঞ্চের নির্মাণকাজ শেষ পর্যায়ে। ব্যানার, পতাকা, তোরণ ও আলোকসজ্জায় সাজানো হয়েছে পুরো সমাবেশস্থল।
বুধবার কিশোরগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, কুষ্টিয়া, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রাম, রংপুর ও বগুড়াসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে নেতাকর্মীরা মঞ্চ এলাকা পরিদর্শনে আসেন। অনেকেই সমাবেশের আগের রাত থেকেই মাঠে অবস্থানের প্রস্তুতি নিয়ে এসেছেন। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মঞ্চের সামনে পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনীকেও টহল দিতে দেখা যায়। সেনাবাহিনীর একাধিক টিম গাড়িতে করে দফায় দফায় পুরো এলাকা পরিদর্শন করছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, যেকোনো ঝুঁকি এড়াতে সমন্বিতভাবে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
বগুড়া থেকে আসা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা সাইফুল ইসলাম বলেন, নেতাকে স্বাগত জানাতে যেভাবে মানুষ আসছে, তাতে মনে হচ্ছে এটা জাতীয় উৎসব। আমাদের জন্য এটা গর্বের ও সম্মানের দিন।
চট্টগ্রাম থেকে আগত যুবদলের কর্মী ইলিয়াস হোসেন বলেন, এত বড় জমায়েত মানুষ আগে দেখেনি। আমরা শুধু নেতাকে বরণ করতে আসিনি, প্রমাণ করতে এসেছি—এই নেতৃত্বের পেছনে জনগণ আছে।
দলীয় সূত্র জানায়, বিমানবন্দর থেকে বনানী ও কাকলী হয়ে সরাসরি সংবর্ধনা মঞ্চে যাবেন তারেক রহমান। তার প্রত্যাবর্তনকে স্মরণীয় করে রাখতে ৩০০ ফুট এলাকার সংলগ্ন মহাসড়কে নির্মাণ করা হয়েছে বিশাল এই মঞ্চ। গত রোববার দুপুর থেকে দিন-রাত পরিশ্রম করে শ্রমিকরা মঞ্চ নির্মাণে ব্যস্ত রয়েছেন। ৪৮ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৩৬ ফুট প্রস্থের মঞ্চটির সার্বিক প্রস্তুতি তদারকি করছেন সংবর্ধনা কমিটির সদস্যরা। পাশাপাশি সমাবেশ ঘিরে পুরো এলাকায় মোড়ে মোড়ে বসানো হয়েছে নিরাপত্তা চৌকি, নেওয়া হয়েছে বাড়তি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা।