ক্ষমতার দাপটে পিষ্ট হচ্ছে ন্যায়। বরিশালের গৌরনদী উপজেলার কটকস্থল এলাকায় অবস্থিত আরিফ ফিলিং স্টেশন নিয়ে চলছে প্রকাশ্য দখলের খেলা। প্রকৃত মালিকরা আজ নিজেদের জমি ও ব্যবসা থেকে বিতাড়িত, আর ক্ষমতার জোরে স্টেশন দখলে রেখেছে প্রভাবশালী একটি মহল।
সূত্র জানায়, আরিফ ফিলিং স্টেশন যৌথ মালিকানা ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন হারুন বেপারী, ফরহাদ হোসেন ও মুক্তিযোদ্ধা মজিবুর রহমান মাঝি। পরে ফরহাদ হোসেন তার অংশ বিক্রি করেন মানিক মাঝির কাছে। সব কাগজপত্র সঠিক থাকা সত্ত্বেও ৫ আগস্টের পট পরিবর্তনের পর হারুনের মেয়ে পপি, সাবেক ছাত্রদল নেতা সজিব মাঝী ও তুহিন নামে এক প্রভাবশালী চক্র স্টেশনটি জোরপূর্বক দখলে নেয়।
অভিযোগ উঠেছে, দখলদাররা নিয়মিত হুমকি, ভয়ভীতি এবং মিথ্যা মামলার মাধ্যমে প্রকৃত মালিকদের হয়রানি করছে। লাভের টাকাও নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নিচ্ছে তারা। প্রকৃত মালিকরা এখন ফিলিং স্টেশনের ধারে-কাছেও যেতে সাহস পান না।
প্রত্যক্ষদর্শী আঃ গনি জানান, “আমাদের সামনেই টাকার লেনদেন ও চুক্তিপত্র হয়েছিল। আজ সব ভুলে দখলদারী চলছে!”
ভুক্তভোগী মজিবুর রহমান মাঝি বলেন, “নিজের জমিতে দাঁড়িয়ে থাকা ব্যবসার ধারে-কাছেও যেতে পারি না! এ কেমন ন্যায় বিচার?”
আরেক মালিক মানিক মাঝি জানান, “আমি বৈধভাবে মালিকানা কিনেছি। অথচ এখন বলা হচ্ছে, যার কাছ থেকে কিনেছি তার কাছেই বুঝে নিতে!”
ম্যানেজার সজিব মাঝী স্বীকার করেছেন হীরা মাঝির কাছ থেকে টাকা নেওয়ার কথা। তবে মালিকানা দখলের অভিযোগ অস্বীকার করেননি।
গৌরনদী থানার ওসি মোঃ ইউনুচ মিয়া জানান, “বিষয়টি দেওয়ানি মামলা সংক্রান্ত। আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।”
হারুন বেপারীর মেয়ে পপি ও তুহিনের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তারা ফোন রিসিভ করেননি।
ভুক্তভোগীরা বলছেন, “এ লজ্জা শুধু আমাদের নয়, আইনের শাসনের ওপর সরাসরি চ্যালেঞ্জ! আমরা দ্রুত ন্যায়বিচার ও প্রকৃত মালিকানা ফেরত চাই।”