নিজস্ব প্রতিবেদক : সাভারের আশুলিয়ার ইয়ারপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা দেলাওয়ার মীরের ছেলে শাহেদ মীরের বিরুদ্ধে পোশাক শ্রমিকদের উস্কানি দিয়ে বিক্ষোভ ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির এবং গার্মেন্টসে হামলার অভিযোগ।
সম্প্রতি নিজেকে বিএনপি নেতা হিসেবে দাবি করা দেলোয়ার মীর নিজ এলাকায় দাঁপিয়ে বেড়াতেন একসময় আওয়ামী লীগ নেতা পরিচয়ে। তবে এখন তার ছেলে ছাত্রলীগ নেতা শাহেদ মীর বিএনপি নেতা পরিচয়ে করতে চাচ্ছেন গার্মেন্টসের জুট ব্যবসা দখল। গার্মেন্টসের জুট ব্যবসা দখল করতে না পারায় শ্রমিকদের ভিতরে তার সন্ত্রাসী বাহিনীদেরকে প্রবেশ করিয়ে শ্রমিকদের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের বিভ্রান্তি এবং শ্রমিক অসোন্তসের করাচ্ছেন শাহেদ মীর।
অনুসন্ধান করে জানা যায় ১৭ সেপ্টেম্বর রোজ বুধবার সকাল ৭ ঘটিকায় জামগড়া মীর বাড়ি দরগাহ রোড সংলগ্ন হান্ডা গার্মেন্টসের সামনে তার লোকজন সহ তাকে পায়চারি করতে দেখা যায় একদল সন্ত্রাসী বাহিনীদেরকে নিয়ে। এরপর হান্ডা গার্মেন্টসের শ্রমিকদের মাঝে তার লোকজন প্রবেশ করিয়ে শ্রমিকদের উস্কানি দিয়ে কাজে প্রবেশ করতে বাধা প্রদান করেন।
এসময় শাহেদ মীরের লোকজন শ্রমিকদের মধ্যে মিথ্যা ও বানোয়াট ভিত্তিহীন খবর প্রচার করে। আশেপাশের গার্মেন্টস গুলোতে হামলা করতে উৎসাহিত করেন। এমতাবস্থায় দেখে হান্ডা গার্মেন্টস কর্তৃপক্ষ গার্মেন্টসটি বন্ধ ঘোষণা করেন।
পরবর্তীতে শাহেদ মীর সহ তার সন্ত্রাসী বাহিনী এবং হান্ডা গার্মেন্টসের কিছু শ্রমিকদের ভুল বুঝিয়ে ইউফুরিয়া গার্মেন্টসে হামলা করার জন্য ইউফুরিয়া গার্মেন্টসের সামনে আসেন।কিন্তু ইউফুরিয়া গার্মেন্টস টি আগে থেকেই বন্ধ থাকায়। সেখান থেকে ফিরে শিমুল তলা দরগাহ রোড সংলগ্ন সেমস গার্মেন্টসে গিয়ে শাহেদ মীরের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী ও কিছু শ্রমিক হামলা চালায় এবং ব্যাপক ভাংচুর ও ক্ষতি সাধন করে এই হামলা দেখে সেমস কর্তৃপক্ষ সেমস গার্মেন্টসে ছুটি ঘোষণা করে।
আশুলিয়ার জামগড়া এলাকার আশেপাশের সকল গার্মেন্টস গুলো স্বতঃস্ফূর্তভাবে কাজ করছেন শ্রমিকরা শুধু জামগড়া মীর বাড়ি এলাকায় দরগাহ রোড সংলগ্ন অল্প কিছু গার্মেন্টসে কাজ করতে পারছেন না শ্রমিকরা। কারণ হিসেবে দেখা গিয়েছে শাহেদ মীর এবং দেলোয়ার মীর জুট ব্যবসা দখল করতে না পেরে। এই গার্মেন্টস শ্রমিকের অসন্তোষ কে অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে বেছে নিয়েছেন। এই অসন্তোষ সৃষ্টি করে প্রতিনিয়তই গার্মেন্টসের ব্যবসা দখলের জন্য বিভিন্ন ধরনের অপচেষ্টা করে বেড়াচ্ছেন।
এলাকাবাসীরা জানান অতি দ্রুত তাদেরকে গ্রেফতার করলেই এই গার্মেন্টসগুলো চালানো সম্ভব।এবং আরো অনেকেই নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তারা জানান দেলোয়ার মীর ও শাহেদ মীর সহ তাদের সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করলে এই গার্মেন্টসগুলো নিঃসন্দেহে চলবে।