অরবিন্দ রায়, স্টাফ রিপোর্টারঃ
কালিয়াকৈরের বোয়ালী ইউনিয়নে ৩৭ টি গ্রাম২০ ঘন্টা বিদ্যুৎ বিহীন থাকে প্রতিদিন । দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ না থাকায় সাধারন মানুষ চরম দুর্ভোগের স্বীকার হচ্ছে। প্রচন্ড গরমে নির্ঘুম রাত কাটছে অনেক মানুষের। এলাকাবাসী পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে অভিযোগ দিলেও বিদ্যুৎতের কোন উন্নয়ন হচ্ছে না।
বিদ্যুৎ না থাকায় অটোরিকশা, রিক্সা চার্চ দিতে না পারায় অটোরিকশা ও রিক্সা চলাচল বন্ধ রয়েছে। অর্থনৈতিক ভাবে ক্ষতি গ্রস্হ হচ্ছে অটোরিকশা চালকরা। দুর্ভোগের স্বীকার হচ্ছে মানুষের যোগাযো ব্যবস্হা । অটোরিকশা না চলাচল করায় কৃষকরা তাদের নিত্য প্রয়োজনীয় উৎপাদিত পন্য বাজারে নিয়ে যেতে পারছে না।
বোয়ালী, গোলয়া, রঘুনাথপুর, পিঁপড়াসিট, শ্রীপুর, ঢোলসমুদ্র, হবুয়ারচালা, কাকচালা, গোসাইবাড়ি, বান্দাবাড়ি, কাপাসিয়া চালা, সিকদার চালা, নলূয়া, বেড়াচালা, সোনাতলা, চা বাগান, গাছবাড়ী, পাবুরিয়া চালা, কুন্দাঘাটা, মদনখালী, গাবচালা, নন্দীচালা, বাথানিয়া চালা, নয়াপাড়া, ঝিংগাহাটি, কড়ইতলী, কাঁচিঘাটা সহ প্রায় ৩৭ গ্রামে প্রতিদিন ২০ ঘন্টা বিদ্যুৎহীন থাকে।
বোয়ালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আফজাল হোসেন খান জানান, বোয়ালী ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে বিদ্যুৎ না থাকা নিত্য দিনের কাজ। আমি বিভিন্ন স্হানে অভিযোগ করেছি। কিন্ত বিদ্যুৎ ব্যবস্হার কোন উন্নয়ন হয়নি।
বোয়ালী ইউনিয়নে শতাধিক মৎস্য খামার রয়েছে। এ সব মৎস্য খামারে কৃএিম অক্সিজেন বিদ্যুৎ না থাকায় সরবরাহ করতে পারছে না খামারীরা। ফলে মৎস্য খারারে মাছের ক্ষতি হচ্ছে। কোন কোন খামারের মাছ অক্সিজেনের অভাবে মরে ভেসে উঠছে বলে জানা গেছে।
১৯৭৮ সালে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি প্রতিষ্ঠিত হয়। সারাদেশে ৮০ টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি গ্রামীণ এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে। ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ১ এর মাধ্যমে কালিয়াকৈরে বিভিন্ন গ্রামে প্রথম বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করে।
মনতোষ রক্ষিত জানান, বিদ্যুতের অভাবে জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে। শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার ক্ষতি হচ্ছে। মৎস্য ব্যবসায়ীদের অর্থনৈতিক ভাবে প্রভাব পড়ছে।
বিদ্যুৎ না থাকায় চাবাগান, বান্দরমার্কেট,গাছবাড়ী বরফ মিলে বরফ উৎপাদন করতে পারছে না। এতে বোয়ালী, রঘুনাথপুর, গোলয়া, গাছবাড়ী এলাকা থেকে মৎস্য খামারীরা দূর দূরান্তে মাছ পাঠাতে পারছে না। বিদ্যুৎ না থাকায় এলাকায় পানীয় জলের সংকট দেখা দিয়েছে। এ এলাকায় ৮০ ভাগ লোক মটারের মাধ্যমে পানি উওোনল করে থাকে। বিদ্যুৎ না থাকায় তারা মটারের মাধ্যমে ট্রান্কিতে পানি তুলতে পারছেন না। এলাকায় চাপ কলের সংখ্যা কমে যাবার কারনে এলাকায় খাবার পানির সংকট দেখা দিয়েছে।
এলাকার মানুষ ফোনে কিংবা বিদ্যুৎ অফিসে গিয়ে যোগাযোগ করলেও বিদুৎ সমস্যার কোন সমাধান হচ্ছে না। বোয়ালী এলাকায় বিদ্যুৎতে লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষ। বিদ্যুৎ না থাকায় সমস্যা দীর্ঘদিন দিন ধরে চলছে।
রঘুনাথপুর বাজার ব্যবসার কমিটির সভাপতি ব্যবসায়ী আবুল কালাম আজাদ জানান, বিদ্যুৎ অফিসে লোকজনদের কাছে অভিযোগ দিলেও তারা কোন গুরুত্ব দেয় না। দিন রাতে সাড়ে ৩ ঘন্টা থেকে ৪ ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকে। এলাকাবাসী পল্লী বিদ্যুৎতের উর্ধতন কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন। বোয়ালী গোলয়া, রঘুনাথপুর সহ ৩৭ টি গ্রামের বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান করে জনভোগান্তি কমাবে বলে আশাবাদী এলাকাবাসীর।