নেত্রকোনা প্রতিনিধি, হাবিবুর রহমান :
মদনে বাড়রী কাঞ্জারখাল নামক স্থানে বরের গাড়ি ডাকাতির ঘটনায় বিভিন্ন এলাকা অভিযান চালিয়ে ডাকাত দলের ৪ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে মদন থানা পুলিশ। ডাকাতির এই ঘটনায় লুন্ঠিত মালামালও উদ্ধার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত ডাকাত দলের ৪ সদস্যরা হলেন,জাকির হোসেন (৩০), মোঃ আরিফ পারভেজ(৩০), শাহ আলম খান(৩৫), মোঃ বাবুন মিয়া (২৪) তাদের কাছ থেকে স্বর্ণালংকার নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বিভিন্ন এলাকা অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করেন, বিষয়টি নিশ্চিত করেন মদন থানা এসআই জাকির হোসেন।
তিনি জানান, গত রবিবার (১৫ এপ্রিল) রাত ৩ টার ২০ মিনিটের দিকে খন্দকার ইদ্রিস মিয়ার ছেলে মোবাশ্বের হোসেন মদন পৌর শহরের কেন্দুয়া ডিসি রোডের নিজ বাসা থেকে কনের বাড়ি পাবনা যাওয়ার উদ্দেশ্যে দুটি মাইক্রোবাসে রওনা করে বরযাত্রী হিসেবে রওনা করে। পরে বরের গাড়িটি কাইটাইল ইউনিয়নের বারড়ী বাজারের পরে কাঞ্জারখাল নামক স্থানে পৌঁছলে হেন্ডট্রলী ও মাছের জাল দিয়ে সড়ক অবরোধ করে রাখে রাস্তা। গাড়ি থামানোর সাথে সাথেই ৪/৫ জন দেশীয় ধারালো অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে গলায় ছুরি ধরে বরযাত্রীদের।
গাড়িতে হামলা করে কনের স্বর্ণালংকার সহ মেয়ে যাত্রীদের গলা ও কানের ১০ ভরি স্বর্ণালংকার এবং নগদ ৬০/৭০ হাজার টাকা ও ৩টি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে চলে যায় ডাকাত দলের সদস্যরা।
এ ঘটনায় বরযাত্রীর পিতা খন্দকার ইদ্রিস আলী বাদী হয়ে মদন থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে অজ্ঞাতনামা।
পুলিশ প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে ডাকত দলের ৪ সদস্য গ্রেফতার সহ এঘটনা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। এ ঘটনায় ইদ্রিস মিয়ার ছেলে ৯৯৯ এ কল দিলে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পৌঁছায়। বরযাত্রী গাড়ি কেন্দুয়া থানায় গিয়ে আশ্রয় নেয়। বরের গাড়ি চালক এ ঘটনার সাথে জড়িত আছে কিনা পুলিশ চালক মোবারক হোসেনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে ডাকাত চক্রের সদস্য সহ মালামাল উদ্ধার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
গুগবাজারের পাশে কাঞ্জারখাল নামক স্থানে ডাকাতির ঘটনাটি ঘটে এতে প্রায় ১০ থেকে ১২ লক্ষ টাকার মালামাল ডাকাতি করে নিয়ে যায় ডাকাত দলের সদস্যরা।
আসামী মোঃ বাবুন মিয়ার দেয়া তথ্যমতে আটপাড়া তেলিগাতী বাজার স্নেহ স্বর্গ শিল্পাল দোকান মালিক শাসনকান্দি গ্রামের মৃত অনিল দেবনাথ এর ছেলে রোপন দেবনাথের জুয়েলারী দোকান হতে লুণ্ঠিত স্বর্ণ যার পরিমাণ- ০২ আনা ০২ রতি উদ্ধার করে রোপন দেবনাথকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। পরে রোপন মিয়াকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
মদন থানা অফিসার ইনচার্জ ওসি উজ্জল কান্তি সরকার জানান, আসামীদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে। রোপন দেবনাথ ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত না থাকায় তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।