সম্রাট আলাউদ্দিন, ধামরাই (ঢাকা) : ঢাকা জেলার ধামরাই উপজেলার গাংগুটিয়া ইউনিয়নের জালসা গ্রামে চাঁদা না দেয়ায় এক ব্যবসায়ীকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে।এই বিষয়ে ধামরাই থানায় গত সোমবার একটি মামলা দায়ের হয়েছে।
মঙ্গলবার (০২ জুলাই) দুপুরে ধামরাই থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) মোঃ সিরাজুল ইসলাম শেখ মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।মামলার এজাহার সুত্রে জানা গেছে ঢাকা জেলার ধামরাইয়ে গাংগুটিয়া ইউনিয়ের জালসা গ্রামের শহিদুল ইসলাম রতন (৪২) এবং তাঁর সহযোগী নাসির উদ্দিন সখি (৪০), মোঃ হারুন( ৪০), মোঃ বাবুল হোসেন(৪৫) সহ ৫/৬ জন অজ্ঞাত বিবাদীরা একই গ্রামের মতিউর রহমান মাস্টারের ছেলে আবু রায়হান সেলিমকে দা, লোহার রড, লাঠি এবং আরো দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ২৭ শে জুন দিনে দুপুরে হত্যার চেষ্টা চালায়।
এলোপাথাড়ি কিল,ঘুষি এবং লাথির মুখে দৌড়ে ইট ভাটার অফিসে গিয়ে প্রাণে বেঁচে যান এই ব্যবসায়ী।এ সময় সেলিমের পাঞ্জাবীর পকেট থেকে ইট ভাটা শ্রমিকদের বেতনের ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা নিয়ে নেয় প্রধান আসামী রতন। সেলিমের মালিকানাধীন মেসার্স বিএমআর ব্রিক্সের ম্যানেজার দুলাল মিয়া, শ্রমিক মিজান ও ওলিউর তাঁদের মালিককে সন্ত্রাসীদের হাত থেকে রক্ষা করতে এলে তাঁদেরকেও মারধর করা হয়।
আসামীরা ইট ভাটার অফিসও ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।উক্ত মাটি ব্যবসায়ী রতনের নিকট হতে ইট ভাটা ব্যবসায়ী সেলিম সাহেব মাটি ক্রয় না করলে প্রতিমাসে একলক্ষ করে টাকা চাদা দাবি করেন।অভিযুক্ত রতন এর আগে জোর পুর্বক চাষের জমি নষ্ট করে মাটি কাটার অভিযোগে ভ্রাম্যমান আদালতের নিকট ১ লক্ষ টাকা জরিমানা প্রদান করেছেন।মামলাটি তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই ফরিদ বলেন, তদন্ত শুরু হয়েছে।
আসামীরা পলাতক থাকায় গ্রেপ্তার করা যায়নি।ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী সেলিম বলেন,মামলা করার পর থেকে আসামীরা আরো বেপরোয়া হয়ে আমাকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। এছাড়া মামলা প্রত্যাহারের জন্য প্রভাবশালী মহল আমাকে চাপ দিচ্ছেন। আমি প্রাণ ভয়ে রাতে বাসা থেকে বের হতেই পারছি না। দ্রুত আসামীদের গ্রেপ্তারের দাবী করছি।