তিতাস (কুমিল্লা) প্রতিনিধিঃ
কুমিল্লার হোমনায় জায়গা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে দুই জনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা ঘটনায় জড়িত ৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত নামা আরও ৩/৪ জনকে আসামি করে হোমনা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন হোমনা পৌর সভার হোমনা পূর্ব পাড়ার মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে আবদুল মোতালিব(৭০)।
হোমনা থানার মামলা নং-৪,তাং-২৩/০৮/২০২৪ ইং।বাদীর দায়েরকৃত মামলার আসামিরা হলেন-হোমনা উপজেলার ঘাগুটিয়া ইউনিয়নের চুনারচর গ্রামের মৃত গিয়াস উদ্দিনের ছেলে আহাদ মিয়া(৪০), জলিলের ছেল আবদুল লতিফ(৪৫), মৃত গিয়াস উদ্দিনের ছেলে শামিম(৪৩),জলিলের মিয়ার ছেলে হারেজ(২৬),মৃত জাবেদ আলী ছেলে জলিল মিয়া(৬৫),ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের রাধানগর গ্রামের শহীদ মিয়ার ছেলে মোঃ কামাল হোসেন(৩৮),একই গ্রামের রফিকের ছেলে জুনাইদ(২১),মোক্তার মিয়ার ছেলে তানজিদ(২২),মোতালিবের ছেলে মোল্লা(৫৫)সহ অজ্ঞাত নামা আরও ৩/৪ জন।
বাদীর দায়ের কৃত মামলা সূত্রে জানা যায়,মামলার ১ নং স্বাক্ষী ছবির মিয়া(৩৫) তার মেয়ের জামাই হয় এবং ২ নং স্বাক্ষী ফারুক মিয়া(২৮) তার ছেলে হয়।আসামীরা খুবই খারাপ ও দাঙ্গাবাজ প্রকৃতির লোক। তার মেয়ের জামাই ছবির মিয়ার সঙ্গে ১ নং আসামি আহাদ মিয়া ও ২ নং আসামি লতিফের দীর্ঘদিন যাবৎ জায়গা জমি নিয়ে বিরোধ চলতেছে। গত ২২/০৮/২০২৪ ইং সকাল ১১:০৫ ঘটিকার সময় তার মেয়ের জামাই ছবির মিয়া তার নিজ বাড়ি থেকে বাঞ্ছারামপুর থানার রাধানগর গ্রামে তার বোনের বাড়িতে বেড়াইতে যায়। ছবির মিয়া বেড়ানো শেষে তার বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা করে গত ২২ /০৮/২০২৪ইং সন্ধ্যা অনুমান ০৭.৩০ ঘটিকার সময় সাদ্দাম বাজারস্থ নৌকা ঘাটে উপস্থিত হলে উল্লেখিত আসামিরা পূর্ব শত্রুতার জের ধরেই পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক বে-আইনি জনতা দলবদ্ধ হয়ে ছবির মিয়াকে পথরোধ করে এলোপাতাড়ি মারধর করে।
এসময় উল্লেখিত ৯ নং আসামি মোল্লার হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে ছবির মিয়ার মাথায় স্বজোরো বারি মেরে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। তখন স্থানীয় লোকজন আগাইয়া এসে ছবির মিয়াকে উদ্ধার করে হোমনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সে হোমনা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে সংবাদ পেয়ে তার ছেলে ফারুক মিয়া তার বোন জামাই ছবির মিয়াকে দেখার জন্য হোমনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উপস্থিত হয় ।ছবির মিয়া হাসপাতালে ভর্তির সংবাদ শুনে উল্লেখিত আসামিরা হোমনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে পুনরায় তাকে প্রাণে মেরে ফেলার জন্য গত ২২/০৮/২০২৪ইং তারিখ রাত অনুমান ১০.ঘটিকার সময় আসামিরা একই উদ্দেশ্যে বে আইনি জনতা দলবদ্ধ হয়ে দেশীয় অস্ত্রশাস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হোমনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভিতরে পৌছিয়ে ছবির মিয়াকে দেখিয়া এলোপাতাড়ি মারধর করতে থাকে। তখন তার ছেলে ফারুক মিয়া উল্লেখিত আসামীদের বাধা প্রদান করলে আসামিরা তার ছেলে ফারুক মিয়ার উপর ক্ষিপ্ত হইয়া উল্লেখিত ১ নং আসামি আহাদ মিয়া ও ২ নং আসামি লতিফের হুকুমে উল্লেখিত ৩ নং শামিম,৪ নং হারেজ,৫নং জলিল মিয়া, ৬নং কামাল হোসেন, ৭নং জুনাইদ, ৮ নং তানজিদ ও ৯ নং আসামি মোল্লাসহ অজ্ঞাতামা আসামিরা তার ছেলে ফারুক মিয়ার মাথায় উপর্যুপুরি আঘাত করিতে থাকে ।
এসময় ৭ নং আসামি জুনাইদের হাতে দাড়ালো রামদা দিয়ে ফারুক মিয়াকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় কোপ দিয়ে গুরুত্ব রক্তাক্ত কাটা জখম করে। ৩ নং আসামি শামিমের হাতে থাকা লোহার পাইপ দিয়ে আঘাত করে ফারুক মিয়ার হাতে হারভাঙ্গা যখম করে এবং ৪ নং আসামি হারেজ,৫ নং জলিল মিয়া, ৬ নং কামাল,৮ নং তানজিদ ও ৯ নং আসামি মোল্লা তাদের হাতে থাকা লোহার রড ও লাঠিসোঁটা উপর্যুপুরি আঘাত করিয়া সর্বশরীরে মারাত্মক বেদনাদায়ক যখন করে।এই সুযোগে ১নং আসামি আহাদ মিয়া ছবির মিয়ার পকেটে থাকা ৫০,২৫০/- টাকা ও গলায় থাকা ০১ ভরি ২ আনা ওজনের একটি স্বর্ণের চেইন যার মূল্য অনুমান ১ লক্ষ ২৮ হাজার টাকা নিয়ে যায়। আসামিরা ছবির মিয়া ও ফারুক মিয়াককে মারধর করিতে দেখিয়া হাসপাতালের লোকজন আগাইয়া আসিলে আসামিরা ঘটনাস্থল থেকে চলিয়া যায়।
আসামিরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করার পূর্বে প্রকাশ্যে বলে যে,উক্ত বিষয় নিয়ে ছবির মিয়া ও ফারুক মিয়া যদি আসামিদের বিরুদ্ধে কোনো প্রকার আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে তাহলে আসামিরা আমার ছবির মিয়া ও ফারুক মিয়াকে প্রাণে হত্যা করিবে মর্মে হুমকি প্রদর্শন করে। বর্তমানে ছবির মিয়া ও ফারুক মিয়া হোমনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছে।
এবিষয়ে আহত ছবির মিয়া বলেন, উল্লেখিত আসামিদের বিরুদ্ধে হোমনা থানায় মামলা হওয়ার পরে ৪ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করে হোমনা থানা পুলিশ।তারা জামিনে এসেই আমাকেসহ আমার পরিবারকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দামকি দিচ্ছে।যদি তাদের কথায় মামলা তুলে না আনি তাহলে তারা আমাকেসহ আমার পরিবারের বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি করবে।এতে আমরা চরম নিরাপত্তা হীনয় ভুগতেছি।