অরবিন্দ রায়, স্টাফ রিপোর্টারঃ নরসিংদীতে বকেয়া বেতন ভাতা আদায়ের দাবিতে ঢাকা – সিলেট মহাসড়কের শীলমান্দি এলাকায় শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ। এতে মহাসড়কের উভয় পাশে যানজটের সৃষ্টি হয়। পাঁচদোনা মোড়ে এিমুখী সড়কে দিনভর যাএীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। বৃহস্পতিবার নরসিংদী সদর উপজেলার শীলমান্দী এলাকায় হামিদ ফেব্রিকস লিমিটেডের শ্রমিকরা বেতন ভাতা আদায়ের দাবিতে মিলের সামনে কর্মসূচী পালন করে। বেলা ১১ টায় কয়েক শতাধিক শ্রমিক দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে।
শ্রমিকরা জানায়, হামিদ ফেব্রিকস লিঃ এর ১৪০০ শ্রমিক বেতন পাচ্ছে না। এর মধ্যে ৬ থেকে ১৪ মাসেরও বেশি সময় ধরে শ্রমিকরা বেতন পাচ্ছেন না।গত রমজানে ঈদের আগে বকেয়া বেতন ভাতার দাবিতে শ্রমিকরা মহাসড়কে নামে। এ সময় সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে শ্রমিকদের দাবি মেনে নেওয়ার ঘোষণা দেন প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ। কিন্তু শ্রমিকরা কোনো সুফল পায়নি । কাউকে কোনো বেতন দেয়নি কৃর্তপক্ষ।
এক শ্রমিক জানায় , আমরা দর্ঘিদিন ধরে বেতন পাচ্ছি না। পরিবার নিয়ে সংসার চালাতে কষ্ট হচ্ছে। দোকানে বাকির পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে, পরিশোধ করতে পারছি না। তাই বেতনের দাবিতে সড়কে নেমে এসেছি।
হামিদ ফেব্রিকস লি: এর ডেপুটি ম্যানেজার মো. নজরুল ইসলাম গণমাধ্যম কে বলেন, গত ১৪ মাস ধরে আমি বেতন পাচ্ছি না। রমজানে আমার মেয়ে মারা গেছে তাও আমি কিছু করতে পারিনি । আমি এখন পর্যন্ত সাড়ে দশ লাখ টাকা পাই। আমরা চাই সকলের দেনা পাওনা বুঝিয়ে দেওয়া হোক।
বিকেলে ঘটনাস্থলে আসেন হামিদ ফেব্রিকস লিঃ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মাহিন। শ্রমিকদের তোপের মুখে ঘটনাস্থল ত্যাগ তিনি চলে যান। পরে ঘটনাস্থলে নরসিংদী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ হোসেন চৌধুরী, জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল হান্নান, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর, সহকারী মহা পরিদর্শক তাওহীদুল হক ভূইয়া এবং সহকারী কমিশনার মেহেদি হাসান পাটুয়ারী সহ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা শ্রমিক ও কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনায় বসে। পরে কারখানা কর্তৃপক্ষ আগামী ঈদুল আজহার আগে ৩টি বেতন ও একটি ঈদ বোনাস পরিশোধ করবে বলে অঙ্গীকার করেন। তাদের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে শ্রমিকরা মহাসড়ক ছেড়ে চলে যায়।
হামিদ ফেব্রিকস লি: এর সিও মীর আজহারুল ইসলাম বলেন, গ্যাস ও বিদ্যুতের সমস্যার কারণে আমাদের কারখানার উৎপাদনের সমস্যা হচ্ছে। যার কারণে শ্রমিকদের বেতন পরিশোধে দেরি হচ্ছে। আমাদের একটি পেমেন্ট না পাওয়ার কারণে এর আগের আশ্বাস মত বেতন পরিশোধ করতে পারিনি। আজকে প্রশাসন সহ শ্রমিকদের সাথে আলোচনা হয়েছে। আমরা ধাপে ধাপে শ্রমিকদের বেতনগুলো পরিশোধ করব।