মানিকগঞ্জ: পদ্মায় যানবাহন বোঝাই ইউটিলিটি ফেরি রজনীগন্ধা ডুবে যাওয়ার কারণ অনুসন্ধানে জেলা প্রশাসনের তদন্ত কমিটির প্রধান দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
শনিবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে পদ্মা নদীর পাটুরিয়া ফেরিঘাট সংলগ্ন দুর্ঘটনাস্থলে উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয়ে আসেন তদন্ত কমিটির প্রধান মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সানজিদা জেসমিন।
জানা যায়, ডুবে যাওয়া ফেরি উত্তোলনের প্রথম দিনে উদ্ধারকারী জাহাজ হামজা বিআইডব্লিউটিএর ট্রাক-বোর্ডের সহায়তায় ভেসে যাওয়া দুটি ট্রাক উদ্ধার করে। দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছে একটি ট্রাক উদ্ধার করে রুস্তম।
সর্বশেষ গতকাল শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুর সোয়া ২টার দিকে ডুবে থাকা রজনীগন্ধা উত্তোলনের কাজে যুক্ত হয় প্রত্যয়।
শনিবার (২০ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ফেরি উত্তোলনের প্রক্রিয়া শুরু করে এবং বিকেলের দিকে ডুবে থাকা ফেরির ভেতরে একটি ট্রাকের সন্ধান পেয়েছে প্রত্যয়।
হামজা-রুস্তমের পক্ষে ফেরি উদ্ধার সম্ভব নয় বলে অলস সময় অতিবাহিত করছে। তবে ডুবে থাকা রজনীগন্ধার নিচ দিয়ে লিফটিং পদ্ধতিতে সলিং ওয়্যার টানার কাজ করছে প্রত্যয়।
সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত বিআইডব্লিউটিএ, নৌ-বাহিনী, ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের সদস্যরা সলিংয়ের কাজ করছে। সফলভাবে একটি সলিংয়ের ওয়্যারের কাজ সম্পন্ন হয়েছে বাকি একটি প্রক্রিয়াধীন। প্রত্যয়ের কাজে সহায়তার জন্য নারায়ণগঞ্জ থেকে ঝিনাই-১ আসছে। এই জাহাজটি এসে পৌঁছালেই ডুবে থাকা ফেরিটি উত্তোলনের মূল কাজে যাবে বিআইডব্লিউটিএ।
মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সানজিদা জেসমিন বলেন, আপনারা জানেন কীভাবে ডুবলো ফেরিটি। এ দুর্ঘটনায় ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আমরা প্রতিদিনই আসছি, দেখছি, আজও এসেছি। উদ্ধারকারী জাহাজ চলে এসেছে গতকাল (শুক্রবার ১৯ জানুয়ারি), আজ শনিবার (২০ জানুয়ারি) ডুবে যাওয়া ফেরি উদ্ধারে ক্যাবলের কাজ চলমান আছে এবং ফেরিটি কীভাবে আছে সেই বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছি। ফেরি উদ্ধারের পর বাকি বিষয়ে আপনাদের জানাতে পারবো। তদন্তের জন্য আমরা স্টেপ বাই স্টেপ এগুচ্ছি, অনেকদূর এগিয়েছি বলেন জেলার অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট সানজিদা জেসমিন।