1. admin@ajkerpratidin.com : admin : Khokon Howlader
  2. ajkerpratidin@gmail.com : Masum Sarder : Masum Sarder
  3. emranniloy53@gmail.com : Emran Hasan Neloy : Emran Hasan Neloy
  4. info.popularhostbd@gmail.com : PopularHostBD :
  5. rashedapple7@gmail.com : Rashed Ahmed : Rashed Ahmed
শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ০৮:০৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
কয়রায় গাঁজাসহ আটক ১, ওয়ারেন্টভুক্ত ২ আসামি গ্রেপ্তার রাণীশংকৈলে তিন দিনব্যাপি জাতীয় ফল মেলার উদ্বোধন যুগ পেরিয়েও পাকা হয়নি রাস্তা, দুর্ভোগে শার্শার মাটিপুকুরের মানুষ যশোর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে কোন ছাড় নয়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে আড্ডাবাজি বন্ধের নির্দেশ সরাইল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট, ব্যাহত স্বাস্থ্যসেবা যশোরে করোনায় এক জনের মৃত্যু ১৫ বছর ধরে সাভার ও আশুলিয়া অঞ্চলে আদর্শ শিক্ষা সম্প্রচার করে আসছেন এ.কে শাহীন আশুলিয়ায় গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে দগ্ধ ৬, ধসে পড়েছে দেয়াল র‍্যাবের হাতে অপহরণ মামলার আসামি গ্রেফতার ফুলবাড়ীতে ক্ষুদ্রও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ উদ্বোধন

করোনাভাইরাস ও আমরা

Reporter Name
  • প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ১৭ জুলাই, ২০২০
  • ৩৯৩ বার পড়া হয়েছে

করোনা ভাইরাস ডিজিজ -২০১৯, যার অ্যাক্রোনিম হলো COVID-19.CO হলো করোনা, VI হলো ভাইরাস এবং D হলো ডিজিজ। আর ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯- এ প্রথম সংক্রমণ শনাক্ত হয় বিধায় ১৯ সংখ্যাটি জুড়ে বসেছে COVID- এর সঙ্গে। চীনের উহান প্রদেশ থেকে যাত্রা শুরু করে এরই মধ্যে বিশ্ব ভ্রমণ শেষ করে ফেলেছে এই ভাইরাস। তাণ্ডব চালিয়েছে ইতালি, ফ্রান্স ও স্পেনের মতো দেশে, চালাচ্ছে খোদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। এর হাত থেকে নিস্তার মিলছে না রাজা- প্রজা, বাদশাহ-ফকির, ধনি-গরিব করোরই। মৃত ও আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। এই করোনায় আমরা প্রকৃতির হারানো রূপ দেখতে পেরেছি। যেখানে পুরো বিশ্ব ব্যস্ত করোনায় আক্রান্ত ও মারা যাওয়া মানুষের হিসাব নিয়ে, সেখানে প্রকৃতি যেন তার উল্টা হিসাবে ব্যস্ত। সে যেন বিন্দুমাত্র উদ্বিগ্ন নয়। মনুষ্য তাণ্ডবের আড়ালে আবডালেই চলছে তার হঠাৎ জাগরণের খেলা। নীরব, নির্জন কোলাহলমুক্ত পরিবেশে মায়াময় প্রকৃতি নিজের সুষমা, সৌন্দর্যরাশি যেন একের পর এক তুলে ধরেছে। গত ১৮ মার্চ থেকে প্রবেশের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে সব পর্যটনকেন্দ্রে। নিষেধাজ্ঞার এ সারণিতে রয়েছে পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকতও। কোলাহলপূর্ণ সৈকত যেন আজ হাঁপ ছেড়ে বেঁচেছে। সৈকত রাজ্যের এ সুনসান নীরবতায় সবুজ গালিচা তৈরিতে মাতোয়ারা হয়ে উঠেছে সাগরলতা। সবুজ এ জালের মধ্যে ফুটে উঠেছে অগণিত জাতের নাম না জানা বাহারি রঙের সব ফুল। কোলাহলমুক্ত সৈকত পেয়েই সাগরলতা ডালপালা মেলে দিয়ে শান্ত হচ্ছে বলে মনে করছেন দীর্ঘদিন ধরে কক্সবাজারের পরিবেশ নিয়ে কাজ করা সেন বাঞ্চু। সাগরলতা (Ipomea pes-caprae) একটি লতানো ও দ্রুত বর্ধনশীল উদ্ভিদ। এর ইংরেজি নাম রেলরোড, যার বাংলা অর্থ ‘রেলপথ লতা’। একটি সাগরলতা ১০০ ফুটের বেশি লম্বা হতে পারে।বিশিষ্ট পরিবেশবিজ্ঞানী রাগিবউদ্দিন আহমদ বলেছেন, সাগরলতা সৈকতের অন্য প্রাণী যেমন কাঁকড়া ও পাখির টিকে থাকার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর সবুজ পাতা মাটিকে সূর্যের কিরণ থেকে এমনভাবে রক্ষা করে,যাতে সূর্যের তাপ মাটি থেকে অতিরিক্ত পানি বাষ্পীভূত করতে না পারে। এতে তারা মাটির নিচের স্তরের উপকারী ব্যাকটেরিয়াসহ অন্য প্রাণীর জন্য আদর্শ পরিবেশ তৈরি করতে সক্ষম হয়। উন্নত বিশ্বে সাগরলতাকে সৌন্দর্যবর্ধনের সঙ্গে সঙ্গে সৈকতের মাটির ক্ষয় রোধ ও সংকটাপন্ন পরিবেশ পুনরুদ্ধারের কাজে লাগানো হয়। এই সাগরলতার আরো উপকারী দিক আছে। যেমনঃ সাগরলতার জালে শুকনো উড়ন্ত বালুরাশি আটকে তৈরি হয় বালিয়াড়ি, যা সাগরের রক্ষাকবচ নামেও পরিচিত। এই বালিয়াড়ি বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসের সময় উপকূলকে ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা করতে সক্ষম। এ পসরায় সাগরপাড়ে আরও যুক্ত হয়েছে কচ্ছপের অবাধ বিচরণ। বিনা বাঁধায় সমুদ্রের বিশাল বালুকা বেলাভূমিতে ঘুরে বেড়াচ্ছে কচ্ছপের দল। ইতিমধ্যে ডিম পাড়াও শুরু করেছিলো তারা। বিপন্ন প্রজাতির তালিকায় থাকা সামুদ্রিক এ কচ্ছপ সামুদ্রিক পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায়, বিশেষ করে খাদ্যশৃঙ্খল বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়া সাগরের ময়লা-আবর্জনা খেয়ে পানি পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে তারা। অন্যদিকে বহু বছর পর লোকালয়ের একদম কাছে এসে ডিগবাজিতে মেতেছিলো ডলফিনের দল। দেশের এ ক্রান্তিলগ্নেও ডলফিনের এ মনোমুগ্ধকর নৃত্য যেন অপার মহিমাভরা পরিবেশ- প্রকৃতির জাগরণে মেতে ওঠার প্রমাণিত তথ্য। শুধু কি কক্সবাজারের নিরুপদ্রব সমুদ্র আনন্দ খেলায় মেতেছে? মোটেই না! সাগরকন্যা খ্যাত পর্যটননগরী কুয়াকাটাও তার সৌন্দর্য উন্মোচনে ব্যস্ত। এঁকেবেঁকে পুরো বেলাভূমিতে লাল কাঁকড়ার আলপনা আকার দৃশ্য তারই নজির, যেন দীর্ঘদিন পর সৈকত নিজেদের দখলে পাওয়ার আনন্দ উপভোগে ব্যস্ত তারা প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসটি রোধে বাংলাদেশ পুলিশের অবদান অসামান্য।

সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী শুধু হোম কোয়ারেন্টাইন বা লকডাউনেই বাংলাদেশ পুলিশ সীমাবদ্ধ থাকেনি, বরং খাদ্য সহায়তার জন্য বাংলাদেশ পুলিশ এগিয়ে এসেছে। বিভিন্ন এলাকায় জীবাণুনাশক ছিটিয়ে জীবাণু মুক্ত করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ বাংলাদেশ পুলিশ হাতে নিয়েছে। এমনকি ডাক্তারদের হাসপাতালে যাতায়াতের ব্যবস্থাও বাংলাদেশ পুলিশ করেছে। যদি কেউ করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছে, সেক্ষেত্রে পুলিশ দাফনের ব্যবস্থা করেছে। এমনকি পুলিশের সদস্যরা তাদের প্রাপ্য বৈশাখী ভাতা, একদিনের বেতনসহ প্রায় ২০ কোটি টাকা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত তহবিলে জমা দিয়েছে। এই মহান দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে অনেক পুলিশ মৃত্যুকে আলিঙ্গন করে নিয়েছে। তারা তাদের পরিবার পরিজনের কথা চিন্তা না করে নিজ দায়িত্ব পালন করে গেছে এই প্রাণঘাতী করোনায় ডাক্তারদের ভূমিকাও ছিল অনস্বীকার্য। তারা তাদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কোনো নিরাপদ সামগ্রী ছাড়াই আক্রান্তদের সেবা করে গিয়েছে। না খেয়ে, না ঘুমিয়ে দিনরাত আক্রান্তদের সেবা করে গেছে। তারা এটাও জানতো না যখন তারা ঘর থেকে বের হচ্ছে সেই ঘরে আবার ফিরে আসতে পারবে কিনা। সম্পূর্ণ অনিরাপদে তারা নিরলসভাবে মানুষদের সেবা দিয়ে দিয়েছে বরং এখনও করছে।

তবে এই মহামারী করোনায় বিশ্ব মানুষের নিষ্ঠুর, নির্দয় রূপ অবলোকন করেছে। করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তি অবহেলায় মারা গিয়েছে। অনেক সময় সুস্থ ব্যক্তি সামান্য সর্দি-ঠাণ্ডায় আক্রান্ত হলেও করোনার কারণে অবহেলায় মৃত্যুবরণ করেছে। করোনায় আক্রান্ত না হয়েও আমরা অনেককে অবহেলা করেছি। স্ত্রী, প্রবাসী স্বামী দেশে আসলে দূরে চলে গেছে, প্রবাসী ছেলেকে দেখে মা বাবা তাকে দূরে ঠেলে দিয়েছে। কেউ কাউকে চিনছে না। স্বজনের লাশ হাসপাতালের বারান্দায় পড়ে থাকতে দেখেছে মানুষ। করোনার ভয়ে মৃত ব্যক্তির লাশের দান, সৎকারও ঠিক মতো হয়নি। পুরো দেশ লকডাউনে চলে যাওয়ায়, গরিব-দুঃখী মানুষরা অনাহারে দিন কাটিয়েছে। দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভেঙ্গে গেছে। করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য সরকার দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেন। এপ্রিলে অনুষ্ঠিত হবার কথা ছিলো এইচ. এস. সি পরীক্ষা। লকডাউনের জন্য এইচ.এস.সি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। সাথে সাথে সকল চাকরি পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করা হয়। এরই মধ্যে অনেক শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান অনলাইনে ক্লাস কার্যক্রম চালিয়ে যান। যেটা আসলেই প্রশংসাযোগ্য। ধীরে ধীরে সরকার আরও কিছু পদক্ষেপ নিবেন শিক্ষা কার্যক্রম সচল করার জন্য। সরকার অনেক প্রণোদনা ঘোষণা করেছেন। যা অর্থনৈতিক অবস্থাকে সচল রাখতে সাহায্য করবে। সর্বোপরি, করোনায় বিশ্ব অর্জন করেছে এক অনন্য অভিজ্ঞতা। আমরা সঠিক জানি না এই করোনা পরিস্থিতি কবে নাগাদ স্বাভাবিক হবে। তবে অনেক দেশই এখন করোনা পরিস্থিতি অনেকটাই সামাল দিতে পেরেছে। আমাদের দেশে দিন দিন করোনা আক্রান্ত রোগী ও মৃতের সংখ্যা বাড়ছে। এ জন্য সঠিক বলা যাচ্ছে না আমরা কবে করোনা পরিস্থিতি থেকে মুক্ত হবো। তবে এখন জীবনযাত্রা অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে গেছে। ইনশাআল্লাহ আমরা ধীরে ধীরে এই মহামারী কাটিয়ে উঠবো।

সংবাদ টি শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ

Ajker Pratidin গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠান ©২০১৮-২০২৫ ajkerpratidin.com সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।

Design BY POPULAR HOST BD