
গুরুতর অসুস্থ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডন নেয়া হচ্ছে। মেডিকেল বোর্ড তাকে লন্ডন ব্রিজ হাসপাতালে ভর্তি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইতিমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হচ্ছে। শুক্রবার সকালে কাতারের আমীরের রাজকীয় এয়ার এম্বুলেন্সে করে লন্ডনের উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কাতার আমিরের বিশেষ এয়ার এম্বুলেন্সে কারিগরি সমস্যার কারণে তার যাত্রা বিলম্ব হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান।

খালেদা জিয়া রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে টানা ১২ দিন ধরে চিকিৎসাধীন। হাসপাতালের চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ড তার চিকিৎসা পরিচালনা করছে। দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. জাহিদ হোসেন জানিয়েছেন, দেশী-বিদেশী বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ড বেগম খালেদা জিয়ার বর্তমান শারীরিক অবস্থার আলোকে এবং সব কিছু যদি ঠিক থাকে তাহলে কাতার রয়েল এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে মাধ্যমে উনাকে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে অথবা শুক্রবার সকালের ভেতরে যুক্তরাজ্যে অর্থাৎ লন্ডনে একটি নির্ধারিত হসপিটাল ঠিক করেছি, সেখানে আমরা উনাকে নিয়ে যাবো।
মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকদের সূত্রে জানা গেছে, খালেদা জিয়ার ফুসফুসে সংক্রমণের যে জটিলতা রয়েছে, ফুসফুসের কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে তাকে মেকানিক্যাল ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে। তাতে কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে হৃদযন্ত্রসহ কয়েকটি জটিলতা এখনও রয়ে গেছে। শারীরিক অবস্থা মোটের ওপর অপরিবর্তিত। বৃহস্পতিবার লন্ডন ও চীন থেকে বেশ কয়েকজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ঢাকায় এসে খালেদা জিয়াকে সরাসরি দেখেছেন এবং সর্বশেষ পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রতিবেদন পর্যালোচনা করেছেন। তাদের সঙ্গে তিন দফা ভার্চ্যুয়ালি বৈঠকও হয়েছে।
খালেদা জিয়ার সঙ্গে যাচ্ছেন ১৭ জন: এদিকে বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সফরসঙ্গী হতে লন্ডন থেকে আসছেন পুত্রবধূ জুবাইদা রহমান। তিনি ইতিমধ্যে লন্ডন থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। তার শুক্রবার সকালে ঢাকায় পৌঁছার কথা রয়েছে। খালেদা জিয়ার সঙ্গে লন্ডনে যারা যাবেন তাদের মধ্যে আছেন, বেগম খালেদা জিয়ার পুত্রবধূ জুবাইদা রহমান, সৈয়দা শামিলা রহমান, চিকিৎসক আবু জাফর মো. জাহিদ হোসেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মোহাম্মদ এনামুল হক চৌধুরী, চিকিৎসক ফখরুদ্দিন মোহাম্মদ সিদ্দিকি, চিকিৎসক মো. শাহাবুদ্দিন তালুকদার, চিকিৎসক নূরউদ্দিন আহমদ, রিচার্ড জন বিল, জিয়াউল হক, চিকিৎসক মো. জাফর ইকবাল, চিকিৎসক মোহাম্মদ আল মামুন, স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের (এসএসএফ) হাসান শাহরিয়ার ইকবাল, স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের সৈয়দ সামিন মাহফুজ, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সহকারী মো. আবদুল হাই মল্লিক, সহকারী ব্যক্তিগত সচিব মো. মাসুদুর রহমান, গৃহকর্মী ফাতেমা বেগম ও গৃহকর্মী রূপা শিকদার।