1. admin@ajkerpratidin.com : admin : Khokon Howlader
  2. ajkerpratidin@gmail.com : Masud Sardar : Masud Sardar
  3. niloy@ajkerpratidin.com : Niloy :
  4. info.popularhostbd@gmail.com : PopularHostBD :
  5. rashedapple7@gmail.com : Rashed Ahmed : Rashed Ahmed
রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫, ০৯:১৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
আশুলিয়া থানা যুবদল নেতা শাহিন সরকার এর উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল আশুলিয়ায় ৬ লাশ পোড়ানোর মামলার তদন্ত শেষ : চিফ প্রসিকিউটর রাজনগরে মিশ্রাব হত্যা মামলার আসামী-কে আটক করেছে র‌্যাব-৯ রাজস্বভুক্তকরন ও আউটসোর্সিং বাতিলের দাবিতে শিক্ষক কর্মকর্তা কর্মচারীদের মানববন্ধন প্রথমবারের মতো মিষ্টি ভুট্টা চাষ করে সোহেলের অবিশ্বাস্য চমক রাষ্ট্রযন্ত্র থেকে দোসরদের সরানোই হবে মূল সংস্কার: মুরাদ টারকী বন্দর মোহাম্মাদিয়া জামে মসজিদে ইফতার পার্টির আয়োজন বরিশালে পাওনা টাকার জের ধরে ছাত্রদল নেতাকে কুপিয়ে জখম কালিয়াকৈরে উপজেলা বিএনপির দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত গৌরনদীতে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের ইফতার মাহফিল

পোশাককর্মীর মাতৃত্বকালীন ছুটি কেবল আইনেই: গর্ভবতী হলে ছাঁটাই!

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
  • ১৬২ বার পড়া হয়েছে

একজন মায়ের কাছে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় উপহার তার নাড়িছেঁড়া ধন সন্তান। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, সেই সন্তানের স্বপ্ন দেখলেই রুটি রুজিতে আঘাত পড়ে এ দেশের পোশাক শ্রমিকদের। মাতৃত্বকালীন ছুটি তো দেওয়াই হয় না, করা হয় চাকরিচ্যুত। কাগজেকলমে কমপ্লায়েন্স মেনে ক্রেতাদের কাছ থেকে অর্ডার নেওয়া হলেও অন্ধকারে থেকে যায় পোশাক শ্রমিকদের মা হওয়ার করুণ গল্প। গার্মেন্ট শ্রমিক রুনু আক্তার তাদেরই একজন।

গাজীপুর মহানগরীর গাছা থানা এলাকার টি আর জেড গার্মেন্টের শ্রমিক রুনু আক্তার গত বছরের অক্টোবরে মাতৃত্বকালীন ছুটির আবেদন করে চাকরিচ্যুত হয়েছেন। আর কোনো প্রতিষ্ঠানে যোগদানের সুযোগ পাননি তিনি। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে টি আর জেড গার্মেন্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে মাতৃত্বকালীন সুবিধা পাওয়ার আবেদন করেছিলেন তিনি। তার আগে ১৪ সেপ্টেম্বর গর্ভবতী হওয়ার বিষয়টি জানিয়ে কারখানার ওয়েলফেয়ার কর্মকর্তা শাহনাজের কাছে মেডিকেল রিপোর্ট জমা দিয়েছিলেন। তখন থেকেই রুনুর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু হয়। গত বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর সকালে কাজে যোগদানের জন্য টি আর জেড গার্মেন্টের গেট থেকে নিরাপত্তা কর্মী জানিয়ে দেন রুনুকে মানবসম্পদ ও প্রশাসনিক ব্যবস্থাপক চাকরিচ্যুত করেছেন। চাকরিচ্যুত করার চিঠি ডাকযোগে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানান নিরাপত্তা কর্মী। পাঁচ বছরের বেশি সময় চাকরি করার পরও রুনুর ভাগ্যে জোটেনি মাতৃত্বকালীন ছুটি।

উল্টো করা হয়েছে চাকরিচ্যুত। গতকাল রুনু আক্তারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার স্বামী মো. সাদ্দাম হোসেন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আমার স্ত্রী রুনু আক্তার গর্ভবর্তী হওয়ার পর শ্রম আইন মোতাবেক গার্মেন্ট মালিকের কাছে মাতৃত্বকালীন ছুটির আবেদন করেছিল। কর্তৃপক্ষ সেই আবেদন গ্রহণ না করে উল্টো কারখানার গেট থেকে নিরাপত্তা কর্মী রুনুকে জানিয়ে দেয় যে, তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।

রাজধানীর আশকোনা দক্ষিণখান এলাকায় এটিএস জিন্টস ওয়্যার প্রাইভেট লিমিটেডে অপারেটরের সহকারী হিসেবে কাজ করতেন (ছদ¥নাম) নিলুফা বেগম। গত বছর গর্ভবতী হওয়ার পর কর্তৃপক্ষ নিলুফাকে কাজে আসতে নিষেধ করেন। মাতৃত্বকালীন সুযোগ-সুবিধা তো দূরে থাক, ওই মাসের বেতন-ভাতাও পাননি নিলুফা। এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের মহাপরিচালকের কাছে আবেদন করেছিলেন তিনি ছাড়াও আরও দুজন শ্রমিক। তাতে কোনো কাজ হয়নি। একাধিক নারী শ্রমিকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গর্ভকালীন কাজ করার সময় তাদের নানাভাবে নিরুৎসাহিত ও ভয়ভীতি দেখানো হয়। গর্ভবতী নারী কর্মীদের বেশি সময় কাজ করানোসহ নানা কৌশলে চাকরি ছাড়তে বাধ্য করা হয়। এতেও কাজ না হলে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো এবং কোনো অজুহাত ছাড়াই চাকরিচ্যুত করা হয়। অনেক প্রতিষ্ঠান আছে, যেখানে গর্ভধারণের খবর পেলেই চাকরিচ্যুত করা হয়। আবার কিছু কারখানা গর্ভকালীন ছুটি দিলেও বেতন ও ভাতা নিয়ে টালবাহানা করে। চাকরি হারানোর ভয়ে অনেকেই গর্ভধারণ পিছিয়ে দেন।

বিলম্বে গর্ভধারণ করে শারীরিক জটিলতার মধ্যে পড়ছেন বলে অভিযোগ করেছেন। এ বিষয়ে গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেউ ইউনিয়ন কেন্দ্রের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শাহীন আলম বলেন, গর্ভবতী হলে প্রায় সময় ছাঁটাইয়ের শিকার হন নারী শ্রমিকরা। তারা শ্রম আইন সম্পর্কে তেমন কিছু জানেন না। গার্মেন্ট শ্রমিক ঐক্য ফোরামের সভাপতি মোশরেফা মিশু বলেন, নারী শ্রমিকরা মাতৃত্বকালীন ছুটি ঠিকমতো পান না। অনেকে মাতৃত্বকালীন ছুটি চাইলে চাকরি থেকে বিতাড়িত হতে হয়। গার্মেন্টে বেবি কেয়ার ইউনিট থাকে না। এভাবে নারীরা অবমূল্যায়নের শিকার হন।

শ্রম আইন ২০০৬ অনুযায়ী, শ্রমিক কোনো প্রতিষ্ঠানে ছয় মাস কাজ করলে তিনি মাতৃত্বকালীন সুবিধা পাওয়ার অধিকারী। অন্তঃসত্ত্বা শ্রমিক প্রসবের পূর্বে ৮ সপ্তাহ ও পরে ৮ সপ্তাহ মোট ১৬ সপ্তাহের বেতন-ছুটি পাবেন। একটি নির্দিষ্ট হারে ভাতাও দেওয়ার বিধান রয়েছে। অন্তঃসত্ত্বা শ্রমিককে দীর্ঘক্ষণ ও ভারী কাজ করানো যাবে না। শ্রমিক এ সুবিধা সর্বোচ্চ দুবার ভোগ করতে পারবেন। আর নিয়োগকর্তা শ্রমিককে এসব সুবিধা দিতে বাধ্য। শ্রমিক কল্যাণ আইন তদারকির জন্য শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ছয়টি বিভাগ রয়েছে। পাশাপাশি রয়েছে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন ও এনজিও। তারপরও মাতৃত্বকালীন ছুটি মেলে না। শ্রম অধিদফতর পরিচালক ট্রেড ইউনিয়ন, সালিশি ও প্রশিক্ষণ শাখার এস এম এনামুল হক বলেন, মাতৃত্বকালীন ছুটি না দিলে কিংবা ছাঁটাই করলে আইন ভঙ্গ হবে। তাকে কাজে রাখতে হবে এবং মাতৃত্বকালীন সুবিধা দিতে হবে।

এমনকি বাচ্চা নষ্ট হয়ে গেলেও চার সপ্তাহের ছুটি দিতে হবে। এসব সুবিধা না দিলে দণ্ডনীয় অপরাধ হবে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিজিএমইএ সহ-সভাপতি শহিদুল্লাহ আজিম বলেন, এসব ঘটনা ১৫ থেকে ২০ বছর আগে ঘটত। এখন এ ধরনের ঘটনা ঘটে না। এখন অডিট হয়; এ ধরনের ঘটনার সুযোগ নেই। দু-একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটতে পারে। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই হয় না।

সংবাদ টি শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ

Ajker Pratidin গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠান ©২০১৮-২০২৫ ajkerpratidin.com সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।

Design BY POPULAR HOST BD