
সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে ৩ বছর ধরে ঝুঁকি নিয়ে ভাঙা সেতুতে পারাপার হচ্ছেন ১০ হাজার বাসিন্দা। উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের নতুনহাটি বোয়ালিয়া খালের উপর জরাজীর্ণ সেতুটির মূল অংশ ভেঙে ৫/৬টি বড় গতের সৃষ্টি হয়েছে। তবুও ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে লোকজন। নতুনহাটি রউফ শাহী হাফিজিয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন এই সেতুর উপর দিয়ে পারপার হয় নতুন হাটি, তারাখলা, দেওবাড়িয়া এই তিন গ্রামের ১০ হাজার লোক। স্কুল ও মাদ্রাসার শিশু শিক্ষার্থী, নারী, বয়োবৃদ্ধসহ এই সেতুর ওপর দিয়ে চলাচলে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।

চুন্টা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ হুমায়ুন কবির জানান, ১৯৯৮ সালে সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছিল। ৩ বছর ধরে এটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। লোকজনের চলাচলের পাশাপাশি ইরি-বোরো মৌসুমে ফসল নিয়ে পারাপার হয়। যে কোনো সময় পুরো সেতুটি ভেঙে পড়তে পারে এবং ভাঙা সেতুর ওপর পারাপার হতে গিয়ে শিশুসহ আহত হয়েছে কয়েক জন।
নতুনহাটি মোবারক হোসেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুমিনুল হক, দেওবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ শফিউল্লাহ জানান, ৩ বছর আগে সেতুর উপরের অংশে গর্তের সৃষ্টি হয়। অথচ এখন পর্যন্ত কেউ খোঁজ খবর নেয়নি। এলাকার স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা ঝুঁকি নিয়ে সেতু পারাপার হচ্ছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা (এলজিইডি) উপ-সহকারী প্রকৌশলী আবদুর রহিম বলেন, অনূর্ধ্ব ১০০ মিটার ব্রিজ প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত করে প্রস্তাব পাঠানো হবে।