কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধিঃ
ঈদ করতে নাড়ির টানে ঘরে ফিরছে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। এতে উত্তরবঙ্গের ২৬ জেলার প্রবেশদ্বার গাজীপুরের চন্দ্রা বাস টার্মিনাল এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে শুরু হয়েছে ভাড়ার নৈরাজ্য। দ্বিগুণ ভাড়া বৃদ্ধিতে ক্ষুব্ধ ঘরমুখী মানুষ। অনেকেই নিরুপায় হয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে আছেন সড়কের পাশে।
সোমবার (৮ এপ্রিল) দুপুরের পর ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়কের গাজীপুরের চন্দ্রা বাস টার্মিনালে আগত যাত্রীবাহী বাসগুলোতে চলছে দর-দাম। স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বাসগুলোতে ভাড়া নেয়া হচ্ছে দ্বিগুণ। এতে হতাশ হয়ে পড়েছে যাত্রীরা।
তবে পরিবহন চালকদের দাবী সড়কে বিভিন্ন স্থানে খরচ বেড়েছে। যার ফলে ঈদে ভাড়া বেশি নেয়া হয়।
আবুল কাইয়ুম নামে এক যাত্রী বলেন, স্বাভাবিক সময়ে রংপুর এর ভাড়া ৭০০ টাকা দেই। কিন্তু আজ ১৫০০ টাকা করে চাইতেছে। অনেক দর দাম করে ১১০০ টাকা বলেছি তাও নিচ্ছে না।
একই অভিযোগ পোশাক শ্রমিক সালেহা খাতুনের, তিনি বলেন, যা ঈদ বোনাস পাইছি তা ভাড়া দিতেই শেষ হইব। ছেলে মেয়েসহ তিনজনের ভাড়া ৪০০০ টাকা চাইতাছে। এমনি ভাড়া মাত্র ৬০০ টাকা।
সুরুজ মিয়া নামে এক যাত্রী বলেন, সিরাজগঞ্জ যামু, আগে ভাড়া আছিল ২৫০ টাকা। ঈদ দেইখা তাগো দাম বাইড়া গেছে। ৮০০ টাকা ভাড়া চাইতাছে।
এদিকে চন্দ্রা টার্মিনাল এলাকায় বিভিন্ন স্থানে ভাড় বেশি না নেয়ার ঘোষণা দিলেও তা কার্যকর হচ্ছেনা।
চন্দ্রা এলাকায় দেশ ট্রাভেল পরিবহন কাউন্টারের ম্যানেজার আব্দুল্লাহ মুমিন বলেন, ভাড়া নৈরাজ সৃষ্টি করছে বাস মালিকরা। যাদের কোন কাউন্টার নেই। ঈদকে কেন্দ্র করে তারা দূরপাল্লার যাত্রী বহন করেন।
তবে ভাড়া নৈরাজ্যের ব্যাপারে কালিয়াকৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাউছার আহমেদ বলেন, ঈদে ঘরমুখী যাত্রীদের কাছ থেকে যাতে বেশি ভাড়া আদায় না করতে পারে সেজন্য আমরা খোঁজখবর রাখছি। কোন পরিবহণের বিরুদ্ধে ভাড়া বেশি আদায়ের অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেব।