1. admin@ajkerpratidin.com : admin : Khokon Howlader
  2. ajkerpratidin@gmail.com : Masum Sarder : Masum Sarder
  3. emranniloy53@gmail.com : Emran Hasan Neloy : Emran Hasan Neloy
  4. info.popularhostbd@gmail.com : PopularHostBD :
  5. rashedapple7@gmail.com : Rashed Ahmed : Rashed Ahmed
বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ১১:৩৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ নিয়ে ঐকমত্য হয়নি, সিদ্ধান্ত কমিশনের ওপর: আলী রীয়াজ বেনাপোল বন্দরে জলাবদ্ধতায় কোটি টাকার আমদানি পণ্য হুমকিতে, আবারও বন্ধ পণ্য খালাস পাঁচ যুগ্ম কমিশনারসহ এনবিআরের ৮ কর্মকর্তা সাময়িক বরখাস্ত ভিসা জটিলতায় বেনাপোলে যাত্রী ধস, কমেছে সরকারের আয় ঠাকুরগাঁওয়ে ন্যায়কুঞ্জু ও তথ্য সেবা কেন্দ্রের উদ্বোধন জলাবদ্ধতা নিরসনে সাবেক ছাত্রদল নেতার উদ্যোগে পরিচ্ছন্নতা অভিযান গৌরনদীতে বিএনপির বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচারের প্রতিবাদে মতবিনিময় সভা মরণব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত ধামরাইয়ের কিশোর সিফাত বাঁচতে চায় ফুলবাড়ীতে আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত ঠাকুরগাঁওয়ে স্কুল সেনসিটাইজেসন প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত

চান্দিনায় শিশু সন্তান সুবর্ণা মীমকে শ্বাসরোধ করে হত্যার দায়ে ওমর ফারুক নামের এক যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

আজকের প্রতিদিন ডেস্ক ||
  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ২১ মে, ২০২৪
  • ২০৪ বার পড়া হয়েছে

কুমিল্লা প্রতিনিধি : ২০১৭ সালের ৬ ডিসেম্বর ভিকটিম সুবর্ণা মিম (৬) কে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ গুম করার অপরাধে ওমর ফারুক নামের এক যুবককে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন কুমিল্লার আদালত।

মঙ্গলবার (২১ মে) কুমিল্লার বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-২ এর বিচারক (জেলা জজ) মোঃজাহিদুল কবির এ রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মোঃ ওমর ফারুক (১৯) হলেন কুমিল্লা চান্দিনা উপজেলার বেলাশ্বর গ্রামের মোস্তফা কামাল এর ছেলে।
মামলার বিবরণে জানাযায়- মামলার ভিকটিম সুবর্না মীম (৬) কোরবান আলীর ঔরসে ও বাদীনির গর্ভে জন্ম গ্রহণ করার তিন বছর পর কোরবান আলীর সহিত বাদীনির দাম্পত্য কলহের কারণে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। ঘটনার দেড় বছর পূর্বে কোরবান আলী আসামি মোসাঃ লাভলী আক্তারকে বিবাহ করে। এরপর কোরবান আলীর সুর্বনা মীমকে তাহার নিকট নিয়ে আসিলে আসামি লাভলী আক্তার মীমকে দেখতে পারত না এবং মারধর করিত। এরফলে কোরবান আলীর মা মাজেদা বেগম (৬৫) আসামি লাভলী আক্তারকে বাড়ী থেকে বাহির করে দেন।

২০১৭ সালের ৬ ডিসেম্বর কোরবান আলী মোবাইল করে বাদীনিকে জানায় তার মেয়ে সুবর্ণা মীম (৬) কে খোঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা। এরপর সন্ধ্যায় কোরবান আলী জানায় কে বা কাহারা সুবর্ণা মীমকে মুক্তিপণ হিসেবে দশ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পরদিন সকালে চান্দিনা আর এন আর সিরামিক ফ্যাক্টরীর দক্ষিণ পশ্চিমে বেলাশ্বর হতে থানগাঁওগামী রাস্তার উত্তরে থানগাঁও খালের পশ্চিম পাড়ে সুবর্ণা মীম এর গলায় ওড়না পেচানো অবস্থায় পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে ২০১৭ সালের ৭ ডিসেম্বর বাগেরহাট জেলার সদর উপজেলার গোবরদিয়া (হাওলাদার ভিলা) এর ইসহাক আলী হাওলাদার এর ছেলে খাদিজা আক্তার (শিমু) বাদী হয়ে কুমিল্লা দেবীদ্বার উপজেলার বাগুর সরকার বাড়ীর কোরবান আলীর স্ত্রী ও মোঃ মোস্তফা কামাল সরকার এর মেয়ে মোসাঃ লাভলী আক্তার (৩০) ও মোঃ মোস্তফা কামাল সরকার এর ছেলে মোঃ সালাহ উদ্দিন সরকার (৩২) কে সহ অজ্ঞাতনামা আসামি করে দণ্ডবিধির ৩০২/২০১/৩৪ ধারার বিধানমতে চান্দিনা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করিলে তদন্তকারী কর্মকর্তা সাব-ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) ডালিম কুমার মজুমদার পরদিন উল্লেখিত আসামিদ্বয়কে গ্রেফতার করিলে আদালতে হাজির করে এবং তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ২০১৭ সালের ১১ ডিসেম্বর কুমিল্লা চান্দিনা উপজেলাধীন বেলাশ্বর গ্রামের মোস্তফা কামাল এর ছেলে (১৯) কে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করিলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন।

তৎপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডালিম কুমার মজুমদার ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটন করিয়া আসামিগণের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ২০১৮ সালের ৩ মে আসামি মোসাঃ লাভলী আক্তার (৩০), মোঃ সালাহ উদ্দিন সরকার (৩২) ও মোঃ ওমর ফারুক (১৯) এর বিরুদ্ধে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনী ২০০৩ এর ৯ (৪)(খ) এবং দণ্ডবিধির ২০১/৩৮৫/৩০২ ধারার বিধানমতে দুটি পৃথক অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরপর মামলাটি বিচারে আসিলে ২০২১ সালের ২২ ফেব্রুয়ারী ভিকটিম সুবর্ণা মীমকে যৌন কামনা চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যে শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে পড়নের কাপড় খুলে তাঁর ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক তার যৌনাঙ্গে হাত দিয়ে ধর্ষণের চেষ্টাকালে ভিকটিম বাঁধা দেওয়ায় ভিকটিমের গলায় ওড়না পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ গুম করাসহ ভিকটিমের পিতার নিকট মুক্তিপণ দাবির অপরাধ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আসামি ওমর ফারুক এর বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ধারায় অভিযোগ গঠনক্রমে রাষ্ট্রপক্ষে নারী ও শিশু মামলায় ১১জন ও অপর মামলায় ১২জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে যুক্তিতর্ক শুনানি অন্তে আসামি মোঃ ওমর ফারুক এর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি পর্যালোচনাক্রমে আসামি মোঃ ওমর ফারুক এর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাঁকে দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং ২০১ ধারায় ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড।

এছাড়াও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০ (সং/০৩) এর ৯(৪)(খ) ধারায় ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ২৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন আদালত। রায়ের আরও উল্লেখ করেন যে, বর্ণিত সাজা একসাথে চলিবে। রায় ঘোষণাকালে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মোঃ ওমর ফারুক আদালত কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।

রাষ্ট্রপক্ষে নিযুক্তীয় বিজ্ঞ কৌশলী স্পেশাল পিপি এডভোকেট মোঃ মিজানুর রহমান মজুমদার বলেন, আশা করছি উচ্চ আদালত এ রায় বহাল রাখবেন। এদিকে, আসামি পক্ষের এডভোকেট মোঃ হাছান বলেন- রায়ের কপি হাতে পেলে শীঘ্রই উচ্চ আদালতে আপীল করবো।

সংবাদ টি শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ

Ajker Pratidin গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠান ©২০১৮-২০২৫ ajkerpratidin.com সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।

Design BY POPULAR HOST BD