নিজস্ব প্রতিবেদকঃ আশুলিয়ায় বেড়েছে বসন্তের কোকিল খ্যাত রাজনৈতিক ব্যক্তিদের দৌরাত্ম্য। নিজের আধিপত্য বিস্তার ও ক্ষমতার দাপট টিকিয়ে রাখতে এসমস্ত কাউয়া রাজনৈতিক ব্যক্তিরা সকালে ঈগল, রাতে নৌকা এবং নির্বাচনের পর বিজয়ী প্রার্থীর সাথে সেলফি তুলে সোশ্যাল মিডিয়াসহ সকল মাধ্যমে ব্যাপক প্রচারণার মাধ্যমে নিজের স্বার্থ হাসিলে ব্যাস্ত রয়েছেন। এতে করে ত্যাগী কর্মীদের মাঝে চাপা ক্ষোভ ও মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, আশুলিয়ার ইয়ারপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ বকুল হোসেন সরকার সাবেক সংসদ তালুকদার তৌহিদ জং মুরাদের হাত ধরে রাজনীতিতে প্রবেশ করে এবং সেই থেকে বিগত ১৫ বছর নরসিংহপুর অটো স্ট্যান্ডের চাঁদাবাজি, অবৈধ গ্যাস সংযোগ প্রদান, দূর্নীতিসহ কয়েকটি কারখানার ব্যবসা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে বিপুল অর্থের মালিক বনে যায়। এরপর মুরাদ জংয়ের পতনের পর তার আধিপত্য ধরে রাখতে সখ্যতা গড়ে তোলে আশুলিয়া থানা যুবলীগের আহবায়ক মোঃ কবির হোসেন সরকারের সাথে। এরপর ইউপি নির্বাচনে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও দূর্নীতির কারনে ইয়ারপুর ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড জনগন তাকে বয়কট করে। বকুল হোসেন সরকার নিজের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খুব দাপটের সাথে সাবেক সাংসদ তালুকদার তৌহিদ জং মুরাদের পক্ষে প্রচার প্রচারণায় অংশ নেয়, অন্যদিকে রাতের আঁধারে নৌকার প্রার্থীর সাথেও রাখে যোগাযোগ। কিন্তু বিধি বাম দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ট্রাক প্রতীকের মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বিপুল ভোটে ঢাকা-১৯ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর থেকে বকুল হোসেন সরকার নিজের আধিপত্য টিকিয়ে রাখতে বর্তমান এমপির সাথে সেলফি তুলে, তা বিক্রি করা শুরু করে দিয়েছেন এবং নিজের চাঁদাবাজি ও দূর্নীতির মাঠ চাঙা করতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। চাটুকারিতা, দালালী আর পল্টীবাজীর রাজনীতিতে বকুল সরকাররা সব সময় পারদর্শী, এদের রং পাল্টাতে সময় লাগে কয়েক মুহুর্ত । বর্তমানে বকুল হোসেন সরকারের মতো কাউয়া আওয়ামীলীগ কর্মীদের দাপটে প্রকৃত কর্মীরা কোনঠাসা হয়ে পড়ছেন। আর এসমস্ত রাজনৈতিক বসন্তের কোকিল বকুল সরকারদের কারনে ভবিষ্যতে ঢাকা-১৯ আসনের অভিভাবক, সুনামধন্য সংসদ সদস্য মুহাম্মদ সাইফুল ইসলামের রাজনৈতিক সুনাম অনেকটাই ক্ষুন্নের কারন হয়ে দাড়াবে।