আশুলিয়া (ঢাকা) প্রতিনিধি ॥
টাকা দিলেই শুঁড় তুলে জানাচ্ছে সালাম। এভাবেই প্রতি দোকান থেকে ১০ টাকা থেকে শুরু করে ১০০ টাকা র্পযন্ত নেওয়া হচ্ছে। শুধু দোকনই নয়। রাস্তায় চলাচলকারী যানবাহন থামিয়েও তুলা হচ্ছে টাকা।
রাজধানীর সাভারের বিভিন্ন হাট বাজার থেকে এ অভিনব কায়দায় প্রায় সময়ই টাকা তুলে নেওয়া হচ্ছে হাতির মাধ্যমে।
মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধায় আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকার ইউনিক বাস স্ট্যান্ডের বাজারে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাতি দিয়ে টাকা তোলা হচ্ছে। রাস্তার দুই পাশে বাজারের প্রতিটি দোকান থেকে তোলা হচ্ছে টাকা। হাতি দিয়ে গাড়ি আটকিয়েও টাকা আদায় করা হচ্ছে।
চাঁদাবাজির এ দৌড়াত্ম থেকে বাদ পড়ছে না মোটরসাইকেল, সিএনজি ও অটোরিকশা চালকরাও। টাকা না দিলে হাতি বিকট শব্দে হুংকার দেয়। তখন দোকানদার ও গাড়ির চালকরা ভয়ে টাকা দিতে বাধ্য হয়।
এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা বলেন, কয়েকদিন পর পর হাতি দিয়ে চাাঁদাবাজি করতে আসে ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন যানবাহন থেকে। বিষয়টি খুবই বিরক্তিকর। এদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।
এসময় এক অটোরিকশাচালক ক্ষোভ প্রকাশ করে আরও বলেন, রাস্তায় প্রায় সময়ই হাতির চাঁদাবাজির কবলে পড়তে হয়। গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে শুঁড় এগিয়ে দেয়। টাকা না দিলে সামনে থেকে সরে না। তখন ভয়ে বাধ্য হয়েই টাকা দিয়ে দেই।
ঢাকার শ্যামলী থেকে আসা এক প্রাইভেটকারের মালিক আজকের প্রতিদিনকে জানান, তারা শ্যামলী থেকে নবাবগঞ্জ যাচ্ছিলেন। পথে মধ্যে শাক্তার একটি এলাকায় হাতিওয়ালা তার কাছ থেকে ১০০ টাকা আদায় করে ছেড়েছে। প্রথম ২০ টাকা দিলেও তা নেয়নি, উল্টো ড্রাইভারকে মারতে আসেন যুবক। ১০০ টাকার কম নাকি হবে না। আর আমার বাচ্চাও ভয় পেয়েছে হাতি দেখে।
আরও এক অটোরিকশা চালক বলেন, হাতিকে টাকা না দিয়ে দ্রুত সামনে চলে যেতে চেয়েছিলাম। হাতির ভয়ে যাত্রীরা হুড়াহুড়ি করতে গিয়ে আমার অটোটা প্রায় পড়েই গিয়েছিল। আমরা গরীব মানুষ, ১০ টাকা কামাতে গিয়ে যদি ২০ টাকা চাঁদা দিতে হয় আমরা যাবো কোথায়?
তবে হাতির পরিচালক এটাকে চাঁদাবাজি মানতে নারাজ। তিনি বলন, সার্কাস বন্ধ থাকায় হাতিকে লালন-পালন করতে মানুষের কাছ থেকে ১০-২০ টাকা চেয়ে নিচ্ছেন। কেউ না দিলে তার ব্যাপারে কোনো জোরাজুরি নেই।