
সম্রাট আলাউদ্দিন, ধামরাই (ঢাকা) : ঢাকার ধামরাইয়ে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কীর্ত্তন অনুষ্ঠানে ঢুকে এক ব্যক্তির ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। এ সময় মারধরে তার একটি দাঁত উপড়ে ফেলা হয় ও মাথায় রক্তাক্ত জখম করা হয়।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী তিনজনের নাম উল্লেখ করে ধামরাই থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। গত বুধবার উপজেলার ভাড়ারিয়া ইউনিয়নের ভাড়ারিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী মো. জামাল (৫৫) আশুলিয়ার শিমুলিয়া ইউনিয়নের গোহাইলবাড়ি দিঘীরপাড় এলাকার বাসিন্দা।অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ঘটনার আগের দিন জামালের সঙ্গে বিবাদী একই এলাকার শাহীন সরদার (৪৫), রাব্বি সরদার (২০) ও সজীবের (২৩) কথাকাটাকাটি হয়।
অভিযোগকারী বলেন, এই বিরোধের জেরে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে পরদিন হামলা চালানো হয়।জামাল থানায় দেওয়া অভিযোগে উল্লেখ করেন, ভাড়ারিয়া হিন্দুপাড়ার শিবমন্দিরের সামনে অনুষ্ঠিত লীলাকীর্তন চলাকালে বিবাদীরা আরও তিন-চারজন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে সঙ্গে নিয়ে লাঠি ও লোহার রডসহ দলবেঁধে তার ওপর হামলা করে।ভুক্তভোগী মো. জামাল বলেন, ‘শাহীন সরদার লাঠি দিয়ে আমার মাথায় সজোরে আঘাত করে। এতে আমি রক্তাক্ত হয়ে মাটিতে পড়ে যাই।
অভিযোগে আরও বলা হয়, রাব্বি সরদার ঘুষি মেরে জামালের উপরের মাড়ির একটি দাঁত উপড়ে ফেলে দেন। এ সময় সজীব তাঁর জ্যাকেটের বুক পকেট থেকে জোর করে ৫ হাজার ২৫০ টাকা নিয়ে যান। অন্যরা এলোপাতাড়ি মারধর করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফুলা জখম সৃষ্টি করেন এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও হুমকি দেন।জামাল বলেন, ‘ওরা চাইলেই আবার আমার ওপর হামলা করতে পারে। আমার জানমাল এখন নিরাপদ নয়।হামলার পর তিনি ধামরাই উপজেলার ইসলামপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেন।
ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। আইনি প্রক্রিয়া চলমান।