1. admin@ajkerpratidin.com : admin : Khokon Howlader
  2. ajkerpratidin@gmail.com : Masum Sarder : Masum Sarder
  3. emranniloy53@gmail.com : Emran Hasan Neloy : Emran Hasan Neloy
  4. info.popularhostbd@gmail.com : PopularHostBD :
  5. rashedapple7@gmail.com : Rashed Ahmed : Rashed Ahmed
সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ০৭:১৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
বেনাপোল ইমিগ্রেশনে ভারতে যাওয়ার সময় আনিসুর রহমান আটক টঙ্গীবাড়ীতে শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনীর টাকা ফেরত চেয়ে মানববন্ধন গাজীপুর আদালতে সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হক এনসিপির ২০ সদস্যের ধামরাই উপজেলা সমন্বয় কমিটি গঠন বেনাপোল বিজিবি অভিযানে ৯লাখ ২০ হাজার টাকার জাল নোট সহ আটক ১ ব্রিতে স্থানভিত্তিক জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবনে কর্মশালা অনুষ্ঠিত গৌরনদীতে তারেক রহমানের ৩১দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পৌর বিএনপির মতবিনিময় সভা আপনারা শুধু কমিটি না,ভোটার কে আছে তার কাছে যেতে হবে সাংবাদিক মামুন রেজার মৃৃত্যুতে কয়রা উপজেলা প্রেসক্লাবের শোক ধামরাইয়ে সাদ হত্যা মামলায় সাবেক কাউন্সিলর গ্রেফতার

সাভার-আশুলিয়া ও ধামরাই থানায় আগুন; লুটপাট, নিহত বেড়ে ২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ৬ আগস্ট, ২০২৪
  • ১৩৯ বার পড়া হয়েছে

সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি ||

আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের দিন ঢাকার সাভার ও আশুলিয়ায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে গুলিদ্ধি হয়ে অন্তত ২৫জনের মৃত্যু খবর পাওয়া গেছে। আন্দোলনকারীরা ঢাকা জেলার সাভার, আশুলিয়া ও ধামরাই থানায় হামলা চালিয়ে ভাংচুর লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করেছে। সরকারী ভবন, আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের বাসা অফিসে হামলা ও অগ্নিসংযোগের খবর পাওয়া গেছে। এছাড়াও বহু আহত ও গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর রয়েছে।

সোমবারের ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে ১৩জন মারা যায়। এরমধ্যে মাছ ব্যবসায়ী রমজান আলী (৪০) ও সাভার পৌর এলাকার ভাগলপুর মহল্লার আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে রফিকুল (৩০) এর পরিচয় পাওয়া গেছে। তবে অন্যদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ অন্যান্য হাসপাতাল থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। তবে মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চিকিৎসক জানিয়েছেন।

সাভারের গনস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৬ জন, এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৮ জন এবং আশুলিয়ার নারী ও শিশু হাসপাতালে তিন জন, হাবিব ক্লিনিকে তিন জনের মরদেহ আনা হয়। তাদের সবাই গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন।

গনস্বাস্থ্য সামাজিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামান বলেন, কাউকে মৃত আনা হয়েছে, কেউ হাসপাতালে এসে মারা গেছেন। যারা মারা গেছেন তাদের সবার বুলেট ইনজুরি। তাদের কারও মাথায়, কারও পেটে গুলি লেগেছে। আমাদের এখানে আরও ৩০ জনের মত গুলিবিদ্ধ ভর্তি রয়েছে।

আশুলিয়া নারী ও শিশু হাসপাতালের জুনিয়র অফিসার মো. পারভেজ বলেন, আমাদের হাসপাতালে তিন জনকেই মৃত অবস্থায় আনা হয়। তাদের সবারই মাথায় গুলিবিদ্ধ ছিল।

এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডিউটি ম্যানেজার সজীব রায় বলেন, ৮ জনের সবার মৃত্যুর কারণ ফিজিক্যাল অ্যাসল্ট।
এছাড়াও আশুলিয়ার হাবিব ক্লিনিকে তিন জনের মৃতদেহ রয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সোমবার বেলা ১১ টার দিকে আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকায় কয়েক শতাধীক আন্দোলনকারী সড়ক অবরোধ করে। এসময় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বাধে। পরে আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকা রণক্ষেত্রে পরিনত হয়। পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ চলতে থাকে। এর পর্যায়ে মাছ ব্যবসায়ী রমজান আলী গুলিবিদ্ধ হয়। পরে তাকে চিকিৎসার জন্য সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত্যু ঘোষণা করে।
দুপুরে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডিউটি ম্যানেজার ইউসুফ আলী বলেন, গুলিবিদ্ধ রমজান নামে এক ব্যক্তিকে মৃত্যু অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে। তিনি বাইপাইলে মাছের আড়ৎতে মাছ বিক্রি করতেন। তবে এখন পর্যন্ত অন্তত আরো ৫ জন আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।

দুপুরের পরে সাভার বাসস্ট্যান্ড, রেডিও কলোনী ও আশুলিয়ার বাইপাইলে দফায় দফায় পুলিশের সাথে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। অনেকেই গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

বিকালে সাভার আশুলিয়া ও ধামরাই থানার সামনে জড়ো হয়ে আন্দোলনকারীরা পুলিশ প্রশাসনকে অবরুদ্ধ করে রাখেন।
একপর্যায়ে হামলাকারীরা ধামরাই উপজেলা, ধামরাই থানা, পৌরসভায় ভবনে আগুন ধরিয়ে দেয়। ধামরাই উপজেলা র্নিবাহী অফিসারের বাসভবনে ও গাড়িতে আগুন। ধামরাই থানায় আগুন ধরিয়ে দিলে ১০টির বেশি যানবাহন পুড়ে যায়। থানা পুলিশের রেশন লুট করা হয়। জীবন বাঁচাতে ধামরাই থানা পুলিশ সিভিল পোষাকে সাধারণ মানুষের সাথে মিশে বেরিয়ে যাওয়ায় হামলাকারীদের হাত থেকে রক্ষা পায়। এছাড়াও আন্দোলনকারীরা ধামরাইয়ের বিভিন্ন স্থানে ২০ থেকে ২৫টি মটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়।

সন্ধ্যায় আশুলিয়া থানার রান্না ঘরে বাহির থেকে আগুন ধরিয়ে দেয় আন্দোলনকারীরা। তবে এর আগে আশুলিয়া থানা পুলিশের সাথে দফায় দফায় হামলার ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানমাল রক্ষার্থে গুলি ছুড়ে। পরে সেনাবাহিনীর সদস্যরা এসে আশুলিয়া থানা পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

এছাড়া সাভারের বিভিন্ন স্থানে ছাত্রলীগ ও আওয়ামীলীগ অফিসে বাড়িতে হামলা, ভাংচুর ও আগুন দেওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
বিকেল ৩ টার দিকে সাভার থানা রোড়ে স্লোগান দিতে দিতে কয়েক শ’ আন্দোলনকারীরা প্রবেশ করে। এসময় সাভার প্রেসক্লাব ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ এবং লুটপাট করে। পরে তারা সাভার মডেল থানার দিকে এগিয়ে আসে। এরপর সাভার মডেল থানার এক’শ গজ সামনে আন্দোলনকারীরা আগুন ধরিয়ে দেয়। এসময় আন্দোলকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়লে পুলিশও গুলি ছোঁড়ে। এতে অন্তন ১০ গুলিবিদ্ধ হয় এবং রফিকুল নামে এক যুবক নিহত হয়। পরে সন্ধ্যার দিকে আন্দোলনকারীরা থানা ও পোষ্ট অফিসের ভেতরে ঢোকে আগুন দিয়ে লুটপাত ও ভাঙচুর চালায়। তখন অস্থা বেগতিক দেখে পুলিশ সদস্যরা গুলি ছুড়তে ছুড়তে গাড়ি নিয়ে পালিয়ে জীবন রক্ষা করেন। পরে আন্দোলনকারীরা থানার ভিতরে থাকা সকল যানবাহনে আগুন ধরিয়ে দেয়।

সাভার পৌর কমিউনিটি সেন্টারে থাকা পুলিশের রিজার্ভ ফোর্সদের মালামাল, রেশন লুটপাট করে আগুন ধরিয়ে দেয় আন্দোলনকারীরা।

মঙ্গলবার সকালে আশুলিয়ার বাইপাইলের কাছে ফুট অভারব্রিজের দুই জনের লাশ ব্রিজের রেলিংএর সাথে উল্টো করে ঝুলানো দেখতে পেয়েছে প্রত্যক্ষদর্শীরা। তবে তাদের পরিচয় জানা যায়নি। এছাড়া বাইপাইলে একটি পোড়া লেগুনা গাড়িতে তিনটি লাশও রয়েছে যা পুরে কয়লা হয়ে গেছে।

তবেব মৃত্যের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে এমনটা ধারনা প্রত্যক্ষদর্শীদের।

সংবাদ টি শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ

Ajker Pratidin গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠান ©২০১৮-২০২৫ ajkerpratidin.com সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।

Design BY POPULAR HOST BD