নেত্রকোনা প্রতিনিধি, হাবিবুর রহমান : নেত্রকোনা মদন উপজেলায় দস্যুতার ঘটনায় দুইজনকে আটক করা হয়েছে। সেই সাথে লন্ঠিত মালামালও উদ্ধার করা হয়েছে।
৪ জুলাই রোজ বৃহস্পতিবার মদন থানায় বিকাল ৪টা, ৩০ মিনিটের সময় জেলা পুলিশ সুপার ফয়েজ আহমেদ এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান,গত ২৬ জুন মদন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের পুরাতন কার্যালয়ের সামনের ব্যবসায়ী সামসু মিয়া (৪৫)তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সেবা লাইব্রেরী এন্ড তালহা টেলিকম নামক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কেনাবেচা শেষে রাতে তার কর্মচারী আবু হানিফকে নিয়ে তার পৌরসভার জাহাঙ্গীরপুর কোর্ট বিল্ডিং এর বাসায় যাচ্ছিলেন।
এমন সময় কয়েকজন দুর্ধর্ষ ডাকাত তাদেরকে ধারালো চাকু প্রদর্শন করে তাদের কাছে থাকা নগদ ৭৯হাজার টাকা, ও ,৪৮ হাজার টাকার বিভিন্ন কোম্পানির মিনিট কার্ড, আটটি বাটন মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় বাদী পক্ষ থানায় এসে অভিযোগ করলে মদন থানার পুলিশ একটি চৌকস টিম বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে গত ২৮ জুন ঢাকা গাজীপুর জেলার টঙ্গী থানা স্টেশন রোড এলাকা থেকে আশরাফুল ইসলাম(২৫) নামের একজনকে গ্রেফতার করে।
তার দেওয়া তথ্য মতে (২ জুলাই) মদন থানার বাড়ীভাদেড়া গ্রাম থেকে রামীম ওরফে অন্তর(১৯)নামে অপর আরেকজন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে আদালতে পাঠালে ১৪৪ দ্বারা জবানবন্দিতে স্বীকারোক্তি দেয়।
তাদের দেওয়া তথ্য মতে তাদের বাড়ি থেকে সাতটি মোবাইল ফোন,বিভিন্ন কোম্পানির মিনিট কার্ড ও সিম কার্ড, একটি শাড়ি, একটি পাঞ্জাবি, দুটি পায়জামা, দস্যুতার কাজে ব্যবহৃত একটি চাকু উদ্ধার করা হয়।তবে দস্যুতার সময় ছিনিয়ে নেওয়া ৭৯ হাজার টাকা এখনোও উদ্ধার করা যায়নি।
এ সময় তিনি আরো জানান, আশরাফুল ইসলাম একজন দুর্ধর্ষ ডাকাত।তার নামে বিজ্ঞ আদালতে ১০ টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। এছাড়াও এ ঘটনা আরও কয়েকজন জড়িত থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পুলিশ সুপার ফয়েজ আহমেদ তিনি এও বলেন, পরপর দুর্ধর্ষ কায়দায় দুটি চুরি হওয়া মালামাল উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি,এবং আসামি ও গ্রেফতার করেছি। পুলিশ প্রশাসন সবসময় জনগণের সেবায় নিয়োজিত রয়েছে।