সম্রাট আলাউদ্দিন, ধামরাই (ঢাকা) : ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে অপ্রয়োজনীয় প্রকল্পে ৬০ লাখ টাকা বরাদ্দ আদায়,খরচের হিসাব দাখিল না করাসহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে ঢাকার ধামরাই উপজেলার কুশুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নূরুজ্জামানের বিরুদ্ধে।
সেবাপ্রত্যাশীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারেরও অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।স্থানীয় সূত্র জানায়, ইউপি চেয়ারম্যান নূরুজ্জামান কুশুরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি। তিনি ঢাকা ২০ আসনের সাবেক এমপি ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সাবেক সভাপতি ও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বেনজীর আহমদের ভগ্নিপতি।
এই সুযোগে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ইউপি সদস্যদের মতামতকে গুরুত্ব না দিয়ে তিনি একক সিদ্ধান্তে পরিষদ পরিচালনা করতেন।স্থানীয়দের অভিযোগ, এলাকার রাস্তাঘাট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন কাজের প্রতি গুরুত্ব না দিয়ে গত আড়াই বছরে তিনি ইউনিয়ন পরিষদের সীমানার ভেতর বাগান করা, ফুলের গাছ কেনা, বাগান পরিচর্যা ও রক্ষণাবেক্ষণ, মাটি ভরাট, দেয়াল নির্মাণসহ ২৫টি প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় ৬০ লাখ টাকা সরকার থেকে বরাদ্দ নিয়েছেন।
কিন্তু এসব প্রকল্পে খরচের কোনো হিসাব দেননি তিনি। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে এলাকা থেকে গাঢাকা দেন তিনি। ইউপি সদস্যদের অভিযোগ, চেয়ারম্যান নূরুজ্জামান পরিষদের সদস্যদের মতামতকে গুরুত্ব না দিয়ে একক সিদ্ধান্তে পরিষদ পরিচালনা করতেন। তিনি কাজের কোনো হিসাব দিতেন না।ওই ইউনিয়নের আনিস উর রহমান স্বপনসহ একাধিক ব্যক্তি বলেন, এত টাকা পরিষদে ব্যয় না করে বিভিন্ন গ্রামের কাঁচা রাস্তায় সামান্য মাটি ফেললেও জনগণের চলাচলের সুবিধা হতো। কিন্তু তিনি তা না করে নিজের ইচ্ছামতো কাজ করেছেন।
এ বিষয়ে জানতে চেয়ারম্যান নূরুজ্জামানের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোমিনুল হক বলেন, কুশুরা ইউপি চেয়ারম্যান নূরুজ্জামান ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে পরিষদের অভ্যন্তরে বারবার প্রকল্প নিয়েছেন। প্রকল্প যাচাইয়ে গেলেও তেমন গুরুত্ব দিতেন না তিনি।