মোঃ ফিরোজ খান :
“নারী দাসী বটে, কিন্তু সেই সঙ্গে নারী আমাদের জন্মধারনী”‘মা”যার তুলনায় অন্য কাউকে স্থান দেওয়া যায়না,তবুও নারীরা আবার হয়ে থাকে রাণীও ” আমাদের সমাজে নারী hi up দের মূল্য অপরিসীম,তবে অনেক মানুষ এই নারীদের নিয়ে বিভিন্ন ভাবে বিভিন্ন কটুক্তির সাথে কথা বলে থাকেন,আমি বর্তমানে নারী সমাজের রূপ রেখা তুলে ধরতে চেষ্টা করব।
আমরা পৃথিবীর মুখ দেখতে পেয়েছি একমাত্র নারী, মা, জাতির কারণেই এ কথার কোনো বিকল্প ভাষা আমার জানা নেই।আর কেউ এ কথাকে অস্বীকার করতে পারবেনা।পৃথিবীতে নারীদেরকে নিয়ে কতোনা ঘটনা শুনে থাকি এবং আমাদের চারপাশে বিভিন্ন ঘটনা চোখে দেখতে পাই,পৃথিবীতে তবুও কিছু কিছু পুরুষ আছেন যারা এই নারীদেরকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিভিন্ন ভাবে অবহেলা ও তুচ্ছ করে থাকেন,আমি এই সমাজের একজন নাগরিক হিসেবেই বসবাস করে আসছি তাইতো আমার এই সামান্য লেখার চেষ্টা এই নারীদের নিয়ে, সমাজের প্রতি দৃষ্টি রেখেই বলছি,এই সামান্য লেখার প্রতি যদিও ভূল থেকে থাকে তাহলে সকলেই আমাকে ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন লেখার বিষয়ে সংশোধন করে দিবেন বলেই আশা পোষণ করছি। আমার প্রাণ প্রিয় পাঠক, ভাই,বোনেরা ও আমার বন্ধুরা সকলেই আমাকে উৎসাহিত করবেন বলে আশা করছি। তবে নারীদেরকে নিয়ে বিভিন্ন মনীষীগন বিভিন্ন উক্তি ও মন্তব্যের কথা তুলে ধরেছেন,আমি কিছু উক্তি তুলে ধরতে চেষ্টা করবো নারীদের নিয়ে লেখার বিষয়ে।
পৃথিবী জুড়ে প্রতিটি নারী এখনও মনে করে থাকেন যে তাদের জীবন বোধ হয় ব্যর্থ;কেননা তারা ভেবে থাকেন এই সমাজের মধ্যে তারা যেনো অভিনেত্রী হতে পারেনি ”তবুও আমি বলবো এই ব্যর্থতা এখন আর নারী সমাজের মধ্যে নেই।কেননা নারীরা এখন এগিয়ে আছেন সব দিক দিয়ে সময়ের সাথে তালমিলিয়ে চলছে প্রতিদিন প্রতি মূহূর্ত।তবে প্রাচীনকাল থেকেই সভ্যতা বিকাশে নারীর ভূমিকা ছিলো অপরিসীম। নারী কখনো নদী,কখনো প্রকৃতি, কখনো কোমলতার প্রতীক,আবার কখনো যেনো সৌন্দর্যের এক অপরূপ সৃষ্টি।। নারীদের জন্য যুদ্ধবিগ্রহের ঘটনাও কম নেই পৃথিবীতে। নারীর জন্য বহু প্রাণহানি কিংবা সিংহাসনচ্যুত হওয়ার ঘটনাও আছে ইতিহাসের পাতায়।।অন্যদিকে বিশ্ব শান্তি স্থাপনে নারীর অগ্রগামী ভূমিকা ও ইতিহাসের প্রতিটি পাতায় সাক্ষী হয়ে আছে। তাই এই লিখনীতে বিভিন্ন ভাবে নারী সমাজের ভালো বিষয়গুলির ভালো ফলাফল টুকুই তুলে ধরতে চেষ্টা করবো“মনীষীদের কিছু উক্তির মাধ্যমে।
“পুরুষেররা বুদ্ধি খড়গের মতো;শান বেশি না দিলেও কেবল ভার দেখিয়েই অনেক কাজ করতে পারেন। আর নারীদের বুদ্ধি হলো কলম-কাটা ছুরির মতো; যতই ধার দেওয়া হয়ে থাকেনা কেনো, তাতে বৃহতম কাজ চলে না।তবুও অনেক ক্ষেত্রে তাদের সফলতার কথা আজকের এই লিগনীতে বিভিন্ন ভাবে বিভিন্ন বইয়ের পাতা ও জ্ঞানী গুনীদের উপদেশ মূলক কথার মাধ্যমে কিছুটা শিখতে পেরেছি এবং জানতে চেষ্টা করেছি সেই বিষয় উল্লেখ করতে চাইবো অল্পকিছু বাক্যের লিখনীর মাঝে।
“পৃথিবীতে রানি “ক্লিওপেট্রার’এর প্রভাব-প্রতিপত্তি,ক্ষমতা ও ব্যভিচারের কাহিনি আছে যেভাবে বইয়ের পাতায় লেখা ঠিক তেমনি রয়েছে“বেগম রোকেয়া,ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল, মাদার তেরেসার মতো অগণিত নারীদের অনেক অবদান দৃষ্টান্তমূলক। যা মানবতাকে অনেক অনেক উদ্বুদ্ধ করেছে। মিসরীয় ইতিহাসে আছে “রানী নেফারতিতি” তিনি সব সময়ই বিভিন্ন রাজকার্যের আলোচনা করতেন এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে তিনিই সিদ্ধান্ত দিয়ে থাকতেন এছাড়া বিভিন্ন রাজকীয় অনুষ্ঠানে তিনি সব সময় অংশগ্রহণ করতেন।আরো আছেন একজন নারী যিনি মিসরীয় দেয়ালচিত্রে তার চিত্রশিল্পী নামে বেশ দক্ষতার দৃষ্টান্ত রেখেছেন। এর প্রমাণ লেখা আছে মিসরীয় ইতিহাসে আমি গ্রিস সভ্যতার ইতিহাস থেকে জানতে পেরেছি কিছু বিষয়ে যে বিষয় ছিলো নারীদের নিয়েই,,সেই সময় নারীরা বিভিন্ন চিত্রকলা,স্থাপত্যবিদ্যা ও ভাস্কর্যে পুরুষদের পাশাপাশি অংশগ্রহণ করতেন এবং পুরুস্কার লাভ করতেন বেশিরভাগ সময় নারীরা।
মহাকাব্যের যুগে অস্ত্রবিদ্যায়“চিত্রাঙ্গদা, রথচালনায়“সুভদ্রা,এবং সুকুমার কলায়“দ্রৌপদী এই সকল নারীরা বিশেষ পারদর্শী ছিলেন। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠার নীতিমালা পরিচালনার ক্ষেত্রে নারীরাই সমসাময়িক ভাবে পুরুষদের চেয়ে বেশি বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে সক্ষম ছিলেন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন”‘ঝাঁসির রানী লক্ষ্মীবাঈ,প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার ও নবাব ফয়জুন্নেসার নাম বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য ছিলো।নারী বেগম রোকেয়া ছিলেন যুক্তিবাদী ও মননচর্চার একজন অন্যতম যার মাধ্যমে সমাজের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠা লাভ করতে সক্ষম ও সফলতা এনেছিলেন।‘”নারীর মূল কাজ হলো আমাদের সমাজের মধ্যে সব সময় আনুগত্য পোষণ করে থাকা শৈশব-কৈশোরে পিতার বাসগ্ৰহে বড় হয়েছেন এবং বিয়ের পর তারা স্বামীর ঘরে থেকেছেন এবং যারা স্বামীর ঘরে থাকা কালীন বিধবা হয়েছেন তারা অবশেষে আশ্রয় নিয়েছেন পুত্রের কাছে অথবা মেয়েদের কাছে।তবে এই আনুগত্য হবে প্রশ্নাতীত এবং একচ্ছত্র-মনীষী”কনফুসিয়াস”। এবার আসবো নারীবাদ বিংশ শতাব্দীতে উদ্ভূত হয়ে থাকা কিছু বিষয়ে,একটি দর্শন যা সভ্যতার সাথে বিভিন্ন পরিবর্তনে মানুষ হিসেবে পুরুষের সঙ্গে নারীরা সমতা ও স্বাধীনতায় বিশ্বাস করাতো,এবং বিশেষ ভাবে গুরুত্ব আরোপ করে থাকতো। নারীবাদ বিশ্বাস করে পুরুষের তুলনায় একদিকে তারা সক্ষম,আবার অন্যদিকে সামাজিক অবদানের দিক বিবেচনা করলে সেই দিক দিয়ে পুরুষ থেকে তারা কোনো ক্ষেত্রে কম নয়। আমাদের চিরাচরিত নিয়মাবলী অনুযায়ী নারীবাদী কর্মকাণ্ডের মূল লক্ষ্য হলো সমাজের বিদ্যমান লৈঙ্গিক বৈষম্য অবসানে বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণকে নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন আন্দোলনকে সমর্থন করে থাকা।
বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কবি,লেখক ও সাহিত্যকের ভাষায় আজ নারী সমাজের বেশ পরিবর্তন দেখা যায় তারা নারীদেরকে নিয়ে লিখেছেন বিভিন্ন বই উপন্যাস,গল্প ও কবিতা যাহা নারীদের বিশেষ মর্যাদা কে লক্ষ্য করেই লিখেছেন।।আরো আছে নির্বাচনী ভোটাধিকার, উত্তরাধিকারী সম্পত্তির অধিকার, শিক্ষার অধিকার, বৈবাহিক জীবনে সমানাধিকার, রাজনীতি ও ব্যবসায় সমান সুযোগ, কর্মস্থানে সমান ভাতা, মাতৃত্ব-অবসর ইত্যাদি বিষয়ে নারীবাদী প্রবক্তাদের মৌলিক দাবি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বিশেষ ভাবে ভূমিকা পালন করে ছিলেন। নারীবাদীরা ও নারীদের সার্বিক ক্ষমতায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। বিশ্বের নারীদের কল্যাণ ও অধিকার প্রতিষ্ঠায় এ মতবাদ সক্রিয় ভাবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে।
আমাদের নারী সমাজের মধ্যে বেশিরভাগই ক্ষেত্রেই আমরা যেন সাম্যের গান গেয়ে থাকি”
‘আমার চক্ষে পুরুষ-রমণী কোনো ভেদাভেদ নাই! বিশ্বের যা-কিছু মহান সৃষ্টি চির-কল্যাণকর, অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর”।
নারীদের নিয়ে লিখেছেন কবি কাজী নজরুল ইসলাম তার ‘নারী’ কবিতায় অবৈষম্যমূলক স্তবকটি পৃথিবীর সব নারীর জন্য এক অনুপ্রেরণার পাথেয়”‘। যুগে যুগে নারীরা সময়ের মাইলফলক হিসেবে অবদান রেখে চলেছেন। আমাদের এই বাংলাদেশের ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে নারীদের ভূমিকা ছিল অনন্য। সব পর্যায়ের নারীরা সেদিন ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন দেশকে স্বাধীন করবার জন্য। এই স্বাধীনতার জন্য কতনা নারীদের আত্মত্যাগ হয়ে ছিলো সেই স্বাধীনতা লাভের জন্য।এই নারীদের অবদানের কথা আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এক উজ্জ্বল অধ্যায় হয়ে রচিত হয়েছে ইতিহাসের পাতায়।আমাদের জন্মের আগে ঐ প্রাচীন যুগে কিংবা জাহেলি যুগে নারীর কোনো মর্যাদাই ছিল না। নারীরা ছিল নিপীড়িত-নির্যাতিত ও অবহেলিত। পুরো নারী সত্তাকে পরিবার, সমাজ ও বংশের জন্য অভিশাপ মনে করা হতো।
কন্যাসন্তান জন্মকে অসম্মান ও অপমানকর হিসেবেই দেখতো তখন কার সময়ের সমাজের লোকজন। এমনকি সেই সময়ে নারী কোনো সম্পদের মালিকানা বলে নিজেদেরকে দাবি করতে পারতোনা এবং কোনো কিছু সমান তো দূরের কথা সামান্য কিছুও লাভ করতে পারতোনা।সামাজিক মর্যাদার ক্ষেত্রে নারীদের অবস্থান ছিল স্বীকৃতিহীন।তিমিরাচ্ছন্ন, কলুষিত সমাজকে নিষ্কলুষ করার জন্য এবং নারীদের মর্যাদার কথা চিন্তা করেই বিশ্বমানবতার মুক্তির দূত হিসেবে বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) সত্যের বাণী নিয়ে পৃথিবীর বুকে আবির্ভূত হলেন।তিনি নারীদের সবচেয়ে বেশি মূল্যায়ন করেছেন। বিশ্বনবীর কল্যাণে ইসলামপন্থী দেশগুলোতে মহীয়সী নারী মর্যাদা পেয়েছে মাতা হিসেবেই। পিতা-মাতা ও স্বামীর সম্পত্তিতে নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। স্বামীর সংসারে স্ত্রীর অধিকার নিশ্চিত হয়েছে। তেমনিভাবে সমাজের সর্বস্তরের নারীর যথার্থ মর্যাদা ও অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। নারীর মর্যাদা দেওয়ার অর্থ হচ্ছে তার ন্যায্য অধিকার সঠিকভাবে আদায় করা, তার দায়িত্ব ও কর্তব্যের সঠিক ব্যাখ্যা ও তার অবদানের যথাযথ মূল্যায়ন করা। এছাড়াও এই পৃথিবীতে পারিবারিক বন্ধন, বংশবৃদ্ধির ক্রমধারা অব্যাহত রাখা হয়েছে, মানবীয় গুণাবলির সম্মিলন ঘটানো, সর্বোপরি জীবনকে সুন্দর ও পূর্ণাঙ্গ রূপে গড়ে তোলার ব্যাপারে নারী-পুরুষ উভয়ের সমান অংশীদারিত্ব রয়েছে। নর-নারীর মাধ্যমে যে মানবসভ্যতার সূচনা, তা আজ প্রায় সাড়ে সাত শ কোটিতে রূপান্তরিত হয়ে সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে। মানবসভ্যতার সূচনালগ্ন থেকে নারী পরিবার, সমাজ, দেশ কিংবা আন্তরাষ্ট্রীয় বিভিন্ন পর্যায়ে নিজেকে সম্পৃক্ত রেখে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে আমাদের এই নারী সমাজ।
বহুজাতিক ও করপোঁরেট দপ্তরগুলোতে নারীরা বিভিন্ন পদবিতে নিয়োজিত আছেন, যেমন:- নারী উদ্যোক্তা, নারী সংগঠক, ও নারী রাজনীতিক পেক্ষাপট হিসেবে কর্মরত আছেন। পাশাপাশি বিশ্বব্যবস্থা ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নারীর সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচিত হচ্ছে আমাদের দেশ সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মধ্যে। মানবসভ্যতায় ও নারীদের রয়েছে এরূপ বিপুল ঐশ্বর্যমণ্ডিত ইতিহাস, পরিতাপের বিষয় হচ্ছে, সেই নারীই আজ নিগৃহীত, পীড়িত, অপমানিত হচ্ছেন অফিস-আদালতে কিংবা শিক্ষা প্রাঙ্গণে। সভ্যতার এই চরম উৎকর্ষের লগ্নেও নারী নিরাপদ নয় স্বয়ং তার নিজ গৃহেও না। পরিবর্তনের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো নারীদের মধ্যে শিক্ষার হার বেড়েছে করপোঁরেট লেভেলেও উচ্চ পদে উঠে আসছেন যোগ্যতাসম্পন্ন নারীরা।
আগে ‘চাকুরীতে মহিলা’কর্মী মানেই তাকে নেতিবাচক ভাবমূর্তি হিসেবে তুলে ধরা হতো, আত্মসম্মান বোধসম্পন্ন নারীরা আজ সেই তির্যক দৃষ্টিকে ঋজু করতে পেরেছেন অনেকখানি যা আমাদের কাছে যেন কল্পনাতীত। মেয়ের জাত হলো গণেশের মত, মা দূর্গার চারপাশে পাক দিয়ে যে জগত দেখে তাতেই তৃপ্তি আর পুরুষরা কার্তিকের মত সারা পৃথিবী ঘুরে আসে অথচ কি দেখে তা তারাই জানে না।আমাদের সমাজে নারী-পুরুষের ভূমিকার ব্যাপারে আধুনিক পর্যায়ে নারীকে পুরুষের প্রতিদ্বন্দ্বী না মনে করে একে অন্যের পরিপূরক হিসেবেই মনে করা প্রয়োজনে আর ঠিক ভাবেই জীবনকে পরিপূর্ণতায় ভরে দেওয়াই আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য হওয়া উচিত বলেই আমি মনে করি।আমি মা জাতি নারীদের নিয়ে এতোটা লিখতে পারবো কখনও ভাবিনি, আজকে আমাদের সকলকে নারীদেরকে নিয়ে সুন্দর ভাবে ভাবা প্রয়োজন, আমি এতোটা বিষয়ে কখনও ভেবে দেখিনি।তবুও মহান আল্লাহর ইচ্ছায় হয়তোবা কিছুটা লিখতে পেরেছি বলে মনে করি তবুও আমার এই নারীদের সম্পর্কে লেখার মধ্যে হয়তোবা ভূলক্রটি আছে, আর যদিও ভুল থেকে থাকে তাহলে সকলেই আমাকে ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন।পরিশেষে বলবো,,, “প্রতিটা মেয়ে হয়ত তার স্বামীর কাছে রানী হয়ে থাকতে পারে না””।কিন্তু প্রতিটা মেয়েই তার বাবার কাছে রাজকন্যা হয়েঈ থাকে”‘। ”আমি শুধুমাত্র আমাদের মা,বোনদেরকে নিয়ে কিছু বিষয়ে হয়তো তুলে ধরেছি, কিছুটা মূল্যায়ন করতে পেরেছি এই লেখার মাধ্যমে এবং চেষ্টা করেছি বর্তমান যুগে নারীদের সভ্যতার বহিঃপ্রকাশ ঘটাতেই যার পরিপেক্ষিতে এই সামান্য লেখা।।
লেখক-মোঃ ফিরোজ খান, জেলা ঢাকা বাংলাদেশ