1. admin@ajkerpratidin.com : admin : Khokon Howlader
  2. sardermasud348@gmail.com : Masud Sarder : Masud Sarder
  3. emranniloy53@gmail.com : NILOY :
  4. info.popularhostbd@gmail.com : PopularHostBD :
  5. rashedapple7@gmail.com : Rashed Ahmed : Rashed Ahmed
  6. khokon28.bd@gmail.com : Sohag Hossein : Sohag Hossein
সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০২:১৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
নরসিংদী সুতার কারখানা আগুন পুড়ে ছাই মদন নতুন ইউএনওর যোগদান উপলক্ষে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত ধামরাইয়ে রাতের আঁধারে এক কৃষকের ‌সব লাউ গাছ কেটে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা রাণীশংকৈলে ইতিহাস সমৃদ্ধ নেকমরদ ওরশ মেলার বর্ণিল উদ্বোধন নরসিংদীতে দেশগ্রাম এর সাংবাদিক প্রশিক্ষণ কর্মশালা, সনদ বিতরণ এবং কমিটি গঠন অনুষ্ঠিত আশুলিয়ায় নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের উদ্যোগে খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত আনোয়ারায় চাতরী ইউনিয়নে বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল তিতাসে বেগম খালেদাজিয়ার রোগমুক্তি কামনায় মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত চিলমারী থানার ওসি আশরাফুল ইসলামের বিদায়: সহকর্মীদের সংবর্ধনায় আবেগমাখা দৃশ্য ঘোড়াশাল ট্র্যাজেডি দিবস: নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে

ধামরাইয়ে যুবকের হাত-পা ভেঙে দিলো ইউপি চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : শনিবার, ৯ মার্চ, ২০২৪
  • ২১২ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রাস্তা থেকে জোর পূর্বক তুলে নিয়ে চেয়ারম্যানের বাড়ির ভিতরে নিয়ে গেট বন্ধ করে এক যুবক কে আটকে রেখে বেধড়ক মারধর করে হাত-পা ভেঙ্গে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে ধামরাইয়ের কুল্লা ইউনিয়েনের চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান ও ইউপি সদস্য বোরহান উদ্দিনের বিরুদ্ধে। মারধরের শিকার হাসেম কে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ভুক্তভোগী হাসেমের অভিযোগ চেয়ারম্যানের নিজ বাড়ির ভিতরেই মারধর করে হাত-পা ভেঙে দেয়া হয়েছে। এমন ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

ভুক্তভোগী হাসেম উপজেলার কুল্লা ইউনিয়নের  খাতরা এলাকার মৃত গোলাম আলীর ছেলে।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী হাসেমের সাথে চেয়ারম্যান লুৎফর রহমানের জমি নিয়ে দীর্ঘদিনের শত্রুতা চলছে। কয়েক দিন পূর্বে হাসেম তার জাগায় নতুন বাড়ি করতে গেলে চেয়ারম্যান ও তার লোকজন জোর পূর্বক বাড়ি তৈরির কাজ বন্ধ করে দিয়ে তাকে বাড়ি ছেড়ে দিতে বলে চেয়ারম্যান। সেখানে নিজের বাবার নামে মার্কেট তৈরি করবে বলে জানান চেয়ারম্যান । প্রতিবাদ করতে গেলে হাসেম ও তার পরিবারকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে আসে চেয়ারম্যান ও তার লোকজন।

পরে গত মঙ্গলবার (৫ মার্চ) রাত ১০ টার দিকে বাড়ি ফেরার পথে হাসেমকে জোরপূর্বক রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে যায় চেয়ারম্যান লুৎফর রহমানের দুই ছেলে রিপন, মুমিন ও ইউপি সদস্য বোরহান উদ্দিন, স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল হক, জাহিদ ও খাতরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক শামীম। হাসেমকে চেয়ারম্যানের বাড়িতে নিয়ে হাত পা মুখ বেধে তার উপর অমানুষিক নির্যাতন চালাতে থাকে চেয়ারম্যান ও তার দুই ছেলে রিপন, মুমিন এবং ইউপি সদস্য বোরহান উদ্দিনসহ সবাই।

এসময় দেশীয় অস্ত্র দিয়ে পিটিয়ে হাসেমের বাম পা ও বাম হাত ভেঙে গুড়ো করে দেয়। এছাড়াও তার কোমড়, মুখ, ডান পা পিটিয়ে ক্ষত বিক্ষত করে অভিযোক্তরা। শরীরের বিভিন্ন স্থানে পিটিয়ে মারাত্মক যখম করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ভুক্তভোগী হাসেমের স্ত্রী ও ভাইয়েরা গেলে তাদেরও মারধর করে চেয়ারম্যান বাহিনী। পরে ৯৯৯ এ ফোন দিলে ঘটনা স্থলে পুলিশ গিয়ে আহত হাসেম কে উদ্ধার করে। তবে ভুক্তভোগীর স্বজনদের দাবি পুলিশের সামনেই জোরপূর্বক সাদা কাগজে তাদের স্বাক্ষর করায় চেয়ারম্যানের লোকজন।

ভুক্তভোগী হাসেমের স্ত্রী হোসনে আরা কান্না স্বরে বলেন, লুৎফর চেয়ারম্যান আমাদের বাড়ি দখল করার চেষ্টা করছে দীর্ঘদিন ধরে। আমার স্বামী চেয়ারম্যানের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় আমার স্বামী ও আমাদের পরিবারকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে আসছিল। গত মঙ্গলবার রাতে রাস্তা থেকে ধরে নিয়ে চেয়ারম্যানের নিজের বাড়িতে নিয়ে অমানুষিক নির্যাতন চালায়। আমার স্বামীর হাত পা বাধা দেখি। তার মুখের উপর পা দিয়ে ধরে রেখেছে চেয়ারম্যান। আর তার দুই ছেলে রিপন ও মুমিন, বোরহান মেম্বার, শামীম মাষ্টার, আব্দুল হক, জাহিদ আমার স্বামী কে লাঠি দিয়ে মারছে। আমার ৫ বছরের ছেলে ও ১২ বছরের মেয়ে কান্না করায় তাদেরও চড় মারে। আমি লুৎফর চেয়ারম্যানের পা ধরে মাপ চাইলেও তিনি আমাকে লাথি মেরে ফেলে দেয় এবং গেটের বাইরে বের করে দেয়। পরে পুলিশের সামনে জোরপূর্বক সাদা কাগজে সই নেয় এবং মামলা করলে আমার পরিবারের সবাইকে মেরে ফেলারও হুমকি দেয়।

ভুক্তভোগী হাসেমের ১২ বছরের মেয়ে সামিয়া বলেন,  আমার বাবাকে পাইপ দিয়ে মারছে। আমি কান্না করায় আমাকেও মারছে। আমার বাবা এখন বাচবে কি না বলেই কান্না কে দেয়।

হাসেমের ভাই মো: জাহের আলী আব্দুল আলিম বলেন, আমরা চেয়ারম্যানের মারের ঘটনা জানার পর তার বাড়িতে যাই। প্রথমে বাড়িতে ঢুকতে পারি নাই। গেট আটকানো। পরে ৯৯৯ এ ফোন দিলে পুলিশ আসে। পুলিশের সাথে আমরা বাড়ির ভিতর প্রবেশ করি। গিয়ে আমার ভাইয়ের অবস্থা দেখে মনে হয় মারা গেছে। তখন চেয়ারম্যান পুলিশের সামনে জোরপূর্বক সাদা কাগজে স্বাক্ষর করায় সবাইকে। কিন্তু আমি স্বাক্ষর না করায় আমাকে মারদর করে। পরে জোর করে আমার স্বাক্ষর নেয় চেয়ারম্যানের লোকজন। আমরা কোন রকমে ভাইকে নিয়ে ইসলামপুর সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলে আমাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য অন্যত্র নিতে বলে ডাক্তার। পরে ভাইকে সাভার সুপার ক্লিনিকে ভর্তি করে ৩ দিন চিকিৎসা করাই। খরচ কুলাতে পারবো না ভেবে ভাইকে শুক্রবার (৮ মার্চ) দুপুরে আবার ইসলামপুর সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করি। এখন এখানেই চিকিৎসারত অবস্থায় রয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, লুৎফর রহমান চেয়ারম্যান হওয়ার আগেও এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব করতো। তার একাধিক ইট ভাটা রয়েছে। জোরপূর্বক অন্যের জমির মাটি কেটে নেয়। ভয়ে কেউ কিছুই বলতে সাহস পায় না। হাসেমের উপর নির্যাতনে এলাকায় এখন থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। সবাই মনে করছিল হাসেম মারা গেছে।

এবিষয়ে জানতে কুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য বোরহান উদ্দিনকে বার বার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।

এ বিষয়ে ধামরাই উপজেলার কুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লুৎফর রহমানের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে, তিনি নির্যাতনের বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে এবং ব্যস্তার কথা বলে ফোন কেটে দেন।

৯৯৯ এ ফোন দেওয়ার পর ঘটনাস্থলে যান ধামরাই থানার উপ- পরিদর্শক ( এস আই) অসীম বিশ্বাস। তিনি বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি হাসেমকে মারধর করা হচ্ছে। তখন বললাম আপনারা তো মারতে পারেন না। ভুক্তভোগী যদি অপরাধ করে থাকে তার বিরুদ্ধে মামলা দেন। পরে ভুক্তভোগীর পরিবার তাকে নিজেদের জিম্মায় নিয়ে যান। বিষয়টি স্থানীয় ভাবে সমাধানের কথা বলা হয়েছে।

সংবাদ টি শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ

Ajker Pratidin গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠান ©২০১৮-২০২৫ ajkerpratidin.com সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।

Design BY POPULAR HOST BD