1. admin@ajkerpratidin.com : admin : Khokon Howlader
  2. sardermasud348@gmail.com : Masud Sarder : Masud Sarder
  3. emranniloy53@gmail.com : NILOY :
  4. info.popularhostbd@gmail.com : PopularHostBD :
  5. rashedapple7@gmail.com : Rashed Ahmed : Rashed Ahmed
  6. khokon28.bd@gmail.com : Sohag Hossein : Sohag Hossein
সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:৪১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
নরসিংদী সুতার কারখানা আগুন পুড়ে ছাই মদন নতুন ইউএনওর যোগদান উপলক্ষে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত ধামরাইয়ে রাতের আঁধারে এক কৃষকের ‌সব লাউ গাছ কেটে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা রাণীশংকৈলে ইতিহাস সমৃদ্ধ নেকমরদ ওরশ মেলার বর্ণিল উদ্বোধন নরসিংদীতে দেশগ্রাম এর সাংবাদিক প্রশিক্ষণ কর্মশালা, সনদ বিতরণ এবং কমিটি গঠন অনুষ্ঠিত আশুলিয়ায় নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের উদ্যোগে খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত আনোয়ারায় চাতরী ইউনিয়নে বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল তিতাসে বেগম খালেদাজিয়ার রোগমুক্তি কামনায় মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত চিলমারী থানার ওসি আশরাফুল ইসলামের বিদায়: সহকর্মীদের সংবর্ধনায় আবেগমাখা দৃশ্য ঘোড়াশাল ট্র্যাজেডি দিবস: নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে

চবিতে ঠিকাদারকে মারধর: ২ লাখ টাকার কাজে ৩ লাখ টাকা চাঁদা দাবি

আজকের প্রতিদিন ডেস্ক ||
  • প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
  • ২৬৮ বার পড়া হয়েছে

ট্টগ্রাম : ২ লাখ ১৩ হাজার টাকায় একটি নামফলক তৈরির কাজে ঠিকাদারের কাছে ৩ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) শাখা ছাত্রলীগের চার নেতার বিরুদ্ধে। চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় ঠিকাদারকে মারধর করা হলে এ ঘটনায় অভিযুক্ত ৪ নেতার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ওই ঠিকাদার।

শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন হাটহাজারী থানার ওসি মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান।

এর আগে গত ৩১ জানুয়ারি বিকেল ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

পরে ভুক্তভোগী ঠিকাদার তামজিদ উদ্দিন হাটহাজারী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

অভিযুক্তরা হলেন- শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি মেহেদী হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক শাফায়েত হোসেন, উপ কর্মসূচি ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক মাশরুর কামাল অনিক ও সহ সম্পাদক মোহাম্মদ হৃদয়।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, সমাজবিজ্ঞান অনুষদের সামনে একটি নামফলক নির্মাণ করার জন্য ডিন অফিস থেকে দায়িত্ব পায় মেসার্স আরএস এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তারা সেখানে কাজ করতে গেলে বাধা দেন ছাত্রলীগের একাধিক নেতা। পরে অভিযুক্তরা তিন লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দেওয়ায় মারধর করা হয় তাদের।

ভুক্তভোগী ঠিকাদার তামজিদ উদ্দিন আরও উল্লেখ করেন, তার পিতা মো. সেকান্দর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স আরএস এন্টারপ্রাইজের সত্ত্বাধিকারী হন। তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ায় তামজিদ ওই নামফলকের নির্মাণকাজ পরিচালনা করছেন। ঘটনার ৩ দিন আগে একটি ফোন নম্বর থেকে তামজিদের বাবাকে আসামিরা ফোন করেন। সেখানে বলা হয়, ওই নির্মাণকাজ পরিচালনা করতে হলে সাফায়েত হোসেন, মেহেদী হাসান, মাশরুর কামাল অনিক ও হৃদয়কে তিন লাখ টাকা চাঁদা দিতে হবে। তাদের চাহিদা অনুযায়ী টাকা না দিলে কাজ করতে দেবে না বলেও তামজিদের বাবাকে হুমকি দেওয়া হয়।

এদিকে গত ৩১ জানুয়ারি নামফলকের কাজ চলমান থাকা অবস্থায় বিকেল চারটার দিকে নাম উল্লেখ করা চার আসামিসহ অজ্ঞাতনামা ৭/৮ জনসহ  সমাজবিজ্ঞান অনুষদের সামনে এসে কাজে বাধা দেন। ওই সময় কাজ চালিয়ে যেতে চাইলে আবারও তিন লাখ টাকা চাঁদা দিতে হবে বলে জানান।

ঠিকাদার তামজিদ উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, ভর্তি পরীক্ষাকে সামনে রেখে সংস্কারের অংশ হিসেবে সমাজবিজ্ঞান অনুষদের সামনে একটি নামফলকের কাজ পাই আমি। কাজটির জন্য ২ লাখ ১৩ হাজার টাকা বরাদ্দ হলেও অভিযুক্ত ৪ ছাত্রলীগ নেতা আমার কাছে ৩ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় তারা আমাকে এলোপাতাড়ি কিলঘুষি ও লাথি মারেন। তাদের হাত থেকে বাঁচাতে আমার বন্ধু ফাহিম আলম এগিয়ে এলে তাকেও আসামিরা লোহার রড ও কাঠের বাটাম দিয়া এলোপাতাড়ি পিটিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করেন। এরপর তারা আমাদেরকে আব্দুর রব হলে নিয়ে গিয়ে ২৫ মিনিট মত আটকে রেখে হুমকি-ধমকি দেন। সেখান থেকে কোনোমতে বের হয়ে আমি প্রক্টর কার্যালয়ে গিয়ে লিখিত অভিযোগ দেই।

সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক সিরাজ উদ দৌল্লাহ বলেন, আমাদের বিভাগের নামফলক না থাকায় একটি নামফলক নির্মাণ করতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। সেখানে কয়েকজন ছাত্র তাদের কাজ করতে বাধা এবং চাঁদা দাবির বিষয়টি জানতে পেরেছি। পরে আমি বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরকে জানিয়েছি।

চবি প্রক্টর ড. মোহাম্মদ নূরুল আজিম শিকদার বলেন, এরকম একটি অভিযোগ আমরা পেয়েছি। রেজিস্টারের মাধ্যমে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী রোববার তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন দেবে। প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে আমরা জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত চার ছাত্রলীগ নেতার সঙ্গে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সাড়া দেননি তারা।

হাটহাজারী থানার ওসি মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, আমরা এরকম একটি মামলা পেয়েছি। তদন্তের পরে প্রতিবেদন আদালতে পাঠানো হবে।

সংবাদ টি শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ

Ajker Pratidin গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠান ©২০১৮-২০২৫ ajkerpratidin.com সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।

Design BY POPULAR HOST BD