আশুলিয়া (ঢাকা) প্রতিনিধিঃ সাভারের আশুলিয়ায় একটি পোশাক কারখানায় শ্রমিক অসন্তোষের ঘটনাকে কেন্দ্র করে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার সকালে আশুলিয়ার জামগড়া এলাকায় স্টারলিং গ্রুপের ‘স্টারলিং স্টাইলস লিমিটেড’ কারখানায় এ ঘটনা ঘটে বলে শিল্প পুলিশ-১ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহমুদ নাছের জনি জানান।
তিনি জানান, শ্রমিকদের অভিযোগে বাৎসরিক ছুটির তিন দিনের টাকা কম দিয়েছে মালিকপক্ষ। এছাড়াও আরও কয়েকটি দাবিতে কারখানাটিতে কয়েকদিন ধরেই অসন্তোষ চলছিল।
তিনি বলেন, গত বৃহস্পতিবার এটি নিয়ে ‘ঝামেলার’ পর মালিকপক্ষ কোনো সিদ্ধান্তে আসতে না পেরে শনিবার কারখানাটিতে ছুটি ঘোষণা করে।
কিন্তু সেই ছুটির বার্তাটিও শ্রমিকদের কাছে ঠিকঠাক না পৌঁছানোয় শনিবার অনেকে কারখানায় গিয়ে ফিরে আসেন।
পুলিশ জানায়, সোমবার সকালে কারখানায় যাওয়ার পর শ্রমিকদের দাবি প্রসঙ্গে মালিকপক্ষের সিদ্ধান্ত না পেয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন তারা।
তখন ক্ষুব্ধ শ্রমিকরা কারখানার ভেতরে বিক্ষোভ শুরু করেন। এতেও কোনো কাজ না হলে শ্রমিকরা কারখানা থেকে বেরিয়ে বাইপাইল-আব্দুল্লাহপুর সড়কে নেমে ইট পাটকেল নিক্ষেপসহ বিশৃঙ্খলার চেষ্টা চালান।
তখন শিল্প পুলিশ সদস্যরা কাঁদুনে গ্যাস নিক্ষেপ করে ও ধাওয়া দিয়ে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
কারখানাটির মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) আব্দুল মান্নান মিয়া বলেন, “শ্রম আইন অনুযায়ী আশপাশের অন্য কারখানা যেভাবে পরিচালিত হয়, আমাদের এখানেও একইভাবে সব কিছু চলছে। গত কয়েকদিন ধরে আমাদের শ্রমিকরা অযৌক্তিক কিছু দাবি তুলে আন্দোলন করে আসছিল। যার মধ্যে রয়েছে বাৎসরিক ছুটি ১১ দিনের পাশাপাশি প্রতিটি সরকারি ছুটিও দেওয়া।
আশুলিয়ায় শ্রমিক অসন্তোষ, কারখানা ভাঙচুরের অভিযোগ
“ঈদের সময় আমরা শ্রমিকদের ছুটি বাড়িয়ে দিই। সাধারণত রোজার আগেই বিভিন্ন শুক্রবার কাজ করিয়ে শ্রমিকদের সেই বাড়তি ছুটি অ্যাডজাস্ট করি। কিন্তু শ্রমিকরা এখন এসব দিনের কাজেরও টাকা দাবি করছেন। এনিয়ে গত ৩/৪ দিন শ্রমিকরা কাজ বন্ধ রাখেন।”
তিনি আরও বলেন, “এসব ইস্যুকে কেন্দ্র করে শনিবার একদিন কারখানা বন্ধ রাখার পর আজ সকালে শ্রমিকরা কাজে যোগদান না দিকে বিক্ষোভ করতে থাকে। একপর্যায়ে শ্রমিকরা কারখানার ভিতরে ভাঙচুর করে।”
তাদের ‘ছয়জন স্টাফকে’ মারধর করে কারখানা থেকে বের করে দেওয়া হয় বলে দাবি তার।
তবে কয়েকজন শ্রমিকের দাবি, আগে কারখানা কর্তৃপক্ষের লোকজন তাদের ওপর হামলা চালালে পরে পরে তারা ভাঙচুর চালান। কিন্তু কারখানা কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের ওপর হামলার কথা অস্বীকার করছে।