1. admin@ajkerpratidin.com : admin : Khokon Howlader
  2. ajkerpratidin@gmail.com : Masum Sarder : Masum Sarder
  3. emranniloy53@gmail.com : Emran Hasan Neloy : Emran Hasan Neloy
  4. info.popularhostbd@gmail.com : PopularHostBD :
  5. rashedapple7@gmail.com : Rashed Ahmed : Rashed Ahmed
রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ১০:৩৬ অপরাহ্ন

১৩ জুন লন্ডনে তারেক-ইউনূসের দুইঘণ্টা বৈঠক

অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ১০ জুন, ২০২৫
  • ১৩৯ বার পড়া হয়েছে

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে শুরুতে কঠোর থাকলেও সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে নিজেদের অবস্থান কিছুটা নমনীয় করতে পারে বিএনপি। দলটির কয়েকটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার হস্তক্ষেপেই এই অবস্থান পরিবর্তনের ইঙ্গিত মিলছে।

গত শনিবার (৭ জুন) ঈদের রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সিনিয়র নেতারা গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে তাকে ঈদের শুভেচ্ছা জানাতে যান। সেখানেই চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয় চেয়ারপাসনের সঙ্গে দলীয় নেতাদের আলোচনা হয়।

আলোচনার একপর্যায়ে খালেদা জিয়া স্পষ্টভাবে জানান— সরকারের সঙ্গে সরাসরি সংঘাতে গেলে বিএনপির রাজনৈতিকভাবে লাভবান হওয়ার সুযোগ নেই। বরং দলকে কৌশলগতভাবে সংলাপ ও আলোচনার পথেই এগোতে হবে বলে পরামর্শ দেন তিনি।

চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পরামর্শের পরই সোমবার (৯ জুন) রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। দলীয় সূত্রগুলো জানিয়েছে, ওই বৈঠকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সম্ভাব্য বৈঠক এবং দলের বর্তমান রাজনৈতিক কৌশল নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়।

বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেওয়া হবে মঙ্গলবার (১০ জুন) এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে।

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, আগামী শুক্রবার (১৩ জুন) লন্ডনের ডরচেস্টার হোটেলে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। বৈঠকের সময় ও স্থান প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকেই চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে সূত্রটি জানিয়েছে।

এ বিষয়ে একটি গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘বাংলাদেশের একটি বড় রাজনৈতিক দলের নেতা হিসেবে তারেক রহমানের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক অনুষ্ঠিত হলে তা নিঃসন্দেহে দেশের জন্য একটি ইতিবাচক বার্তা বহন করবে। ’ তবে বৈঠকটি আসলেই হবে কিনা, সে বিষয়ে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। লন্ডনে পৌঁছানোর পর পরিস্থিতি পরিষ্কার হবে বলে জানান তিনি।

গত শুক্রবার (৬ জুন) জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা জানান, জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগামী বছরের এপ্রিল মাসের প্রথমার্ধের যেকোনো দিনে অনুষ্ঠিত হবে। এই ঘোষণার পরপরই রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক জরুরি বৈঠকে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানানো হয়। বৈঠক শেষে বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, এপ্রিল মাসে নির্বাচন হলে তা আবহাওয়াজনিত জটিলতা ও রমজান মাসের কারণে নির্বাচনী কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটাতে পারে। পাশাপাশি, কেন ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন সম্ভব নয়, এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে কোনো সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা ছিল না।

ড. ইউনূস-তারেক রহমানের বৈঠক হতে পারে, এমন খবর চাউর হওয়ার পর থেকেই রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। এমন প্রেক্ষাপটে, সরকারের সঙ্গে সরাসরি সংঘাতে না গিয়ে আলোচনার পথ খোলা রাখার কৌশল নিতে পারে বিএনপি। এরই ধারাবাহিকতায় লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তারেক রহমানের বৈঠক চূড়ান্ত হয়েছে বলে জানায় দলীয় সূত্র।

বিশ্লেষকদের মতে, এই বৈঠক দেশের রাজনীতিতে এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হতে পারে। আলোচনা প্রসঙ্গে নির্বাচনের রোডম্যাপ, একটি অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের পরিবেশ নিশ্চিতকরণ এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা নিয়ে মতবিনিময় হতে পারে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, চার দিনের সরকারি সফরে যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। সোমবার (৯ জুন) সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তিনি যাত্রা শুরু করেন।

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত রাজনৈতিক ময়দানে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে প্রধান রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতার সরাসরি আলোচনা একটি ইতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। রাজনৈতিক সংঘাত নয়, সমঝোতার মধ্য দিয়ে আগামী নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করতে পারে- এমন আশার সঞ্চার ঘটছে দেশের অভ্যন্তরে ও আন্তর্জাতিক মহলেও। তবে সবকিছু নির্ভর করছে আসন্ন বৈঠকের ফলাফলের ওপর। আলোচনা যদি বিশ্বাসযোগ্য ও বাস্তবসম্মত সমাধানমুখী হয়, তবে তা শুধু বিএনপির নয়, বরং দেশের গণতন্ত্র ও রাজনীতির জন্যই ইতিবাচক দিকচিহ্ন হয়ে উঠবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

সংবাদ টি শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ

Ajker Pratidin গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠান ©২০১৮-২০২৫ ajkerpratidin.com সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।

Design BY POPULAR HOST BD