কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে এক নারীকে কান ধরে ওঠবস-মারধর করার ঘটনায় অভিযুক্ত ফারুকুল ইসলামকে হেফাজতে নিয়েছে ডিবি। শুক্রবার দিবাগত মধ্যরাতে ফারুকুলকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসিম উদ্দিন।
সম্প্রতি সমুদ্র সৈকতে ওই নারীকে কান ধরে ওঠবস-মারধর করার কয়েকটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। ভিডিওগুলোতে দেখা যায়, একদল অতিউৎসাহী জনতা সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে ভুক্তভোগী নারীকে কান ধরিয়ে ওঠবস করাচ্ছে। হাতে লাঠি নিয়ে নারীকে আঘাত করছে ডিবি হেফাজতে থাকা ফারুকুল। কান ধরে ওঠবস করতে দেরি হলেই সে লাঠি দিয়ে আঘাত করছে ওই নারীকে। পাশে দাঁড়িয়ে থাকা উৎসুক জনতা নারীর কান ধরে ওঠবসের গণনাও করেছিল।
ভাইরাল হওয়া আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায়, রাতে সমুদ্র সৈকতের ছাতাযুক্ত চেয়ারে (কিটকট) বসেছিলেন এক নারী। কয়েক যুবক ওই নারীকে হঠাৎ করে ঘিরে ধরে। একপর্যায়ে নারীর পরিচয় জানতে চায়। নারী পরিচয় দিলেও ওই যুবকেরা তাকে কিটকট থেকে উঠে যেতে বলে। উঠে না গেলে তাকে মারধরের হুমকিও দেয় তারা।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসিম উদ্দিন ইনডিপেনডেন্ট ডিজিটালকে বলেন, এসব ঘটনায় অভিযুক্ত যুবক ফারুকুল ইসলামকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে তাকে এখনও আটক বা গ্রেপ্তার দেখানো হয়নি।
এসব ঘটনা নিয়ে পর্যটন উদ্যোক্তা ও আইনজীবী অ্যাডভোকেট মিরারুল ইসলাম আল আমিন ইনডিপেনডেন্ট ডিজিটালকে বলেন, ‘নারী হেনস্তার বিষয়টি অমানবিক এবং আইনের লঙ্ঘন। এই ঘটনা পর্যটন শিল্পে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।’
কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের পর্যটন সেলের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানভীর হোসেন বলেন, ভবিষ্যতে কক্সবাজারে আশা কেউ যাতে হয়রানির শিকার না হয় সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি পর্যটকদের নিরাপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশের সঙ্গে বিচ-কর্মীরাও হয়রানিরোধে দায়িত্ব পালন করবে।
হয়রানির অভিযোগ প্রমাণিত হলে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে শাস্তির ব্যবস্থাও করা হবে বলেও জানান তানভীর হোসেন।