মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ মুন্সীগঞ্জ শহরের সুপার মার্কেট এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সজল মোল্লা (৩০) নিহতের ঘটনায় রাজনৈতিক নেতা ও জনপ্রতিনিধিসহ ৪৫১ জনকে আসামী করে আরো একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১ টার দিকে নিহতের ছোট ভাই সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে সদর থানায় এ মামলা দায়ের করেন। মামলায় ৩০১ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরো ১০০ থেকে ১৫০ জনকে আসামী করা হয়েছে।
মামলার উল্লেখযোগ্য আসামীরা হলেন মুন্সীগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাজী মো. ফয়সাল বিপ্লব, সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আনিস উজ্জামান, তার ২ ছেলে আক্তার উজ্জামান রাজিব ও জালাল উদ্দিন রম্নমি রাজন, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সোহানা তাহমিনা, শহর ছাত্রলীগের সভাপতি নসিবুল ইসলাম নোবেল, সাধারণ সম্পাদক ও পৌর কাউন্সিলর সাজ্জাত হোসাইন সাগর, সরকারি হরগঙ্গা কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি নিবির আহমেদ, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ফয়সাল মৃধা, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামসুল কবির মাষ্টার, শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান ভূইয়া, শহর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রায়হানুজ্জামান রাসেল, সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান নাজমুল হাসান সোহেল, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আফসার উদ্দিন ভুইয়ার ছেলে মাহমুদুল হাসান সাদি, পঞ্চসার ইউপির চেয়ারম্যান গোলাম মো¯ত্মফা, চরকেওয়ার ইউপির চেয়ারম্যান আফসার উদ্দিন ভুইয়া, আধারা ইউপির চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন, বাংলাবাজার ইউপির চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন পীর, শিলই ইউপির চেয়ারম্যান পারভেজ মৃধা, মোল্লাকান্দি ইউপির চেয়ারম্যান রিপন হোসেন পাটোয়ারি, মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সোহেল রানা রানু।
মুন্সীগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খলিলুর রহমান অভিযোগ দায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
উলেস্নখ্য গত ৪ আগষ্ট জেলা শহরের সুপার মার্কেট এলাকায় আওয়ামীলীগ ও আন্দোলনকারীদের মধ্যে সংঘর্ষে রিয়াজুল ফরাজী (৩৮), ডিপজল (১৯) ও মো. সজল (৩০) নিহত হয় এ সময় আরো অর্ধশতাধিকের বেশি গুলিবিদ্ধ হয়।
নিহতদের সবার বাড়ি শহরের উত্তর ইসলামপুর এলাকায়। নিহত ৩ জনই শ্রমিক ছিলেন। এ সম¯ত্ম ঘটনায় এর আগে রিয়াজুল ফরাজী ও ডিপজল নিহতের ঘটনায় আলাদা আলাদা মামলা দয়ের করে নিহতদের পরিবার। ঘটনার দির্ঘদিন পরে সজলের পরিবারের পড়্গ থেকে সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করলো।