তিতাস (কুমিল্লা) প্রতিনিধি :
কুমিল্লার হোমনা উপজেলার দুলালপুর ইউনিয়নের বাহেরকালমিনা বাজারে আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব শত্রুতার জেরে একদল দুর্বৃত্ত একটি নির্মাণাধীন দোকান ঘরের আরসিসি পিলার ও ওয়াল ভাঙচুর করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।গত বুধবার সকাল ৮ টার দিকে প্রকাশ্য দিবালোকে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় শনিবার রাতে দোকানের মালিক আলী মিয়া বাদী হয়ে আবুল,মোস্তফা মতিন সহ ৯ জনের নামে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। তবে এখন পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
মামলার বাদী আলী মিয়া জানান, যাদের নামে মামলা হয়েছে তারা স্থানীয় প্রভাবশালী ও চিহ্নিত সন্ত্রাসী। তারা মাদকবিক্রি, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে দীর্ঘদিন যাবত জড়িত। এরা এলাকার মানুষের মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টি করে আধিপত্য বিস্তার করে রেখেছে। তাই এদের ভয়ে সাধারণ শান্তিকামী মানুষ প্রতিবাদ করতে সাহস পায় না। আমি সাহস করে এই ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করেছি। কিন্তু পরিতাপের বিষয় মামলা এফআইআর করেনি এমন কি আসামিরা প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করলেও পুলিশ এখন পর্যন্ত তাদের কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি।
জানা গেছে, উপজেলার বাহের কালমিনা গ্রামের মৃত ধনু মিয়া প্রধানের ছেলে আবুলের সাথে দোকান মালিক আলি মিয়ার জমি কেনা বেচার লাভ লসের হিসাব সহ নানা বিষয় নিয়ে বিরোধ চলছিল। ঘটনার দিন দোকান মালিক আলি মিয়া দোকানে ছিল না। এ সময় আবুল, মোস্তফা মতিন সহ কয়েকজন আলী মিয়ার নির্মাণাধীন দাকানে হামলা করে আরসিসি পিরার ও দেয়াল ভাঙচুর করে। এ ঘটনায় আলী মিয়া স্থানীয় লোকজন নিয়ে বাধাদিতে গেলে দুর্বৃত্তরা তাদেরকে হত্যার সহ বাজারে আসা বন্ধ করার হুমকি দেয়।মামলার তিন নম্বর আসামি আঃ মতিনের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বাজারের স্ব ঘোষিত সভাপতি দাবী করে বলেন, বাজারের ভিতরে গলি বড় রাখার জন্য বলা হলেও আলী মিয়া তা শোনে নাই। তাই আমি আবুল মোস্তফা সহ গিয়ে পিলার ভেঙ্গে গলি বড় করেছি। আইনত গত ভাবে বাজারের সভাপতি হবে স্থানীয় চেয়ারম্যান। আপনারা কারোর দোকান ভেঙ্গে দিতে পারেন কিনা জানতে চাইলে তিনি ফোন কেটে দেন।মামলার অন্য আসামিদের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করে ফোন রিসিভ না করায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।বাজারের সভাপতি স্থানীয় চেয়ারম্যান মো. জসিম উদ্দিন সওদাগর বলেন, বাজারের গলি বড় করার বিষয় আমি কিছুই জানি না। এ ঘটনা ঘটার পর শুনেছি দোকান মালিক থানায় অভিযোগ দিয়েছে। তা অত্যন্ত দুঃখজনক। থানাপুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে। আশা করছি তার সঠিক বিচার হবে।
তদন্ত কর্মকর্তা হোমনা থানার এস আই আবদুর রহিম জানান, দোকানঘর ভাঙ্গা পেয়েছি। অভিযুক্তরা বলছেন বাজারের গলি বড় করতে তার সম্মতি ছিল।তবে সম্মতি থাকলে কেন অভিযোগ করলো তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। হোমনা থানার ওসি জয়নাল আবেদীন জানান, অভিযোগের তদন্ত চলছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনতগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।