মোঃ রবিউল ইসলাম সিয়াম, (কিশোরগঞ্জ) ঢাকা :
এডভোকেট ফজলুর রহমান বলেন -এই ফ্যাসিশ সরকারের চিরবিদায়ে আমার নিজ এলাকা ইটনা, মিঠামইন, অষ্টগ্রামে, চলছে বিপ্লবের আনন্দ।
অর্জিত হচ্ছে দ্বিতীয় স্বাধীনতা। বিএনপির চেয়ারপার্সন যুগ্ম সচিব ফজলুর রহমান তিনি ভোরের বাংলা নিউজ কে বলেন, একাত্তরের স্বাধীনতার পর দেশ বাসী বিপন্ন বিস্ময়ে দেখলো গণতন্ত্রের ধ্বজাধারী শেখ মুজিব কি দ্রুততার সাথে সংসদীয় পদ্ধতিকে ছুড়ে ফেলে ফ্যাসিবাদি এক নায়কতন্ত্র কায়েম করলেন। সেই সময়ে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির সংখ্যা ও শক্তি ছিল খুবই সীমিত। সেই অল্প সংখ্যক সীমিত কন্ঠও তার সহ্য হয়েছিল না।
সকল রাজনৈতিক দলের বিলুপ্ত ঘটিয়ে স্বৈরাশাসন শেখ মুজিব রহমান অতি দ্রুতই প্রতিষ্ঠা করলেন কুখ্যাত বাকশাল।সংসদে বাকশাল অনুমোদনের মাত্র ১৫ মিনিটের মধ্যে প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নিয়ে তিনি বনে গেলেন দেশের সকল ক্ষমতার একচ্ছত্র অধিকারী। তাঁকে অপসারণের কোনো ধারা রাখা হলো না। তাঁর এমন কীর্তিকলাপ এতটাই ভয়ঙ্কর ছিল যে তখন তাকে তাজউদ্দিন আহমেদ হুঁশিয়ার করে বলেছিলেন, আপনি শান্তিপূর্ণ পথে ক্ষমতার পদ পরিবর্তনের কোন পথ খোলা রাখলেন না।সে সময়কার বাকশালের শ্লোগান ছিলো এক নেতা এক দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ ।
অন্য সকল ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্র ও সরকারের মত শেখ মুজিবের বাংলাদেশ হয়ে গেল, এক দলের অধীনস্থ এক ব্যক্তির শাসন।একটি রাষ্ট্রের তিনটি শাখা বা অংশ থাকে: নির্বাহী বিভাগ অর্থাৎ প্রশাসন, আইন বিভাগ অর্থাৎ সংসদ, ও বিচার বিভাগ অর্থাৎ আদালত। শেখ মুজিবের হাতে কুক্ষিগত হল এই সবগুলি বিভাগ। তিনি নিজেই পরিণত হলেন রাষ্ট্রের প্রধান