অরবিন্দ রায়, স্টাফ রিপোর্টারঃ সারাদেশে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা বাড়িতে বাড়িতে শ্রী শ্রী রাধার জন্মতিথি পালন করেছে ।
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাধার পবিত্র জন্মতিথি। ভাদ্র মাসের শুক্ল অষ্টমী তিথি হলো রাধাষ্টমী। রাধার জন্মস্থান হল মথুরার বারসনা। ভাদ্র মাসের শুক্ল অষ্টমী তিথিতে রাজা বৃষভানু ও তার স্ত্রী কৃীর্তি স্বর্ণপদ্মের কোল আলো করে শ্রীরাধা তাদের ঘরে এসেছিলেন। রাধা অষ্টমী বৈষ্ণব ধর্মালম্বিদের কাছে উল্লেখযোগ্য একটি দিন।
সনাতন ধর্মাবলম্বীরা বিশ্বাস করেন , পবিত্র রাধাষ্টমী পালন করলে সকল মানুষেমানুষের মনোবাসনা পূর্ণ হয়। মঙ্লবার রাত ৬ টা ৫৫ মিনিট ৪৮ সেকেন্ড পর্যন্ত। রাধাষ্টমীর উপবাস বুধবার রাত ৬ টা ৫৬ সেকেন্ড ৪৯ পর্যন্ত চলবে।
রাধাষ্টমী দিনটিকে রাধা রানীর জন্মদিন হিসেবে পালন করা হয়। রাধা অষ্টমীর দিন রাধা রানী ও শ্রীকৃষ্ণের পূঁজা করলে মনের কাঙ্ক্ষিত ফল লাভ করা হয়। ঘরের সুখ ও সমৃদ্ধির জন্য রাধা অষ্টমীর দিন স্তোএ পাঠ করা উচিত। এতে ঘরে সুখ ও সৌভাগ্য আসে। রাধা অষ্টমীর দিন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ও রাধা রানীকে মিষ্টান্ন নিবেদন করা উচিত। রাধা রানীর রয়েছে ১০৮ টি নাম।
“রা” শব্দটি এসেছে রমন শব্দ থেকে। রমন শব্দের অর্থ হলো আনন্দ বর্ধনকারী। “ধা” শব্দটা এসেছে ধারণ থেকে। যিনি আনন্দ ধারণ করে থাকেন তিনিই হলেন রাধা।
ভগবান কৃষ্ণের সাথে রাধার গভীর সংযোগ তাকে নিঃস্বার্থ উৎসর্গের প্রতীক করে তুলেছে। পবিএ হিন্দু গ্রন্হে বর্নিত হিসেবে, কৃষ্ণের কাছে যাওয়ার জন্য সংগ্রাম করে। রাধার অটল প্রেম তাকে পরিএাণের জন্য সবচেয়ে অস্হির আত্মাদের সুপারিশ করতে দেয়। এই শুভ দিনটি ইতিবাচক শক্তি নিয়ে আসে। নেতিবাচকতা দূর করে ও যারা এটিকে সম্মান করে তাদের জন্য সুখ, সমৃদ্ধি সূচনা করে বলে বিশ্বাস করা হয়।
রাধাষ্টমী উপবাসের সময় মহিলারা উপবাস রাখেন। রাধা রানীর পাশাপাশি শ্রীকৃষ্ণের পূজা করেন। ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আর্শীবাদ পাওয়া যায়। রাধা অষ্টমী উপবাস করলে সকল পাপ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।