ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নতুন সরকার এসেছে, অন্তর্বর্তীকালিন সরকার। আমরা আশাকরি তারা সঠিকভাবে বিষয়গুলো উপলদ্ধি করে সিদ্ধান্ত নিবেন। আজকে সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রিয়াল পাওয়ার দেয়া হয়েছে। ভালো কথা, তার মানে প্রশাসন ফেইল করছে।
ম্যাজিষ্ট্রিসি পাওয়ার দেয়া হয়েছে মানে অন্যান্যরা কাজ করছে না। ম্যাজিষ্ট্রিসি পাওয়ার আমি মনে সেইসব এলাকাতে দেওয়া দরকার, যে সমস্ত এলাকা নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে গেছে। কিন্তু যে সমস্ত এলাকা শান্তিপূর্ন আছে, যেখানে রাজনৈতিক নেতাকর্মীরাই বিষয় গুলোকে নিয়ন্ত্রন করছেন, সেখানে এই ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার দেয়া সমিচীন হবে বলে আমি মনে করিনা। আমি তাই অন্তর্বর্তী সরকারকে অনুরোধ করবো বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করবেন। এবং কখনোই এমন কোন ব্যবস্থা নিবেন না, যা সামগ্রীকভাবে জাতীর জন্য বুমেরাং হবে এবং দেশের মানুষের জন্য ক্ষতি হবে।
স্বৈরাচার ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা পতনের আন্দোলনে ঠাকুরগাঁওয়ে শহীদ ও আহতদের পরিবারের সাথে সাক্ষাত ও সাহায্যকরন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাবে আয়োজিত অনুষ্ঠানে দেয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, দেশে অপরাধের যিনি মূল হোতা শেখ হাসিনা, তার নির্দেশে হাজার হাজার লোকের প্রাণ গেছে। কয়েকদিন তো গেছেই তারও আগে ২০১২ সাল থেকে শুরু হয়েছে এই হত্যা নির্যাতন। আমার পনের ষোল বছর ধেকে আন্দোলন করছি। সাতশ’র বেশি মানুষ গুম হয়েছে, হাজার মানুষ খুন হয়েছে। ষাট লক্ষ মানুষের প্রতি মিথ্যা মামালা দেয়া হয়েছে। এখানে যারা বসে আছেন তাদের কেউ বাদ নেই যাদের বিরুদ্ধে চারটা, পাচটা, আটটা, দশটা মিথ্যা মামালা নেই। আমার বিরুদ্ধে একশ এগারোটা মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে। আমি এগারো বার জেলে গিয়েছি। আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ছয় বছর জেলে ছিলেন, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন জনাব তারেক রহমান মিথ্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। রাষ্ট্র ক্ষমায় আমরা নাই, এখানে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়েছে। তারা চেষ্টা করছে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই এই সমস্ত বিষয় গুলোর বিচার করতে।
এ সময় আন্দোলনে চারজন শহীদ ও আহতদের পরিবারের মাঝে পনের লক্ষ টাকা সহযোগিতা প্রদান করে মির্জা ফখরুল।
অনুষ্ঠানে জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমিন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক পয়গাম আলী, অর্থ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম শরিফ, দপ্তর সম্পাদক মামুন অর রষিদ, সদর থানা সভাপতি আব্দুল হামিদ, জেলা যুবদল সভাপতি মহেবুল্লাহ আবু নুর চৌধুরীসহ বিভিন্ন নেতাকর্মী ও আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।