নেত্রকোনা প্রতিনিধি, হাবিবুর রহমান :
নেত্রকোনার কেন্দুুয়া উপজেলা নদীপথে চলন্ত অবস্থায় ট্রলারে করে জুয়ার বোর্ড চলাকালে পুলিশ অভিযান চালিয়ে আটজন জুয়াড়িকে গ্রেপ্তার করেন।
এসময় ট্রলার থেকে হালিম নামের এক যুবক (৩৫)পুলিশের গ্রেপ্তারের ভয়ে নদীতে ঝাঁপ দেয়। পরে কেন্দুয়া থানার পুলিশ তাকে অনেক খোঁজাখুঁজির পরেও তাকে না পাওয়ায় ডুবুরি দল নিয়ে এসে খোঁজাখুঁজির পরেও তাকে পাওয়া যায়নি।
গত শুক্রবার বিকেলে কেন্দুয়া উপজেলার কান্দিউড়া ইউনিয়নের তাম্বুলিপাড়ার কৈজানি নদীর মাঝে এ ঘটনা ঘটে।
আজ (১৪ জুলাই )রোজ রবিবার মদন উপজেলা বাঁশরী গ্রামের হাওরে জোয়ার বোর্ড থেকে নিখোঁজ হওয়া হালিমের মরদেহ উদ্ধার করেছেন মদন থানা পুলিশ।
হালিম জুয়ার বোর্ডে নিজেকে পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তারের ভয়ে নদীতে ঝাঁপ দেয়। নদীতে ঝাঁপ দেওয়ার পর আর তিনি নদী থেকে উঠতে পারেননি।
মরদেহ উদ্ধার হওয়া হালিম মিয়া কেন্দুয়া উপজেলার সান্দিকোনা গ্রামের আবদুল হামিদের ছেলে।
এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, কেন্দুয়া উপজেলার তাম্বুলিপাড়ায় কৈজানি নদীর মাঝে চলন্ত ট্রলারে জুয়া বোর্ড চলাকালে খেলার খবর পেয়ে পুলিশ জুয়ার বোর্ডের লোকজনকে ধরার জন্য যায়।
এ সময় জুয়াড়িরা টের পেয়ে ভয়ে অনেকই নদীতে ঝাঁপ দেয়। এদের মধ্যে মরদেহ উদ্ধার হওয়া হালিম নামের এই যুবক ঐদিন নিখোঁজ ছিল।
মরদেহ উদ্ধার হওয়া হালিমের স্ত্রী সানু আক্তার বলেন, গত শুক্রবার বিকেলে হালিমের সঙ্গীরা জানান, নৌকায় পুলিশের অভিযান গ্রেফতারের ভয়ে সে নদীতে ঝাঁপ দিয়েছিল পুলিশ তাকে কোথাও না পাওয়ায় ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল এনে অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তাকে উদ্ধার করতে পারেননি পুলিশ আজকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেছে মদনের পুলিশ।
এ বিষয়ক কেন্দুয়া থানার ওসি মোঃ এনামুল হক এ প্রতিনিধিকে বলেন, মৃতদেহ উদ্ধার হওয়া হালিম জোয়ার বোর্ডের ট্রলারে ছিল না এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাকে গ্রেপ্তার হওয়া জোয়ার বোর্ডের মালিক হারিকুল ইসলাম।
হালিমের মরদেহ উদ্ধারের বিষয়ে নিশ্চিত করে মদন থানা তদন্ত ওসি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, লোক মারফতে সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি পরের ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।