চার দফা দাবিতে আগামী শনিবার (৩ মে) রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশের আয়োজন করেছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। সংগঠনটি জানিয়েছে, সমাবেশ সফল করতে ইতোমধ্যে সারাদেশে ব্যাপক প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। ঢাকাসহ প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে হাজার হাজার কর্মী ও সমর্থক এই কর্মসূচিতে যোগ দেবেন।
মহাসমাবেশে যে চারটি দাবি উপস্থাপন করা হবে, তা হলো—
১. নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের কোরআন-সুন্নাহবিরোধী প্রস্তাব বাতিল,
২. সংবিধানে আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস পুনর্বহাল,
৩. ফ্যাসিবাদের আমলে দায়ের করা সব মামলা প্রত্যাহার ও শাপলা চত্বরসহ সব গণহত্যার বিচার,
৪. ফিলিস্তিন ও ভারতে মুসলিম গণহত্যা ও নিপীড়ন বন্ধের দাবি।
মহাসমাবেশে সভাপতিত্ব করবেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী। বক্তব্য রাখবেন দেশের শীর্ষ ওলামা-মাশায়েখ ও ইসলামী চিন্তাবিদগণ।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) রাজধানীর খিলগাঁও এলাকায় জামিয়া ইসলামিয়া মাখজানুল উলুম মাদ্রাসায় আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক এই কর্মসূচির ঘোষণা দেন। তিনি জানান, ‘সারাদেশ থেকে ব্যাপক সাড়া পাওয়া গেছে। কর্মীরা প্রস্তুত, ঢাকামুখী যাত্রাও ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে।’
মাদারীপুর জেলার কালকিনি উপজেলা থেকে নেতাকর্মীরা গাড়িবহর নিয়ে শুক্রবার ভোর ৫টা ৩০ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবেন। স্থানীয় হেফাজত নেতারা কালকিনির তৌহিদি জনতাকে ঢাকায় এসে সমাবেশে অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
অন্যদিকে, রাজধানীর উত্তরা এলাকায় হেফাজতের কেন্দ্রীয় সহকারী অর্থ সম্পাদক ও বৃহত্তর উত্তরা উলামা পরিষদের সভাপতি মুফতি কামাল উদ্দিনের নেতৃত্বে মোটরসাইকেল শোডাউনের মাধ্যমে ব্যাপক প্রচারণা চালানো হয়। তার সঙ্গে ছিলেন সেক্রেটারি মুফতি নেয়ামতুল্লাহ আমিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা সোহাইল সাদীসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
হেফাজত নেতারা জানিয়েছেন, এই মহাসমাবেশ হবে ইসলামি শক্তির নতুন ঐক্যের প্রতীক। ২০১৩ সালের মতো একটি বিশাল জনসমাবেশের লক্ষ্যে তারা কাজ করে যাচ্ছেন। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রচারণা, মতবিনিময় সভা, লিফলেট বিতরণ এবং পথসভা আয়োজনের মাধ্যমে সাধারণ জনগণকে সমাবেশে অংশগ্রহণের আহ্বান জানানো হচ্ছে।