ভূমি সংস্কার বোর্ড যেন দূর্নীতির আখড়া। ঢাকা নবাব এস্টেটের ম্যানেজার এর দরজায় বসে থাকা অফিস সহায়ক/ পিয়ন দূর্নীতিবাজ মোঃ মিজানুর রহমানও আজ কোটিপতি। নামে বেনামে গড়েছে সম্পদের পাহাড়। যেন আলাদীনের আশ্চর্য প্রদীপ এখন তার হাতে।
জানা যায়, ম্যানেজারের অফিস সহায়ক/পিওন মানে লীজিদের দরজায় তালা, এস্টেটের কর্মকর্তা/কর্মচারীদের গেইটে তালা। তার চাহিদামত উপটোকন না পেলে কোন ফাইল ম্যানাজারের রুমে ডুকেনা। ম্যানাজারের মাধ্যমে ফাইল পাশ করানোর কথা বলে সাধারন লীজি ও সহকর্মীদের নিকট হাতিয়ে নেয় লক্ষ লক্ষ টাকা। মিজান বললে নাকি নো ফাইল ইয়েস হয়। আর ইয়েস ফাইল হয় নো।
আরও জানা যায়, কোর্ট অব ওয়ার্ডস ঢাকা নওয়াব এস্টেটের ম্যানাজারের পিয়ন মোঃ মিজানুর রহমানের অত্যাচারে অতীষ্ঠ নবাব এস্টেটের সাধারন লীজিরা। অবৈধ লেনদেন ছাড়া হয়না লীজিদের কোন কাজ। তাকে টাকা দিলে অবৈধ কাজ হয়ে যায় বৈধ, আর তাকে টাকা না দিলে বৈধ কাজ হয়ে যায় অবৈধ। অত্র অফিসের কর্মকর্তা/ কর্মচারী সহ লীজিরা তার কছে জিম্মি।
মিজানুর রহমান দীর্ঘ দিন যাবত একই অফিসে একই যায়গায় ম্যানেজা মহোদয়দের সাথে ডিউটি করে আসছে তার হচ্ছে না কোন বদলি একজন পিওন একই অফিসে একই স্থানে এতো দিন কি ভাবে চাকরি করতেছে সে যখন যে ম্যানেজা মহোদয় আসে তাকে দিয়ে দুর্নীতির পথ দেখিয়ে পিওন মিজানুর রহমান তাদের মাধ্যমে সুযোগসুবিধা নিচ্ছে। বর্তমানে সাধারণ লীজিরা তার ভয়ে আসেনা অফিসে সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব আসছেনা লীজ মানি।
সাধারন একজন লীজি নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রতিবেদককে বলেন, আমার কাছে ম্যানেজারের কথা বলে মিজান ৩ লাখ টাকা চেয়েছে। আমি টাকা দিতে না পারায় আমাদের সমিতির ফাইল পাশ করানো সম্ভব হয়নি। এবং লীজমানি পরিশোধ করতে পারিনি। ভাই আমাদের এই ঘুষখোর পিয়নের হাত থেকে বাঁচান।
অনুসন্ধানে জানা যায়, এই মিজান অবৈধভাবে গড়ে তুলেছে অবৈধ সম্পদের পাহাড়। ঢাকার উত্তরার ধউর মৌজায় ভূমি পল্লীতে রয়েছে তার ১ টি প্লট, ঝিনাইদহ জেলায় স্ত্রীর নামে রয়েছে লক্ষ লক্ষ টাকার সম্পদ, ঢাকার চট্রগ্রাম রোডের সাইনবোর্ড এলাকায় রয়েছে নামে ও বেনামে রয়েছে সম্পদের পাহাড়। বিভিন্ন ব্যাংকে তার লাখ লাখ টাকার এফডিআরসহ নামে বেনামে রয়েছে বিপুল টাকার পাহাড়। নবাব এস্টেটের ম্যানাজারের পিয়নের এত বিপুল সম্পদের উৎস কোথায়?
প্রাপ্ত অভিযোগের বিষয়ে আরও গভীর অনুসন্ধানে গত ১৬ জুন ২৩ ইং এর দৈনিক যুগান্তরে প্রকাশিত সংবাদ মাধ্যমে জানা যায়, ভূমি নিরীক্ষা দপ্তরের তদন্তে ভূমি সংস্কার বোর্ডস্থ নবাব এস্টেটের ম্যানেজার, সহকারী ম্যানেজার, হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট ২৮ জনকে দায়ী করা হয়। তাদের মধ্যে নবাব এস্টেটের অফিস সহায়ক মো. মিজানুর রহমানের নাম রয়েছে। পিয়ন মিজানের নাম থাকলেও বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহন না করায় দুর্নীতিবাজ পিয়ন মিজান দুর্নীতিতে আরও বেপরোয়া।
এ ব্যপারে অভিযুক্ত মিজানের সাথে মোবাইলের মাধ্যমে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে নবাব এস্টেটের ম্যানাজারসহ অন্য কর্মকর্তাদের নিকট জানতে চাইলে তারা মিজানের বিষয়ে কোন বক্তব্য দিতে অস্বীকৃত জানান। এদিকে নবাব এস্টেটের সাধারন লীজি ও ভুক্তভোগীরা তার বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানান।