1. admin@ajkerpratidin.com : admin : Khokon Howlader
  2. ajkerpratidin@gmail.com : Masum Sarder : Masum Sarder
  3. emranniloy53@gmail.com : Emran Hasan Neloy : Emran Hasan Neloy
  4. info.popularhostbd@gmail.com : PopularHostBD :
  5. rashedapple7@gmail.com : Rashed Ahmed : Rashed Ahmed
বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫, ১০:৩৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
নেত্রকোণায় বিএনপি নেতার জমি দখলের চেষ্টায় হামলা, দুই শতাধিক চারাগাছ কেটে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা ঠাকুরগাঁও পঞ্চগড় মহাসড়কে সড়ক দুর্ঘটনায় বাবা মেয়ের মৃত্যু ফ্যাসিস্ট সরকার প্রথমে ধ্বংস করেছে নির্বাচন ব্যবস্থা: নাজমুল হাসান অভি যশোর নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আটক আশুলিয়ায় শ্রমিকনেতা সুলতানের উসকানিতে পোশাক কারখানা ভাঙচুর; গ্রেফতার ১, আহত ৫ বেনাপোল ইমিগ্রেশনে ভারতে যাওয়ার সময় আনিসুর রহমান আটক টঙ্গীবাড়ীতে শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনীর টাকা ফেরত চেয়ে মানববন্ধন গাজীপুর আদালতে সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হক এনসিপির ২০ সদস্যের ধামরাই উপজেলা সমন্বয় কমিটি গঠন বেনাপোল বিজিবি অভিযানে ৯লাখ ২০ হাজার টাকার জাল নোট সহ আটক ১

নিজের অপকর্ম ঢাকতে অভিযুক্ত এসআই মামুনের আপ্রাণ চেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
  • ২২৪ বার পড়া হয়েছে
নিজের অপকর্ম ঢাকতে অভিযুক্ত এসআই মামুনের আপ্রাণ চেষ্টা

ঢাকা জেলার সাভার মডেল থানার এক উপ-পুলিশ পরিদর্শকের বিরুদ্ধে ওঠা বিভিন্ন অভিযোগ পুলিশের দাপ্তরিক তদন্তের আগে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ফের নানা ধরনের অপকৌশল অবলম্বন করার অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে জেলা জুড়েই ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।

গত ২৫ ফেব্রুয়ারি বহুল প্রচারিত দৈনিক যুগান্তরসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে “ক্রসফায়ারের হুমকি, সাভারে অপএসআই’র বিরুদ্ধে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই অতীতের ন্যায় নানা ধরনের অপকৌশল অবলম্বন করে চলেছেন সাভার মডেল থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) আল মামুন কবির।

অনুসন্ধানে জানা যায়, জিহাদ হাসান শান্ত (২৬) এবং হাসিব হাসান প্রান্ত (২২) দুই ভাই। তারা উভয়ে গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী থানার মহাদিপুর ইউনিয়নের চন্ডিপুর গ্রামের সাইফুল ইসলাম লিটন ও গার্মেন্টস কর্মী রুকসানা বেগম দম্পতির ছেলে।

এই দম্পতির বড় ছেলে জিহাদ হাসান শান্ত সাভারের স্থানীয় একটি পোষাক কারখানায় চাকুরি করে সাভার সদর ইউনিয়নের নওয়াব বাড়ির কদম আলীর বাড়িতে স্ত্রী সুমাইয়া আক্তারকে নিয়ে বসবাস করছিলেন।

অন্যদিকে সাইফুল ইসলাম লিটন, তার স্ত্রী রুকসানা বেগম ও তাদের ছোট ছেলে হাসিব হাসান প্রান্তকে সঙ্গে নিয়ে সাভার সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ কলমা এলাকার আব্বাস আলী ও মর্জিনা বেগম দম্পত্তির বাড়ির ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করছিলেন।

দুই বাড়ির মালিক ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। ওই এসআইয়ের পক্ষ থেকে ভুক্তভোগী জিহাদ হাসান শান্তকে সাংবাদিকদের এড়িয়ে আত্মগোপনে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

চলতি বছরের গত ২৬ জানুয়ারি রাত সাড়ে ৯ টায় সাভার মডেল কলেজ সংলগ্ন ডগরমোড়া ঢাল এলাকায় সংঘটিত মারামারি মামলায় এজাহার ভুক্ত ৫ নম্বর আসামি হয় ছোট ভাই হাসিব হাসান প্রান্ত। তাকে ধরতে অভিযানে গিয়ে না পেয়ে বাসা থেকে ঘুমন্ত অবস্থায় বড় ভাই গার্মেন্টস কর্মী জিহাদ হাসান শান্তকে আটক করে হ্যান্ডকাফ পড়িয়ে পুলিশের পিকআপে তুলে ঘন্টা ব্যাপী বেধড়ক লাঠিচার্জ ও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠে সাভার মডেল থানা পুলিশের এসআই আল মামুন কবিরসহ তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে।

মঙ্গলবার দিবাগত (২১ ফেব্রুয়ারি) গভীর রাতে সদর ইউনিয়নের কলমা এলাকায় পুলিশ কতৃক এই নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। পরে অবশ্য ছোট ভাইকে পেয়ে ৯ হাজার টাকার বিনিময়ে বড় ভাইকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এতে গুরুতর আহত হয় নির্যাতনের শিকার ওই গার্মেন্টস কর্মী। ভুক্তভোগীর বাবাকে মোবাইল হাতে দেওয়ার পর জানা যায় ঘটনার দিন নগদ ২ হাজার টাকা নেন এসআই। সংবাদ প্রকাশ হলে বাকি টাকা মোবাইলেই থেকে যায়।

এঘটনায় বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নির্যাতনের শিকার শান্তকে নিয়ে বাবা সাইফুল ইসলাম লিটন ও মা রুকসানা বেগম স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে এসে ঘটনাটি জানিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। তারা সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে নিরপরাধ বড় ছেলেকে পাশবিক নির্যাতনের ঘটনায় জড়িত পুলিশ অফিসার, সাভার মডেল থানা পুলিশের উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) আল মামুন কবিরের বিচার দাবি করেন। এসময় লিটন ও গার্মেন্টস কর্মী মা রুকসানা বেগম দম্পত্তির বুকফাটা মাতমে বিষয়টির নিন্দা জানায় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষও। খোদ পুলিশের অন্য কর্মকর্তারাও এসআই মামুনের প্রতি ক্ষুব্ধ হন।

বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আসে। পুলিশের দাপ্তরিক তদন্তের পূর্বেই ঘটনাটি বানোয়াট ও উদ্দেশ্যমূলক দাবি করে বিভিন্ন অপকৌশল অবলম্বন করেন সাভার মডেল থানার এসআই আল মামুন কবির।

সংবাদ প্রকাশের একদিন পর কৌশল হিসেবে ঘটনার দিন ছেলের কাছ থেকে নিয়ে যাওয়া উদ্ধারকৃত আলামত মোবাইল ফোন দেওয়ার কথা বলে ২৬ ফেব্রুয়ারি বিকেলে ভুক্তভোগীর বাবা সাইফুল ইসলাম লিটনকে সাভার মডেল থানায় ডেকে নেন। পরে তাকে ভুল বুঝিয়ে নিজের অপকর্ম ঢাকতে অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি নং-২৩৬৯) দায়ের করান। শুধু তাই নয় একটি ৩৩ সেকেন্ডের শেখানো ভিডিওসহ ওই জিডির কপি সাংবাদিকদের কাছে নিজেই পাঠিয়ে তার পক্ষে পাল্টা সংবাদ প্রকাশের অনুরোধ জানিয়ে দৈনিক যুগান্তরেও প্রতিবাদ পাঠান এসআই আল মামুন কবির।

ঘটনাটি ফাঁস হলে অনুসন্ধানে নামে দৈনিক যুগান্তরসহ স্থানীয় সাংবাদিকরা। পরদিন ২৭ ফেব্রুয়ারি সাইফুল ইসলাম লিটনের সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলে তিনি কোন জিডি করেননি বলে দাবি করেন।

সাইফুল ইসলাম লিটন বলেন, আমি কোন জিডি করিনি, এসআই আল মামুন কবির আমার পরিচিত এক পুলিশ কর্মকর্তার মাধ্যমে আমাকে মোবাইল দেওয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে একটা কাগজে স্বাক্ষর নিয়েছেন, সেটা জিডি কিনা আমি জানি না। এছাড়া আমার হাতে মোবাইল ধরিয়ে দিয়ে একটা ভিডিও ধারণ করে রাখেন।

পরে সাংবাদিকদের হাতে আসা জিডির কপি ও তার ৩৩ সেকেন্ডের ভিডিও সাক্ষাৎকার তাকে দেখানো হলে তিনি আশ্চর্য হয়ে বলেন, জিডির কোন কপি আমাকে দেওয়া হয়নি। আমাকে না জানিয়েই এসআই আল মামুন কবির জিডি করেছেন। আমি যদি জানতাম এটা জিডি, আমি কখনোই কাগজে স্বাক্ষর করতাম না। এসময় থানায় কয়েকজন সিনিয়র কর্মকর্তা থাকায় আমাকে কিছু বলতে দেওয়া হয়নি, আমিও ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে কিছু বলিনি। ঘটনার পুনরাবৃত্তি করলে আবারো চাপ আসবে এটা ভেবেই বাসায় চলে এসেছি। পুলিশ কর্মকর্তা মামুনের এমন কর্মকাণ্ডে আমি মানসিকভাবে প্রচন্ড আঘাতপ্রাপ্ত হচ্ছি।

এই ঘটনার প্রায় দের মাস আগে ২০২৩ সালের ১৩ ডিসেম্বর এসআই আল মামুন কবির তার ব্যক্তিগত সাদা রংয়ের প্রাইভেট কারে করে ঢাকা মেট্রো-গ ১৩-৭০৭১ সাদা পোশাকে কয়েকজন সহযোগীসহ সাভার সদর ইউনিয়নের চাঁপাইন এলাকায় বিভিন্ন বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে টাকা আদায় করছিল। এ সময় নামের ভুলে বিরোধী দলের রাজনীতির সাথে জড়িত এমন তকমা লাগিয়ে (কলমিস্ত্রি) শ্রমিক সজলকে আটক করে তার স্ত্রীর কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে। ঘটনা এলাকায় জানাজানি হলে ওই এলাকার বাসিন্দা ইংরেজি দৈনিক দ্যা নিউ ন্যাশন পত্রিকার সাভার প্রতিনিধি এস এম মনিরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে হাজির হলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে তাকেও দেড় ঘন্টা আটকে রেখে মারধর ও মাদক মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠে এসআই আল মামুন কবিরের বিরুদ্ধে।

এই ঘটনার বিচার চেয়ে এসআই আল মামুন কবিরসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী সাংবাদিক এস এম মনিরুল ইসলাম।

তবে এই ঘটনায়ও একই ধরনের কান্ড ঘটিয়েছেন আল মামুন কবির। তিনি রাজসাক্ষী শ্রমিক সজলকে সাভার মডেল থানায় ডেকে নিয়ে একটি লিখিত কাগজে স্বাক্ষর রেখে শ্রমিক সজলকে ছেড়ে দিয়েছেন। একের পর এক অপরাধ করে ভুক্তভোগীদের না জানিয়েই মনমত লিখিত পত্র নেওয়ার মতো অপকৌশল অবলম্বন করে নিজেকে রক্ষার আপ্রাণ চেষ্টা করছেন এসআই আল মামুন কবির।

পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শ্রমিক সজল জানান, আমাকে একদিন থানায় ডেকে নেয় সাভার মডেল থানার এসআই আল মামুন কবির। নানা কথাবার্তার এক পর্যায়ে একটি কাগজে স্বাক্ষর নেন তিনি। আমি অশিক্ষিত মানুষ, ওই কাগজে কি লেখা ছিল আমি তা জানি না। ঘটনার দিন সজল সহ প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজনের ভিডিও রেকর্ড সাংবাদিকদের হাতে রয়েছে।

এব্যাপারে ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস ও ট্রাফিক উত্তর বিভাগ) আব্দুল্লাহিল কাফী জানান, এস আই আল মামুন কবিরের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বহুল বিতর্কিত সাভার মডেল থানার এসআই আল মামুন কবিরের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্ত ও সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস দিয়েছেন ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান, পিপিএম (বার)।

সংবাদ টি শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ

Ajker Pratidin গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠান ©২০১৮-২০২৫ ajkerpratidin.com সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।

Design BY POPULAR HOST BD